আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে সংখ্যাগুলো মিসিং

অতীত খুড়ি, খুঁজে ফিরি স্বজাতির গুলিবিদ্ধ করোটি

ঘোর নামের একজন ব্লগারের একটি ইনটেরেস্টিং পোস্ট পড়লাম। উনি এতে মুক্তিযুদ্ধদের খেতাবপ্রাপ্তদের তালিকা নিয়ে লিখেছেন। উনার লেখাতেই জানলাম, ১৮ মার্চ ১৯৭২ সালে এ বিষয়ে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রথম গেজেট নোটিফিকেশন দিয়েছিল। সেখানে ১ জনকে বীরশ্রেষ্ঠ, ৩ জনকে বীর উত্তম, ১৪ জনকে বীর বিক্রম এবং ২৫ জনকে বীর প্রতীক হিসেবে খেতাব দিয়ে প্রথম দফা এ গেজেটটি প্রকাশিত হয়েছিল। উনি এটাও বলেছেন এটি মিডিয়ায় আসেনি।

যেহেতু মিডিয়ায় আসেনি, তাহলে সরকারি পরিকল্পনায় ছিল, কিন্তু গেজেট প্রকাশিত হলে সেটা রেকর্ডে থাকবেই। বাতিল হলেও। এ ব্যাপারে আমি একটু খোজ নিয়ে জানার চেষ্টা করছি। তবে উনার পোস্টে বিনীত অনুরোধ করেছি সোর্সটা দেয়ার জন্য। তার দ্বিতীয় তথ্যটাতে একটু ফাঁক রয়ে গেছে।

উনি লিখেছেন ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর এক গেজেট নটিফিকেশনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ৭ জনকে বীরশ্রেষ্ঠ, ৬৮ জনকে বীর উত্তম, ১৭৫ জনকে বীর বিক্রম এবং ৪২৬ জনকে বীর প্রতীক সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব দেয় বাংলাদেশ সরকার। উনার তথ্যে কোনো ভুল নেই। কিন্তু সব মিলিয়ে যোগ করে দেখা গেল ৬৭৬ জন। কিন্তু গেজেটে খেতাব দেওয়া হয়েছে ৯৪৫ জনকে। তাহলে বাকি ২৬৯ জন কোথায় গেল? এ বিষয়ে আমি যতটুকু জানি তা বলছি।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় ও সেনা সদর দপ্তর ১৯৭৩ সালের আগস্টে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য খেতাব দেওয়ার জন্য একটি সম্মিলিত বৈঠক করে। জেনারেল হেডকোয়ার্টার্স পত্র নং- (পদক) ১০১৫/এ, ১৬ আগস্ট ১৯৭৩ সালের এই সুপারিশ নামাটিই বাংলাদেশ সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের গেজেট নোটিফিকেশন নম্বর ৮/২৫/ডি-১/৭২-১৩৭৮ (১৫ ডিসেম্বর) প্রকাশিত হয়। সেখানে খেতাব প্রাপ্তের সংখ্যা ৯৪৫ জন। বীরশ্রেষ্ট ৭ জন, বীর উত্তম ৬৮ জন, বীর বিক্রম ১৭৫ জন, ৪২৬ বীর প্রতীক হিসেবে ঘোষনা দেওয়া হয়। এই সঙ্গে আরো ২৬৯ পেয়েছিলেন প্রধান সেনাপতি (আতাউল গনি ওসমানীর) প্রশংসাসূচক সনদ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।