আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বায়ন ও উন্নতির কার্যকর কৌশল অনুসন্ধান-১



পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বায়ন ও উন্নতির কার্যকর কৌশল অনুসন্ধান .......................................................... আমরা অবশ্যই একমত হবো যে, বিশ্ব অর্থনীতির ক্রমবিকাশের পথ ধরে বর্তমানে যে পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বায়ন পর্ব চলছে তাতে বাজার কখনোই মুক্ত ছিলনা, এখনও নেই। সত্যিকার অর্থে ‘মুক্তবাজার’ বরং আমাদের অর্থনীতির বিকাশে সহায়ক। আন্তর্জাতিক শ্রম বিভাজনে ও সেেেত্র আমাদের অবস্থান একেবারে দুর্বল হবার কথা নয়। কিন্তু বাজার যেহেতু মুনাফা করার ত্রে, তাকে মুক্ত রাখা আর যাই হোক বহুজাতিক কর্পোরেশনগুলোর কাজ নয়। ফলে, বাজার নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই বরাবর রয়েছে।

আমরা সত্যিকার অর্থে মুক্তবাজারের পক্ষে। এই কাজটি সম্ভব করার জন্য দুনিয়ার অর্থনীতির চরিত্র পাল্টাতে হবে। কাজটি কঠিন মনে করে এড়িয়ে গেলেও আমাদের চলবে না। একে ভয় পেলেও সুবিধা করা যাবে না। বরং বাংলাদেশ সহ সব দেশেরই স্থায়িত্বশীল উন্নতির জন্য এ পথে এখনই হাঁটা শুরু করতে হবে।

তার জন্য জনগণের প্রস্তুতির কাজটির বড় দিক হলো স্থানীয় উৎপাদন সম্পর্ক পুনর্বিন্যাসের দিকে যাওয়া। মূলগতভাবে পুরো বিন্যাসটি পাল্টানোর জন্য সমাজের প্রস্তুতির কাজটি জনপদ ভিত্তিক সংগঠন, গণ সংগঠন ও রাজনৈতিক দল সকলে মিলেই করতে হবে। এখানে বিশেষতঃ জনপদ ভিত্তিক সংগঠনের কাজের এলাকা থেকে কিছু দিক তুলে আনার চেষ্টা করা হবে। গণ সংগঠন/রাজনৈতিক দলকেও সে কাজে সহযোগী ভূমিকা নিতে হবে। তার আগে দু’টি প্রসঙ্গে কথাবার্তা সেরে নেয়া দরকার।

প্রযুক্তি ও উৎপাদন : কারখানা থেকে সমাজে ব্যাপারটা এমন নয়, যে গবেষক-বিজ্ঞানীরা পরীক্ষাগারে গভীর ধ্যানে মগ্ন হয়ে হঠাৎ একটা প্রযুক্তির সন্ধান পেয়ে যান। পরে সেটা কোনভাবে আমরা বাইরে পেয়ে যাই, কলে-কারখানায়, ঘরে-বাইরে উৎপাদন ও ব্যবহার করি। বরং জীবন-যাত্রার বিভিন্ন পর্যায়ে, উৎপাদন ও ভোগের ধরণ পরিবর্তনের জন্যই প্রযুক্তি বা কৃৎ-কৌশলের কথা মানুষকে ভাবতে হয়েছে। সেটা লাঠি বা চাকা আবিষ্কারের ক্ষেত্রে যেমন সত্য; ঘড়ি, গাড়ি, কম্পিউটার বা পারমাণবিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও তেমন সত্য। এটুকু যদি আমরা মানতে পারি, তাহলে বুঝতে পারব, কোনো একটা নতুন প্রযুক্তি গ্রামে, শহরে-বাজারে আসে কোন্ উৎপাদন কাঠামোর ওপর ভর করে এবং আসার পর সেটা উৎপাদন কাঠামোকেই কোথায় নিয়ে যায়।

যেমন ধরা যাক, জনসংখ্যা বৃদ্ধি উন্নয়নের অন্তরায় - এই তত্ত্ব আসার পর কৃত্রিম পদ্ধতিতে জন্ম নিয়ন্ত্রণের যে পদ্ধতি ও প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হয়েছে তার টার্গেট হয়েছে বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের গরীব গ্রামীণ নারী ও পুরুষ। মধ্যবিত্ত নারীও জন্ম নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি ব্যবহার করেন, কিন্তু সেটা সাংস্কৃতিক প্রভাব-‘আধুনিকতা’ ইত্যাদির চাপে পড়ে, সঙ্গে অর্থনৈতিক সংকটও যুক্ত থাকে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশে ‘দৃষ্টান্ত’ স্থাপন করেছে। বোঝাই যাচ্ছে গ্রামীণ নারীর ওপর কতটা নিপীড়ন চলছে, ঔষধ কোম্পানীগুলো কতটা ফুলে-ফেঁপে উঠছে। কৃষি প্রযুক্তির বেলায়ও আমাদের অভিজ্ঞতা শুধু চামড়া পোড়া নয়, তার বেশি।

এ নিয়ে বেশি বলার নেই। ইতিমধ্যেই প্রমাণিত যে উৎপাদন বৃদ্ধিতে নতুন প্রযুক্তির নামে রাসায়নিক সার, বিষ-কীটনাশক এবং হাইব্রিড, টার্মিনেটর, ভার্মিনেটর প্রযুক্তি গরীব বিরোধী, কোম্পানী তথা ধণিক স্বার্থ রার কাজেই লাগছে, লাগবে। পারমাণবিক প্রযুক্তি ধনী দেশগুলোর অর্থনৈতিক স্বার্থ পাহারা দেবার জন্য সামরিক কাজ ছাড়া গরীবের কাজে আসেনি। চিকিৎসা েেত্র পারমাণবিক প্রযুক্তির সাফল্য যৎসামান্য। তার সুবিধাও গরীবের জন্য নয়।

ডঞঙ, ডই-ওগঋ এবং মুক্তবাজারের কল্যাণে সেবাখাত এখন শিল্প ও বাণিজ্য খাতের ‘মর্যাদা’ পেয়েছে। অন্যদিকে, যেমন বলা হচ্ছে ঞজওচঝ (ঞৎধফব জবষধঃবফ অংঢ়বপঃং ড়ভ ওহঃবষষবপঃঁধষ চৎড়ঢ়বৎঃু জরমযঃং)-এর মতো চুক্তির ফলে প্রযুক্তির বিকাশ ও বিনিয়োগ বাড়বে। তথ্য প্রমাণ এই কথাকে মিথ্যা প্রমাণ করে। যদি সেটা হতোও, তার মানে এই নয় যে এতে সব বেকারের কর্মসংস্থান হয়ে যাবে, সব শ্রমিক ন্যায্য মজুরী পাবে। বিনিয়োগকারীরা, দেশী বা বিদেশী যাই হোক, মুনাফার সামাজিক বন্টন নিশ্চিত করবে না।

বলতে চাচ্ছি, উৎপাদন ও বন্টন কাঠামোর বাইরে থেকে প্রযুক্তি নিজে উন্নয়নের সরাসরি কোনো দাওয়াই নয়। প্রযুক্তিও কে বা কারা ব্যবহার করছে - তার ওপর নির্ভর করে সে কাকে সেবা দেবে। প্রযুক্তি সংস্কৃতির এই গোমরটা খুলে ফেলতে হবে। আমরা এটা ভাবতেই অভ্যস্ত যে প্রযুক্তি মানেই আধুনিকতা এবং উন্নয়ন। প্রযুক্তি বলতে লোহা-লক্কড়, ডিপ-টিউবওয়েল, টিভি, কম্পিউটার, স্যাটেলাইট ইত্যাদির বাইরে ভাবা হয় না।

ভাবতে দেয়া হয় না। আমাদেও মজ্জায় এসব ঢুকে আছে। ‘আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি’, ‘অত্যাধুনিক তথ্য প্রযুক্তি’ ...। তো আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি হলো প্রযুক্তি। আর হাজার বছর ধরে কৃষক কৃষি করছে সেটা প্রযুক্তি নয়।

ফলে প্রযুক্তিও সংজ্ঞাটা কোথায় কিভাবে তৈরী হয়েছে, কারা তৈরী করছে - সেটা অতি অবশ্যই আমাদের খেয়াল করতে হবে। তখন আমরা এর শ্রেণীলগ্নতা আরো সহজে ধরতে পারব। ফলে প্রযুক্তি বা কৃৎ-কৌশলের বিরোধীতা গরীব করে না। এর ব্যবহারের ধরণ-ধারণকে, উদ্দেশ্যকে প্রশ্ন করে, নিজেদের জীবন-যাত্রা সমৃদ্ধ করতে তাকে বিকশিত করা, উৎপাদন-বন্টন ও ভোগ ব্যবস্থায় তার ব্যবহার কোনো চ্যালেঞ্জ নয়, সুবিধা-অসুবিধা বোঝার ব্যাপার মাত্র। সেদিক থেকে দেখলেই কেবল ডঞঙ এবং ওচজ শাসনের জমানায় উৎপাদন ও প্রযুক্তির সম্পর্ক নির্ধারণ করা যাবে।

প্রযুক্তি বাণিজ্যের গুরুত্ব বোঝা যাবে। আমি আবার কৃষি প্রযুক্তির উদাহরণে যাব। প্রাণবৈচিত্র্য ভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থায় রাসায়নিক সার, বিষ, কীটনাশক চলবে না। তাহলে কোম্পানির বাণিজ্য বন্ধ। প্রাণবৈচিত্র্য ভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থায় যে কৃষি প্রযুক্তি তা নিয়ে ব্যবসা করা যায় না।

শুধু তাই নয়, এই ব্যবস্থা সর্বব্যাপী না হয়ে উপায় নেই। ফলে শেষ পর্যন্ত এই সংক্রান্ত প্রযুক্তি ও সম্পদের সামাজিক মালিকানার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু কোনো শিল্প খাতে শ্রম ব্যবস্থাপনাই হল মুনাফার উৎস। সম্ভব সর্বনিু মজুরি এবং সর্বনিু সংখ্যায় শ্রমিক নিয়োগ সর্বোচ্চ মুনাফা নিশ্চিত করে। ফলে সেই সব প্রযুক্তির চাহিদা বেশি, যা এই উপায় বাতলে দেয়।

বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা ও কোম্পানি যে কারণে প্রযুক্তি গবেষণায় বিনিয়োগ করছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। উদ্ভাবিত নতুন প্রযুক্তি তা কোনো রাসায়নিক প্রক্রিয়া, সফ্টওয়্যার, বৈজ্ঞানিক সূত্র যাই হোক না কেন তার ওপর দখলী স্বত্ব বা পেটেন্ট হল সহজে মুনাফা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মাধ্যমে এই পেটেন্ট ব্যবস্থা সারা দুনিয়ায় কার্যকর করার ব্যবস্থা নিয়েছে উত্তরের ধনী দেশগুলো। প্রযুক্তি গবেষণায় এক ধরনের এগিয়ে থাকা ধনী দেশগুলো স্বাভাবিকভাবেই এর সুবিধা পাবে পাচ্ছেও। কিন্তু যখন ধান, নিম বা হলুদের পেটেন্ট করাতে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো তৎপর হয়, তখন একই সঙ্গে তাদের সেই প্রযুক্তি ও গবেষণার চরিত্র যেমন ধরা পড়ে, তেমনি মুক্তবাজার অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণের সম্পদের ওপর ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণ কিভাবে ঘুরে ফিরে আসে তাও পরিস্কার হয়।

তাহলে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার গোড়ার সমস্যা নয়। প্রশ্ন হলো সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদনের যে বৃদ্ধি তা অন্য কোনো উৎপাদনকে তিগ্রস্ত করে কিনা এবং বাড়তি আয়ের সামাজিক বন্টন হচ্ছে কিনা। প্রবৃদ্ধি আর উন্নয়ন ঃ ভাবের ঘরে চুরি তাহলে প্রবৃদ্ধির যে তত্ত্ব - ‘দেশে বাম্পার ফলন হয়েছে’ বা ‘বিপুল রপ্তানি হয়েছে’, ‘প্রবৃদ্ধি পাঁচ থেকে নয়-এ পৌঁছাবে - এর সাথে সামগ্রিক উন্নয়নের সম্পর্ক কি? ১৯৭৪ সালের দুর্ভিে প্রায় এক লাখ লোক প্রাণ হারিয়েছেন। অথচ ১৯৬৭-৭৬-এর মধ্যে ৭৪ সালে মাথাপিছু খাদ্য মজুদের পরিমাণ ছিল সবচে’ বেশি। তাহলে দুর্ভি হলো কেন? শুধু খাদ্য নয় যে কোনো মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্যই সমাজ, রাষ্ট্র তথা পৃথিবীতে সম্পদের অভাব কখনোই ছিল না।

অভাব ছিল ন্যায্য বন্টন ব্যবস্থার। তার জন্য সংগঠিত রাজনৈতিক ব্যবস্থার। মূলধারার অর্থনীতিবিদরা প্রবৃদ্ধির এই তেলেসমাতি হিসাব সব দেশে সব সময় মেলাতে পারেন না। প্রবৃদ্ধির হার ১০, ২০ যাই হোক, অনাহার থাকতে পারে, অশিা থাকতে পারে যদি বন্টন ব্যবস্থা অনুকূল না হয়। যে কারণে জাতীয় আয় বৃদ্ধি বা প্রবৃদ্ধির সাথে সামগ্রিক উন্নয়নের সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই।

প্রবৃদ্ধির মডেল মেনে নিয়েও বাংলাদেশ যদি এখন দেশের তেল গ্যাস রপ্তানি করে দেয় (রপ্তানি না করলেও একটা বড় অংশ উৎপাদন বন্টন চুক্তির আওতায় নিয়ে সম্পদশালী হবে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো) পুরো দেশকে সার আর সিমেন্ট কারখানা বানিয়ে ফেলে বা বিদেশি লগ্নিকারী বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর জন্য বাজার আরো বড় করতে থাকে, কৃষি খাতকে শিল্পোৎপাদনের কাজে লাগায় তাহলেও এই মডেলের কপালে দুর্গতি। প্রবৃদ্ধির হার সাময়িক বাড়তে পারে, স্থায়ীত্ব পাবে না। কৃষি খাত থেকে শিল্পোৎপাদনের অভিজ্ঞতা ইতিমধ্যেই হয়েছে এবং সেটা সুখের না। ফসলের উৎপাদন আশংকাজনকভাবে কমে যাওয়া, মাটি ও পরিবেশের ভয়াবহ রকম দূষণ ও ভারসাম্যহীনতা, ভবিষ্যতে কৃষি ও জীবন ধারণ উপযোগী পরিবেশ ধ্বংসের আলামত দেখিয়ে দিচ্ছে। বাংলাদেশে হাইব্রিড, চিংড়ি সমস্যা, ইউরোপে খুরাচাল রোগ এ সবই তার উদাহরণ।

ফলে কৃষিকে অবশ্যই সুস্থির পরিবেশানুগ হতে হবে। কৃষিতে পুঁজিবাদের যে ধরনের অনুপ্রবেশ এখানে ঘটেছে তা একই সঙ্গে আমাদের এই অভিজ্ঞতা দিয়েছে যে, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থে বা খেয়ালে উৎপাদনের পরিণাম পুরো মানব গোষ্ঠীর জন্যই ভয়াবহ বিপর্যয়। আরো ঘটবে যদি এরকম চলতে থাকে। প্রচলিত শিল্প খাতের বেলায় বাংলাদেশের তথাকথিত প্রযুক্তিগত দুর্বলতা আছে। কিন্তু কথা হল ট্র্যাকে এগিয়ে থাকা প্রতিযোগীর সঙ্গে মাত্র ট্র্যাকে পা রাখা লোকের সুষম প্রতিযোগিতা হয় না।

ফলে আমাদের অবশ্যই ট্র্যাকে চেঞ্জ করতে হবে। তা হলো ঞজওচঝ এবং ঞজওগঝ-এর শাসন, বহুজাতিকের হাত পৌঁছায়নি এমন এলাকাগুলো খুঁজে বের করতে হবে। প্রচলিত শিল্পের পাশাপাশি এগুলোর দ্রুত বিকাশ ঘটাতে হবে। দুনিয়া জুড়ে হস্তশিল্পের বাজার আমরা অতি সহজে কাজে লাগাতে পারি। কারণ আমাদের বিপুল জনশক্তি আছে।

শ্রমঘন, স্থানীয় প্রযুক্তির বিকাশ ছাড়া আমরা কোনমতেই এই খরগোশ-কচ্ছপের দৌড় সামলাতে পারব না। অন্যদিকে ঞজওচঝ, ঞজওগঝ সহ ডঞঙ-র গরীব বিরোধী আইন কানুনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে হবে। এ কথাগুলো এতদিনে আামদের কাছে পরিস্কার। কিন্তু করছিটা কি? বাজার এবং উৎপাদনি আয়োজনের সঙ্গে এখানে প্রচলিত কর্মকাণ্ডের একটা গভীর ও জোরালো সম্পর্ক যে আছে, সেটা সকলে এখনও স্বীকার করতে চান না। এখন তো ব্যাপার পরিস্কার।

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো শিল্পখাতে আসছে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে আসছে। কেন? হতে পারে তহবিল যোগানের জন্য অথবা তারা মনে করছেন সমাজে উৎপাদন বৃদ্ধি, তার ধরণ-ধারণের সঙ্গে তাদের টার্গেট গ্র“পের উন্নয়নের সম্পর্ক আছে। নিজেদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে বাজারে লড়তে গিয়ে বাজার ব্যবস্থার সঙ্গে মানুষের চিন্তা-চেতনার, মতাদর্শিক শাসনের যোগাযোগটিও ল্য করতে না পারার কথা নয়। প্রথমটা ঠিক আছে। দ্বিতীয়টার বেলায় কথা হলো এতদিন ধরে যে শিা, স্বাস্থ্য সেবা এবং ুদ্র ঋণ দেয়া হলো সেটা কাদের পণ্যের ল্িযত বাজার তৈরীতে সাহায্য করে আসছে? কোনো ধরনের সামাজিক পরিবর্তন বা সমাজ উন্নয়নের কাজ তাহলে হলো যেখানে এখানকার মানুষের খাদ্য, বাসস্থান, শিা, চিকিৎসা ইত্যাদির নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা এখনও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না? (চলবে)



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।