আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ম্যারেজ মিডিয়ার প্রতারণা



ম্যারেজ মিডিয়ার প্রতারণার সঙ্গে জড়িত সুন্দরী তরুণীর নাম তানিয়া ইসলাম তুলি জানা গেলেও গতকাল সে জানিয়েছে, তার আসল নাম ইফফাত জেরিন খান স্ট্বর্ণা। তাকে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে আসছে গুরুত্ম্বপহßর্ণ তথ্য। সে প্রতারণা করে চারটি বিয়ে করেছে। স্ট্বর্ণা জানিয়েছে, প্রতারক চত্রেক্রর সঙ্গে আলমগীর ও আজাদ নামের পুলিশ কর্মকর্তারাও জড়িত ছিল। চত্রেক্রর অন্যতম সদস্য কেএম এনায়েত সজীব ও আক্তারুজ্জামান সাগর স্ট্বর্ণাকে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে তাদের কথা মতো চলতে বাধ্য করত।

সহßত্রাপুর থানার ওসি মোহাল্ফôদ আলী বলেন, এই প্রতারক চত্রেক্রর সঙ্গে যদি কোনো পুলিশ জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় তা হলে অবশ্যই তাদের বিরুদেব্দ আইনানুগ ব্যবস্টÿা নেওয়া হবে। স্ট্বর্ণাকে ৩ দিনের, সজীব ও সাগরকে আবারো ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গতকাল স্ট্বর্ণা সহßত্রাপুর থানায় সমকালকে জানায়, নয়া পল্কল্টনের একটি অফিসের ঠিকানায় ‘গ্রামীণ মার্কেটিং কোানি’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান গত বছর ফেব্রুয়ারিতে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্টিস্ন দেয়। ওই বিজ্ঞপ্টিস্ন অনুযায়ী সে সেখানে আবেদন করে। সাক্ষাৎকারের পর মাসে ৫ হাজার টাকা বেতনে অফিস এিকিউটিভ পদে চাকরি হয় তার।

এর পর প্রতারক সাগর ও সজীব টয়েনবি সার্কুলার রোডের এসএমসি মার্কেটে একটি অফিস ভাড়া নেয়। নাম দেয় ‘বিএমএমসি’। কিছুদিন পর ওই প্রতিষ্ঠানে স্ট্বর্ণাকে বসতে বলে তারা। স্ট্বর্ণা নয়াপল্কল্টন থেকে নতুন অফিসে বসতে থাকে। সে জানতো প্রতিষ্ঠানের মালিক সজীব, সাগর, মাহবুব ও আনিস মার্কেটিংয়ের ব্যবসা করে।

তারা স্ট্বর্ণাকে বলে, কোনো ডিলার অফিসে গেলে সে যেন এমনভাবে কথা বলে যেন ডিলার তাতে সন্তুষ্দ্ব হয়। গত বছর এপ্রিলে তারা মাহবুবের পরামর্শে ম্যারেজ মিডিয়া খোলে। বিভিল্পম্ন পত্রিকায় পাত্র-পাত্রী চাই কলামে লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে আসছে। বিজ্ঞাপন দেখে ওই অফিসে সহজ-সরল কেউ গেলে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিত চত্রেক্রর সদস্যরা। বিষয়টি নিয়ে স্ট্বর্ণা প্রতিবাদ করলে তার ‘বস’রা তাকে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর আলমগীরের ভয় দেখায়।

আলমগীর ওই অফিসে প্রায়ই যাওয়া আসা করত। সজীবের সঙ্গে ছিল তার বল্পব্দুত্ম্ব। স্ট্বর্ণা বলে, আলমগীরও একদিন আমাকে ভয় দেখিয়ে বলে সজীব সাগর যা বলবে সেভাবেই কাজ করতে হবে। তা না হলে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হবে। আমি পুলিশকে খুব ভয় পাই।

এ কারণে তাদের কথামতো কাজ করেছি। তারা আমাকে চারটি বিয়ে দিয়েছে; কিন্তু মন থেকে আমি কাউকে বিয়ে করিনি। তারা কত টাকা নিয়েছে তাও আমি জানি না। শুধু আমাকে বলা হতো সবুজ ফরমে স্ট্বাক্ষর করলে তারা ৩৫ হাজার টাকা পাবে। স্ট্বর্ণা জানায়, শুত্রক্রবার সমকাল পত্রিকায় রিপোর্ট ছাপা হওয়ার পর সে জানতে পেরেছে, জাকির নামের একজনের সঙ্গে তাকে বিয়ে দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সাগর, সজীবরা।

মঙ্গলবার তাদের গ্রেফতার করার পর স্ট্বর্ণা জানতে পেরেছে, সজীব ও সাগরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পত্রিকায় তার ছবিসহ সংবাদ ছাপা হওয়ার পর সে মোবাইল ফোনে বিষয়টি পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর আজাদকে জানায়। আজাদ তাকে পরামর্শ দেয় বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য। স্ট্বর্ণা বলে, আমি তো কোনো অন্যায় করিনি। বাড়ি থেকে পালিয়ে যাব কেন।

এ কারণে পালাইনি। এক প্রশেম্নর জবাবে স্ট্বর্ণা জানায়, তাকে যারা বিয়ে করেছে তারা নিতে চাইলে সে তাদের সঙ্গে যাবে না। স্ট্বর্ণার পরিচয় ঃ গ্রেফতারকৃত সজীব ও সাগর পুলিশের কাছে জানিয়েছিল মেয়েটির নাম তানিয়া ইসলাম তুলি, ওরফে নাবিলা ওরফে নাতাশা। গতকাল স্ট্বর্ণা জানায়, তার আসল নাম ইফফাত জেরিন খান স্ট্বর্ণা। তার নাম তুলি, নাবিলা, নাতাশা এসব সে জানে না।

তার বাবার নাম জালাল আহমেদ খান। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তারা দু’ভাই এক বোন। সে সবার বড়। স্ট্বর্ণা ২০০৫ সালে এসএসসি পাস করে।

এর পরই তার চাকরি করার স্ট্বপম্ন জাগে। নিজের আয় দিয়ে ইন্টারমিডিয়েট পড়ার জন্য সে চাকরি নেয় বলে জানায়। স্ট্বর্ণার বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়ায়।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.