আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামায়াতের চরিত্র ধুতরা ফুলের মত পবিত্র: সাম্প্রদায়িক উসকানি ও দাঙ্গা ঘটানোর জন্য মওদুদীর ফাঁসি ও ক্ষমা করতে বলায় ভাসানির ঐতিহাসিক ভুল

৭১ এ ছোট ছিলাম, যুদ্ধে যেতে পারি নাই, এই আক্ষেপ ফুরাবার না

জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা আমীর আবুল আলা মওদুদীর ফাঁসির আদেশ হয় ১৯৫৩ সালের ৮ মে। এর আগে ২৮ মার্চ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়িয়ে দাঙ্গা ঘটিয়ে শত শত মৃত্যুর জন্য তাকে দায়ী করে ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল সে সময়ের পাকিস্তান সরকার। দাঙ্গা ছড়ানো হয় কাদিয়ানিদের মারার জন্য। মওদুদী প্রথম কাদিয়ানিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক আওয়াজ তোলে ১৯৫৩ সালের ১৮ জানুয়ারি।

কারাচীতে ৩১ জনের এক ওলেমা সম্মেলনে কাদিয়ানি নামে পরিচিত আহমদীয়া সম্প্রদায়কে অমুসলীম ঘোষণার দাবি করে। সেসময় মূলক তিনটি দাবি তোলা হয়েছিল। ১। কাদিয়ানিদের অমুসলিম সংখ্যালঘু ঘোষণা ২। কাদিয়ানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাফরুল্লাহ খানের পদচ্যুতি ৩।

সকল গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় পদ থেকে কাদিয়ানিদের অপসারণ জামায়াতের প থেকে সেসময় কাদিয়ানি সমস্যা নামে একটি উসকানিমূলক পুস্তিকাও বের করে ব্যাপক ভাবে প্রচারের ব্যবস্থা হয়। সবমিলিয়ে মওদুদীরা এক ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার সৃষ্টি করা হয়। আর এরই প্রতিক্রিয়ায় ৫৩ সালের ফ্রেব্র“য়ারিতে ভয়াবহ দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। পাঞ্জাবেই দাঙ্গার ভয়াবহতা ছিল বেশি। এই দাঙ্গায় কয়েকশ কাদিয়ানির মৃত্যু ঘটে।

এই দাঙ্গার ফলে পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি হয় ১৯৫৩ সালের ৬ মার্চ। আর ৮ মে মওদুদীর ফাঁসির আদেশ হয় এবং আরো দুইজন জামায়াত নেতার হয় সশ্রম কারাদন্ড। পরে অবশ্য এই সামিরক সরকারই মওদুদীকে ছেঁড়ে দেয় ১৯৫৫ সালেল ২৯ এপ্রিল। দাঙ্গা ছড়ানোর মাধ্যমে মওদুদী আসলে সামরিক শাসনকেই টেনে এনেছিলো। আর এখন পর্যন্ত ইতিহাস বলে সামরিক শাসন বা সামরিক সরকার আসলেই সবচেয়ে বেশি লাভবার হয়েছে জামায়াত।

জিয়ার সময় তারা রাজনীতি করার অনুমোদন পেয়েছে, এরশাদের সময় পেয়েছে সহযোগিতা। আর এখনও তারাই সবচেয়ে সুবিধাভোগী। মজার ব্যাপার হলো মওদুদীকে ফাঁসির আদেশের বিরোধীতা করেছিলে মাওলানা ভাসানী ও আজাদ পত্রিকার সম্পাদক মওলানা আকরাম খাঁ। তাদের প্রতিবাদের মুখেই মওদুদীর ফাঁসির আদেশ বাতিল করে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়। আর পরে তো ছেড়েই দেওয়া হয়।

এটা ছিল মাওলানা ভাসানীর একটি ঐতিহাসিক ভুল সিদ্ধান্ত। ভাসানীও তা পরে টের পেয়ে জামায়াত ও মওদুদীর বিরোধীতা করেছিলেন। আর জামাতীরাও পরে ভাসানিকে বলতের মাও-লানা। চীন পন্থী বলেই হয়তো। সেদিন যদি মওদুদী মা না পেতো তাহলে কি ইতিহাস অন্যরকম হতো? বাংলাদেশও বেঁচে যেতো কুখ্যাত দালালদের হাত থেকে।

মওদুদী না থাকলে গো আজমরাও এক দ্রুত সাপ হয়ে বেচে থাকতো পারতো না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.