আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান মানুষেরা - পর্ব ২

“I think therefore I am” কিছু মানুষ যদিও তাকে অভাগা হিসাবে ডাকেন কিন্তু তিনি নিজেকে চরম ভাগ্যবান একজন বলেই মনে করেন। তিনি হলেন ব্রিটেনের নাগরিক John Lyne . তার ৫৪ বছরের জীবনে তিনি ১৬টি মারাত্মক দূর্ঘটনা থেকে প্রাণে বেচে যান, যার প্রায় প্রত্যেক্টিতে তিনি মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসেন। তিনি বজ্রপাতের শিকার হন, একটি ডেলিভারি ভ্যান তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়, একটি চলন্ত বাসের নিচে পড়েন, পাথর ভাঙ্গা মেশিন হতে ছিটকে যাওয়া আক্টি বড় পাথরের টুকরা তাকে সরাসরি আঘাত করে তাতে তার ৮টি দাত পড়ে যায়। এরকম আনেক অ্যাক্সিডেন্ট থেকে বেঁচে ফেরার পর তার পরিবার তাকে কখনও বাইরে বের হতে দিত না। তিনি যদিও ভয় পেতেন না, এবং বলেন যে, “আমি সব সময় আশাবাদী।

আমার তো বেঁচে থাকারই কথা না তার পরেও বেঁচে আছি। যদিও আমার শুক্রবার ১৩ তারিখ খুব সাবধানে থাকতে হয় কারন আমার বেশির ভাগ দূর্ঘটনা গুলো এই দিনেই ঘটে। “ তার জীবনের দূর্ঘটনাগুলো শুরু হয় জীবনের ঊষালগ্ন থেকে। চাষী পরিবারে ৫ ভাই বোনের মধ্য তিনি ছিলেন একজন এবং তার বেঁচে থাকা ছিল অনিশ্চিত, ডাক্তাররা বলেছিলেন, যে তার ফুসফুস অনুন্নত, তার প্রোয়জন ছিল স্টেরয়েডের এবং স্পেশাল কেয়ারের যা তার পরিবারের পক্ষে যোগান দেওয়া কঠিন ছিল। তার ১৮ মাস বয়সের সময় তিনি একবোতল কীটনাশক পান করে ফেলেন এবং হাস্পাতালে নেবার পর সে যাত্রা বেঁচে যান।

একবছর পর একটি মালপত্র বোঝাই কাভারড ভ্যান তার দাদার সামনেই তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়, কিন্তু এ যাত্রাও তিনি বেঁচে যান। ১২ বছর বয়সে ঝড়ের মধ্যে তিনি সাইকেল চালানো অবস্থায় তার উপর বাজ পড়ে এবং তিনি ছিটকে পড়েন অনেক দূরে, সে যাত্রাও তিনি বেঁচে যান। ১৪ বছর বয়সটা ছিল তার জন্য আরও খারাপ, তিনি পানিতে ডুবে যান কিত্নু ভাগ্যের জোরে প্রানে বেঁচে যান এবং এই বছরেই তিনি উঁচু গাছ হতে পড়ে যান। এতে শুধু মাত্র হাত ভাঙ্গা ছাড়া তার আর কোন ক্ষতি হয়নি। কয়েকদিন হাস্পাতালে থাকার পর বাসে করে বাড়ি ফেরার পথে বাসটি এক্সিডেন্ট করে এবং এতে তার একই হাতের অন্য আরেক স্থানে ভেঙ্গে যায়।

২০ বছর বয়সে খনিতে কাজ করার সময় তিনি পাথরের স্তুপের নিচে চাপা পড়েন কিন্তু কপাল গুনে এবারো তিনি বেঁচে যান খনির কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে আবারও তিনি বাসের ধাক্কা খান এবং একটি হাত ভেঙ্গে চূর্ণ হলেও প্রানে বেঁচে যান। এই একই বছরে তার উপর ইলেক্ট্রিসিটির একটি কেবল ছিড়ে পড়ে এবং কোন ক্ষতি ছাড়াই তিনি বেঁচে যান। এরকম আরও বড় বড় বিপদ থেকে তিনি প্রানে বেঁচে যান। বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি সময় তিনি একটি উঁচু ভবনের পরিদর্শন হ্যাচ এর ট্রাপডোর দিয়ে নিচে পড়ে যান এবং ৩২ সপ্তাহ হাস্পাতালে কাটান আর যথারীতি জমের সাথে যুদ্ধ করে সুস্থভাবে ভাড়ি ফিরে আসেন। তিনি বলেন: “আমি অনেক বার কপাল গুনে পার পেয়ে গেছি এবং মানুষ আমাকে বিড়ালের সাথে তুলনা করে, তার মনে করে আমার প্রাণটা বিড়ালের মতই শক্ত।

আমি ভেঙ্গে পড়িনা, এতাই হবার কথা ছিল আর আমি জানি যে আমি চরম ভাগ্যবান একজন মানুষ। (চলবে) .......... বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান মানুষেরা - পর্ব ১ তথ্যসুত্র ঃ ইন্টারনেট  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.