আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসালামের বাইরে কোন রাজনীতি নেই,যদি থাকে তা হল সন্ত্রাশবাদী রাজনীতি

ইসলামের উপর আঘাতকারীদের সহ্য করতে পারিনা.............
রাজনীতি এমন একটি শাস্ত্র যার শাসক-শাসিত,রাজা-প্রজা এবং জাতিসমূহের মাঝে ভ্রাতৃত্ব ও কল্যাণকর,পারস্পরিক ন্যায়গুন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। কারো কারো মতে রাজনীতি এই শাস্ত্র যাদ্বারা আইন কানুন ও নিয়মনিতি জানা যায়। যার মাঝে সমাজ কল্যানের দ্বারা দেখতে পায়। জাতিকে আলোর পথে ও ভ্রাতৃত্বতা গড়ে তুলে। আলোচ্য বিষয় হল ইসলামী রাজনীতির মধ্যে পরস্পর ভ্রাতৃত্বতা ও ন্যাবিচারের সুপ্রতিষ্টা করা।

ইসলামের আইন কানুনের মাধ্যমেই রাজনীতির ল্য,উদ্দেশ্য,প্রতিষ্টিত হয়। মোট কথা রাজনীতি এমন একটি জ্ঞানের নাম,যারদ্বারা,শাসক-শাসিত-রাজা-প্রজাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উটে। এবং এরমধ্যে আন্তর্জাতিক নিয়মনীতির বিবরন থাকে। এবং আল্লাহ তা’য়াল বান্দাদের মাঝে ন্যায়নীতি,যে নীতি কল্যানে জাতির জীবন সুন্দর এবং সার্থক হয়ে ওঠে। হযরত মোহাম্মাদ (সঃ) এর প্রতি ন্যাবিচার প্রতিষ্টা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এজন্য যে বান্দাদের মধ্যে ন্যায় অন্যায় যেন বান্দাগণ বোঝতে পারে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র ক্বোরআনে বলেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা’য়ালা তোমদেরকে ন্যায় বিচার ও সৎকর্মের প্রতি নির্র্দেশ দিয়েছেন (সুরা নাহাল আ: ৯১)। রাসুল সঃ রাজনীতি করেছেন, তাকে রাজনৈতিক নবী বলা হয়। এখন দেখা যায়,আমাদের দেশের রাজনৈতিকরা বলে,যে হুজুরদের কাজ মসজিদে ইমামতি করা,নামাজ রোজা আদায় করা,আবার বলে,ইসলামে রাজনীতি আছে,তবে বর্তমানের রাজনীতি গ্রহনযোগ্য নয়,কেননা ইসলামের রাজনীতির চাইতে,বর্তমান যামানার রাজনীতি অনেক উর্ধ্বে। যারা একথা বলে,তাদেরকে আল্লামা মোশাহিদ (রহঃ) নাস্তিক ও যিন্দিক বলেছে।

যিন্দিক বলা ইসালামের অকাট্যভাবে প্রমান কোন বিষয়কে কটুক্তি করে এবং নিজেকে মুসলমান দাবী করে অথচ নামদারী মুসলমান,এধরনের লোকদেরকে যিন্দিক বলে। আরেক দলের বক্তব্য হচ্ছে,ইসলাম শুধু নামায,রোজা,হজ্ব,যাকাত এর মধ্যে ইসলামে রাজনীতি বলতে কিছুই নাই। তারা এক ধরনের গন্ডমূর্খ এবং বিভ্রান্তী লোক বটে। তাদের কথা এবং কাফেরদের কথার সাথে মিল থাকে। ইসলামের কোন আইনকে (নামাজ,রোজা,হজ্ব,যাকাত,দুই ইদের নামাজ,জুমার নামাজ ইত্যাদি কেহ যদি পালন করেনা এবং ইচ্ছাকৃত ত্যাগ করে) তাহলে শাস্তি স্বরূপ তাদেরকে হত্যা করা বা যাবত জীবন কারাদন্ড দেওয়া এটা একটি রাজনৈতিক বিষয় কি নয় ? অবশ্যই এটা একটি রাজনৈতিক বিষয়।

সার কথা হচ্ছে,মানুষ এর মধ্যে নিশ্চত কোন জ্ঞান নেই। তবে তাহা আল্লাহর কাছ থেকে শিখে নিতে হয়,যেভাবে শিশূরা বড়দের কাছ থেকে শিখে। আমাদের দেশে দেখা যায় কেহ যদি কোন আইনকে উত্তম মনে করে অন্য জন এই আইন কে শোষন মনে করে। যারা ইসলাম ও রাজনীতি আলাদা করে নেয় তারা আসলে ইসলাম কি আর রাজনীতি এটা বোঝে না, তাদেরকে প্রথমে ইসলাম কি আর রাজনীতি সেটা বোঝতে হবে। ইসালামের বাইরে কোন রাজনীতি নেই,যদি থাকে তাহলে সেটাকে সন্ত্রাশবাদী রাজনীতি বলে।

যেমন দুনিয়াতে শুধু রাজনৈতিক সংগঠন গুলোই দেশে অরাজগতা সৃষ্টি করে। ইসলামে কোন সন্ত্রাশ নেই, ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলামের মধ্যেই শান্তি নিহিত।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।