আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খিচুরী



আজকে দুপুরে প্লান ছিল লান্চ করবো না। কারণ রেগুলার অনেক অনেক লান্চ করে আমি অনেক মুটিয়ে যাছ্ছি বলে বউ এর যে পরিমাণ লান্চনা সহ্য করতে হয়, তাতে লান্চ না করে লান্চিত হবার হাত থেকে বাচার জন্য ই আমার এই প্ল্যান ছিল। হা হতোম্মি!! আমার সেই ডায়েটিং এর পরিকল্পনা যে মাঠে মারা যাবে তা কে ভেবেছে? বরং লান্চ ও করা হল আর লান্চিত ও মনে হয় হতে হবে। সে যাই হোক, অফিসের ঘড়িতে তখন দেড়টা বাজে। পেটে ক্ষুধা চুই চুই করে শব্দ করছে।

বাতাসে জং ধরা দরজা নড়লে যেরকম শব্দ পাওয়া যায় আমার পেট থেকেও তেমন শব্দ আসছে। ভাবলাম কি করি-লান্চ তো খাওয়া যাবেনা। এমন সময় কয়েক কলিগ এসে বলল যে ওরা ঘরোয়া তে যাছ্ছে খিচুরী খেতে। ওদের কথা শুনেই ঘরোয়ার সুস্বাদু খিচুরীর ছবি চোখে ভেসে উঠল। কিন্তু নিজেকে দমন করলাম।

ওরা বলল দুইটার দিকে ওরা বের হবে। আমি আর ওদিকে কান না দিয়ে কাজ করতে লাগলাম। কিছুখন পরে আমার বউ ফোন করল। বলল-কি খাবা দুপুরে, আমি বললাম- কিছুই না, তুমি সকালে যা ব্যালেন্সড নাস্তা দিয়েছো তাতে পেট টা তো এখনো ভরাই লাগছে। বউ তো আমার খুশীতে ডগমগ।

হয়তো ওর পাশে কল্পনায় সালমান খান এর মত বডিওয়ালা আমাকে ভাবতে শুরু করে দিয়েছে। কিছু খেতে ইছ্ছা করছে না?-জানতে চাইল, আমি বললাম-ঘরোয়ার খিচুরী খেতে ইছ্ছা করতেছে। এটা শুনে ও বলল-এত খাওয়ার দরকার নাই। আমি ফোন রাখি। আমি ওকে বলে ফোন ছেড়ে দিলাম।

দুইটা দশএর দিকে আমার কলিগরা আবার এল আমার ডেস্ক এ। ওরা বলল- আরে চলেন না কি আর হবে?একদিন এক প্লেট খিচুরী খেলে কিছু হবেনা। ওদের কথা শুনে আমার ও তাই মনে হল আর আমিও সরাসরি ওদের সাথে রওনা দিলাম। আহ কি মজা করে যে খেলাম না খিচুরী। অসাধারন।

পেট পুড়ে খেলাম। খাওয়া দাওয়া করে ঘরোয়া থেকে বের হয়ে আসলাম দন্ত পরিষ্কার করতে করতে। এত খাওয়ার পড়ে চোখে কেমন ঘুম ঘুম লাগছিল। হঠাত দেখি আমার গাড়ির মতই একটা গাড়ী ঘরোয়ার সামনেই দাড়িয়ে আছে আর গাড়ীতে আমার অবিকল আমার বউ এর মত দেখতে একটা মেয়ে বসে। আমি হা করে দাড়িয়ে আছি।

আমার পাশ থেকে আমার ড্রাইভার বেড়িয়ে এল। ওর হাতে খিচুরীর প্যাকেট। আমাকে দেখেই বলল-আরে ভাইয়া, আপা তো আপনার জন্য খিচুরী কিনতে এসেছে। আমি চুপ করে রইলাম। আমার বউ হাত দিয়ে ড্রাইভারকে ডাকল।

ও গেলে কি যেন বলল, তারপর গাড়ী নিয়ে চলে গেল। আজকে রাতে বাসায় গেলে কি হবে কে জানে.

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।