আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বন্ধুকে রোগী হিসেবে দেখতে যাবার স্মৃতি ও কচি ডাবের অভিজ্ঞতা !

নিজেকে নিয়ে কিছু একটা লেখার চেষ্টা, এখোনো করে যাচ্ছি . . .

যে সময়ের কথা বলছি তখন ক্লাস ৭-এ পড়ি। কুমিল্লা ইস্পাহানী পাবলিক স্কুলে। ক্লাসে আমাদের একটি গ্র“প ছিল ৭-৮জনের, ক্লাসের বাকী সব ছাত্রছাত্রী, টিচাররা অতিষ্ঠ হয়ে আমাদের এই গ্র“পের নাম দিয়েছিলেন “জংলী গ্র“প”। এবার তাহলে বুঝে নিন আমরা কেমন জংলী ছিলাম। আমাদেরই গ্র“প মেম্বাার একজন হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ল।

জ্বর, কাশি, ঠান্ডা একসাথে সব অসুখ ভর করল ওর উপর। যাইহোক অবস্থা প্রথমদিকে এমন গুরুতর ছিল শেষ পর্যন্ত ওকে হাসপাতালে নিতে হল। দুদিন পর সবাই মিলে ওকে দেখতে গেলাম, সাথে নিয়ে গেলাম ৩হালি কচি ডাব। বন্ধু বেচারা কচি ডাব খেয়ে বেশ তৃপ্তি হবে ভেবেই সবাই মিলে টাকা জোগাড় করে ৩হালি ডাব কিনে নিলাম। কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে দেখি, বন্ধু বেচারা বেডে নাই, কোথায় কোথায় অবশেষে তাকে খুজে পাওয়া গেল বারান্দায়, পায়চারী করছে।

- কিরে তুই ফিট হলি কবে ? দোস্ত কাল থেকে শরীরটা বেশ ভাল - আরে তুই তো বেটা চামে ফিট হইয়া গেছ, আমরা তো তোর লাইগ্যা কচি ডাব লইয়া আইছ, এখন এগুলার কি হইব - আরে, কি আর হইব, চল কাইটা ফেলি, আহারে কচি ডাবগুলা, শুকায়া যাইব, তাড়াতাড়ি কর তাই হল, হাসপাতালেই কচি ডাবগুলো কাটা হল এবং সবাই মিলে ধুমাইয়া খাওয়াও হল। এমন খাওয়া খাওয়ির দৃশ্য দেখে হাসপাতালের ভিজিটর, রোগী সব হা ! এ কি রোগীর কোন পাত্তা নাই, অথচ রোগীর ভিজিটরের ধূম খাওয়া। একজন তো প্রায় বলেই বসল “এই যে বাবারা ! তোমরা কি শুরু করেছ, রোগীকে খেতে দাও, তোমরাই তো সব শেষ করে দিলে” - জ্বি আংকেল, রোগী পুরো ফিট হয়ে গিয়েছে, ওর আর কচি ডাবের দরকার নেই সব ডাবগুলো শেষ করেই তবে, বাড়ী ফিরেছিলাম।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।