সময়... অনাদি... হতে... অনন্তের... পথে...
উপযুক্ত সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিলীন হয়ে যাচ্ছে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার প্রসিদ্ধ বাঁশ শিল্প। শত শত শিল্পী এ পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। তাদের তৈরি চাটাই, কুলা, ডালা, চালুন, ধুচইন, ঝাঁকা, খলুই, মাছ শিকারের ডরি, পলো বিভিন্ন ধরনের টুকরি সাজিসহ বিভিন্ন দ্রব্য স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত হয়ে থাকে। তাছাড়া বাঁশ দিয়ে তৈরি গেট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ ও সর্বস্তরে সমাদৃত হয়ে আসছে।
এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত বাঁশ শিল্পী নুরুল মিয়া ও মোশাহিদ মিয়াসহ অনেকের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বাঁশ সমৃদ্ধ এ উপজেলায় কয়েক বছর পূর্বেও যেখানে একটি বাঁশের মূল্য ছিল ২৫/৩০ টাকা, বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা বা আরো বেশি মূল্যে।
বাঁেশর স্বল্পতা ও মূল্য বৃদ্ধির কারনে বাঁশ সংগ্রহ করা কঠিন ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাঁশের মূল্য বূদ্বির সঙ্গে সঙ্গে তাদের উৎপাদিত দ্রবাদির সে তুলনায় মূল্য বাড়েনি।
যে কারনে এ শিল্পে নিয়োজিতরা খুব কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছেন। বাঁশ গ্রামাঞ্চলের একটি অত্যাবশ্যকীয় মূলবান সম্পদ। অথচ বাঁশ উৎপাদন বৃদ্বির পরিকল্পিত উদ্যোগ বা কর্মসূচি আজও নেয়া হয়নি।
যে বাঁশের ঝাড় গুলো এখনও টিকে আছে, সে গুলোর উপযুক্ত সংষ্ড়্গার, রনাবেন হচ্ছে না। বাঁশের সংকটের কারণেই এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত শিল্পীরা তির শিকার হচ্ছেন।
উপজেলার আদমপুর, আলীনগর মাধবপুর ও পশ্চিম ভানুগাছ পাহাড়ি এলাকা এক সময় বাঁশের জন্য প্রসীদ্ধ ছিল। লাখ লাখ বাঁশ চাইল বানিয়ে নদীপথে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্যে নেয়া হতো। অথচ ক্রমান্নয়ে তা লোপ পাচ্ছে।
হয়ত এমনও এক সময় আসবে যখন আর কোন বাঁশ শিল্পীকে তার নিজ পেশায় খুঁজে পাওয়া যাবেনা।
বিলীন হয়ে যাবে গ্রাম বাংলার একটি অতি পরিচিত ঐতিহ্য। তাই অবিলম্বে বাঁশের উৎপাদন বৃদ্বি, সংরন ও ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পকে রার উদ্যোগ গ্রহন ও প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।