আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কালিদাসের জ্ঞানের কথা-

তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে লড়তে জানি

নাম্বার এক : -------------- কালিদাস একবার রাস্তা দিয়া যাইতাছিলো। পথিমধ্যে দেখে এক লোক হালচাষ করে। চান্দি ফাটা রইদে লোকটা টক কুল খায়। কালিদাস আশ্চর্য হইয়া দেখে লোকটা তার হাম্বায় পশ্চাৎদেশ থনে লবন নিয়া কুলের মাথায় ভরাইয়া মুখে পুরতাছে। হায় হায়, করো কি করো কি, কইরা কালিদাস আগাইয়া যায়।

লোকটা কয় হুনেন পন্ডিত জ্বী। আমি হাম্বার পশ্চাতে নুন রাখছি তিন আঙুল সমান উচা, তার বর্জ্যে নষ্ট হইছে প্রথম এক আঙুল সমান, দ্বিতীয় এক আঙুল পরিমান বাদ রাইখা আমি তৃতীয় স্তর হইতে নুন কুলে লাগাইতাছি, তাইলে আপনে আমারে কেমনে কন যে আমি হাম্বার নোংরা লাগানো নুন খাইতাছি? কালিদাস গেলোগা টাসকী খাইয়া। মনে মনে কয়, এর তো কোন নামি প্রজেক্টে নাইমা পড়ার কথা আছিলো। ডিসক্লেইমার : কালিদাসের আমলে সামহোয়্যার আছিলো না। নাম্বার দুই : -------------- কালিদাস বাজারের ভিতর দিয়া যাইতাছিলো।

হঠাত দেখে একটা লোকেরে সবাই এয়ছা তেয়ছা পিডা দিতাছে। কারণ হইলো ফাউল কথা কয় খালি। আগা নাই মাথা নাই ফটাশ কইরা একটা কইয়া বইয়া থাকে। মাইর খাইয়াও লোকটা হাসে। এক শান্ত শিষ্ট লোকেরে ডাইকা কালিদাসে জিগায়, কিও মিয়া- হেরে মারে ক্যান মাইনষে? জবাব আসে, হেয় ভর বাজারে নানান পদের আকাইম্যা কিচ্ছা রটায়।

শোধরাইয়া দিলে ফ্যা ফ্যা কইরা হাসে, হেরপর বকা দিলে খিক খিক কইরা হাসে, তারপর মাইর দিলে ঠ্যা ঠ্যা কইরা হাসে! এইবার কালিদাস, ঐ লোকটার কাছে গিয়া জিগায়, মিয়া তোমার শরম করে না এমনে হাসতাছো যে! মিয়া কয়, পন্ডিত জ্বী- মানীর মান তিন হাত উঁচা। মাইরা না হয় দুই হাতই কমাইয়া দিলো বাকিতো রইলো আরো এক হাত। ঐডা থাকলেই চলবো! ডিসক্লেইমার : এই রকম মানী লোক সবসময়ই আছিলো, ইতিহাস সাক্ষী। (এই ইতিহাসের সংকলন আমি করি নাই, উইকিপেডিয়াতে নতুন ঢুকলে ঢুকতে পারে)। নাম্বার তিন : --------------- কাইল্যাচোরা বলে এক লোক থাকে গ্রামে।

ভালো নাম কলিছুদ্দীন। সংক্ষেপে কালু ---> কাইল্যা। হাতটানের অভ্যাস আছে বইলা 'চোরা' টাইটেল যোগ হইছে। গ্রামের চেয়ারম্যানের পেয়াদা সহযোগে কালিদাস আসছে তার বাড়িতে। উদ্দেশ্য হেদায়েত করা, যাতে চুরি-দারী আর না করে।

তো আইসা কালিদাস সুন্দর করে ডাক দিলো। কলিছুদ্দীন সাহেব বাড়ি আছেন? কোন উত্তর দেয় না ঘরে থেকেও। বউ তাড়া দেয়, আপনেরে ডাকে হুনেন না? কয় তুই চুপ কর মাগী। আমার নাম ফাটুক। আবার হাঁক, কলিছুদ্দীন বাড়ি আছো? এবারও একই অবস্থা।

কোন সাড়া নাই এবং বউকে ধমক। এবার পেয়াদা হাঁক ছাড়ে, ঐ কাইল্যাচোরা চুদির ভাই, ঘরো আছোস? কাইল্যাচোরা এবার বের হয়ে আসে। কালিদাস কেবল মুখে 'চু চু চু' একটা শব্দ করেন। ডিসক্লেইমার : শোনা যায় কাইল্যাচোরার ভূত নাকি সামহোয়্যারে ঘোরাফেরা করে। ----------------------------------------------------- নিষ্কলুষ কৌতুক, কেউ আহত হলে কালিদাসরে গিয়া ধরেন আমারে না।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।