রবীন্দ্রনাথ এক সময়ে বিস্ময়ের সঙ্গে আবিষ্কার করেছিলেন যে, আরো অনেক ভাষার মতো বাংলাভাষায়ও আমরা বা
বিশুদ্ধ মূর্ধন্য 'ণ' এর ধ্বনি বাঙলা ভাষায় নেই।
ফলে লিখিত রূপে 'ণ' থাকলেও উচ্চারণগত দিক থেকে এ বর্ণটি দন্ত্য 'ন' এর সঙ্গে অভিন্ন।
অধ্যাপক আবদুল হাই তাঁর 'ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব' গ্রন্থে বলেছেন, "বানান যেখানে যেমনই হোক অসংযুক্ত 'ণ' উচ্চারণ বাংলাতে খাঁটি দন্তমূলীয়ই। মূর্ধন্য 'ণ' এর উচ্চারণগত এ সীমিত ব্যবহারই একে মূলধ্বনি (Phoneme) থেকে অপসারিত করে দন্তমূলীয় 'ন' এর একটি সদস্য বা allophone রূপে পরিগণিত করেছে।"
সুতরাং অযথা মূর্ধন্য 'ণ' কে বর্ণমালায় রাখা কি প্রয়োজন? মূর্ধন্য 'ণ' কে বর্ণমালা থেকে বাদ দেয়ার প্রস্তাব করছি।
'ণ' এবং 'ন' এর উচ্চারণ যে অভিন্ন কয়েকটি উদাহরণ দিলেই তা প্রমাণিত হবে। যেমন:--
ধরণী = ধরনি
রণ = রন
চরণ = চরন
স্মরণ = শঁরন
সরণী = শরনি
তরুণ = তরুন
অরুণ = অরুন ইত্যাদি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।