আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিরপেক্ষতা একটি সুবিধাবাদী নীতি

দুঃখটাকে দিলাম ছুটি, আসবে না ফিরে

নিঃসন্দেহে নিরপেক্ষতা শব্দটা অপ্রয়োজনীয়। এর বাস্তব কোন প্রয়োগ নাই। এই নীতি ছাড়াই রাষ্ট্র সমাজ খুব সাবলীলভাবে চলতে পারে। বরং, এই নীতির আড়ালে অনেক অসাধুতা করার সুযোগ আছে। আমরা কথায় কথায় বলি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করার কথা।

প্রথম দুইটি ঠিক আছে। কিন্তু শেষেরটি, যিনি বলছেন তিনি কি ভোট দিবেন না... তাহলে কিভাবে নিরপেক্ষ হল? আচ্ছা ভাবলাম তিনি ভোট দিবেন না, যখন ফলাফল ঘোষণা করা হবে তখন তো ফলাফল কোন না কোন পক্ষেই যাবে। তাহলে তা কিভাবে নিরপেক্ষ হয়? দুইটি দলে খেলা হবে। একজন দল নিরপেক্ষ আম্পায়ার দরকার। পাওয়া গেল, কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল কোথায় তার নিরপেক্ষতা? আউট হলে আউট দেন।

যার পক্ষে রায় দেন তিনি সন্তুষ্ট হন আর অন্য পক্ষ হয় অসন্তুষ্ট। কেন রে ভাই, নিরপেক্ষ থাকলেই তো ঝামেলা চুকে যায়। তাহলে আর কেউ খেলা দেখতে আসবে না! এরকম ভুরি ভুরি উদাহরণ দেয়া যাবে, যেখানে দল নিরপেক্ষ, ধর্ম নিরপেক্ষ, জোট নিরপেক্ষ শব্দের ব্যবহার দেখা যায়। তবে একটা বিষয় হতে পারে.... যেমন আমি খেলা নিরপেক্ষ, তার মানে আমি খেলা বুঝি না- এ ব্যাপারে আমার কোন আগ্রহও নাই। আমি ধর্ম নিরপেক্ষ।

সেক্ষেত্রেও একই ব্যাখ্যা। জোট নিরপেক্ষ! আবার নিজেরাই জোট করে বসে আছেন! এই নীতিটা সুবিধাবাদীদের জায়গা করে দেয়। কারণ, খুব সহজেই যে কোন পক্ষের লোক এই নীতির নীচে আশ্রয় নিয়ে নিজেকে নিরাপদ মনে করতে পারে। চ্যানেল আইয়ের তৃতীয় মাত্রায় একবার দেখলাম, বিএনপির কোন এক নেতা আর একজন তথাকথিত নিরপেক্ষ লোকের মধ্যে বচসা চলছে। নিরপেক্ষ ব্যক্তিটি খুব সুন্দর করে বিএনপির বিরুদ্ধে বলে যাচ্ছেন আর আওয়ামীলিগের পক্ষে কথা বলছেন।

যখনই বিএনপির সেই নেতা আওয়ামী লীগের কারও দোষের কথা বলছেন। তখন উনি সুন্দর দুই হাত উপরে তুলে বলছেন আমি তো আওমীলীগ করি না। কি সুন্দর নিরপেক্ষতা! বাস্তবে নিরপেক্ষতা শব্দের মধ্যে নয়, সমাধান রয়েছে জাস্টিসের মধ্যে। এই নিরপেক্ষতা শব্দ না থাকলে আমাদের নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্তাবধায়ক সরকারের প্রধান খুঁজতে গলদঘর্ম হতে হতো না। যিনি সারা জীবন জাস্টিস করে এসেছেন তিনি আওয়ামীলিগেরই হোক, বিএনপিরই হোক, জাতীয় পার্টিরই হোক আর জামায়াতেরই হোক তাতে কিছু যায় আসে না।

যিনি জাস্টিস করতে জানেন তিনি সবখানেই পারেন, সবসময়ই পারেন। আমি কম জানাশুনা লোক। যতটুকু কোরআন পড়েছি, তাতে এই শব্দের ব্যবহার দেখিনি। সেখানে সমতার কথা বলা হয়েছে, ন্যায়ের কথা বলা হয়েছে। কোরআন ইনসাফের পক্ষে নির্দশ দেয়.. এমন একটি আয়াত হলো....... "আল্লাহ তায়ালা সুবিচার-ইনসাফ, অনুগ্রহ ও আত্নীয় স্বজনকে দানের নির্দেশ দিচ্ছেন।

এবং অন্যায়-পাপ, নির্লজ্জতা ও যুলুম-অত্যাচার করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে নসিহত করছেন, যেন তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পার। " (নাহলঃ ৯০) এরকম আরও আয়াত দেখানো যাবে......

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।