আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে লাউ সেই কদু, এক ফোঁটাও কমেনি সিএনজি ভোগান্তি

ই চ্ছে খা তা

গরিব মানুষের ঘোড়া রোগের মতই আমি সিএনজি নিয়া লিখতে বসছি, বাধ্য হয়েই আবার। আমার বাসাটা ঠিক জায়গাতেই, শ্রমিক অঞ্চলেই, তেঁজগাতে। কিন্তু অফিসটা ভুল জায়গায়, বড়লোকদের এলাকায়, গুলশানে। ইদানিং শ্রমিক অঞ্চলের সাথে অদৃশ্য দেয়াল তোলার মতই এই দুই এলাকার মধ্যে রিকশা চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই সিএনজি নিতে হয়, আর তাই নিয়েই প্রতিদিনের সকাল শুরু হয় আমার মেজাজ খারাপ নিয়ে।

বাসার মোড়ে সিএনজি পাওয়া যায় দু/তিনটা। আমি খুব হাসি মুখ নিয়ে চালেকর সামনে যাই। আমার বয়সের কাছাকাছি হলে ভাই, একটু বেশি বয়সী হলে চাচা ডাকি, তারপর 'যাবেন?'। উহু, গুলশান গিয়া নাকি তাদের পোষায় না। বাড়াইয়া দিতে চাওয়ার প্রস্তাবটা দিতেও বুকের মধ্যে খচখচ করে, আর চোখের সামনে ভাসে দেরি করে অফিস পৌছানোর পরে বসের চেহারা।

বাধ্য হয়েই বলি, 'চলেন না, বাড়াইয়া দিমুনে'। তবুও রাজি হয় না, কখনো কেউ কেউ আমারে ভাগ্যবান বানিয়ে রাজি হয়ে যান, আহারে কি আনন্দ! নতুন মিটার হওয়ার আগে ঐ সময়টাতে আমি চলতে চলতে বেশ কিছু সিএনজি চালকের সাথে কথা বলেছি। তখন ফিডব্যাকও পেয়েছিলাম মোটামুটি ভালো। তারা বলতো, যদি জমার টাকা কমিয়ে নেয়, আর মিটারে ভাড়া বাড়ায়, তাহলে আর কোন সমস্যা থাকবে না, তারা সব জায়গায়ই মিটারে যাবে। খুব ভেবেছিলাম খুশি হয়ে, আমার মনে হয় আর সকাল বেলাতেই এই ঝক্কি আর পোহাতে হবে না।

কিন্তু এখন যে লাউ, সেই কদু। সমস্যাটা কই? বুঝি না। গ্যাস নেবার জন্য লম্বা লাইন একটা বড় কারন। স্টেশনে নাকি গ্যাস নাই, পর্যাপ্ত স্টেশনও নাই। কিন্তু সমস্যা সমাধানে উদ্যোগও নাই কোন।

মাঝে মাঝে এও মনে হয়, সিএনজির বর্তমান মিটারিং একটা বিষয়ে বাস্তব সম্মত না। সিএনজির নূন্যতম ভাড়া নির্ধারন করা আছে ১৫টাকা। কিন্তু কোন সিএনজি চালকই ১৫ টাকার ভাড়ার পথে যেতে রাজি হয় না কখনোই, কমপক্ষে ৩০-৪০ টাকা ভাড়া উঠবে এটা নিশ্চিত হলেই তারা রাজি হ্য়। সেক্ষেত্রে নূন্যতম ভাড়াটাও বাড়ানো উচিত আরও। যাই হোক, এই তত্বাবধায়ক সরকারের নানা সুপদক্ষেপের মতো এই পদক্ষেপে খুব খুশি হলেও আসল চেহারা পাল্টায়নি একটুও, শুধু খানিকটা বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের, ভোগান্তি রয়ে গেছে সেই পুরানো যায়গায়।

এই সরকারের অন্য পদক্ষেপগুলোরও কি এই একই দশা হতে যাচ্ছে! সম্ভাবনা তো থেকেই যায়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।