আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দ্রোহী পুরাণ ০১

একমাত্র ব্যানমুক্ত ব্লগ!

“দ্রোহী পুরাণ সিরিজের গল্পগুলোর মাল-মশলার যোগানদার মুখফোড়” ****************************************** ঈশ্বর ইদানিং বড়ই বির‌ক্তি অনুভব করিতেছেন! মাঝে কয়বার জেমস বন্ডাইল ছাগুতে উপগত হইতে চেষ্টা করিয়াছিল! প্রতিবাদী ছাগু স্বর্গ জুড়ে তারস্বরে ম্যাৎকার করিয়া বেশ একটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করিতে সক্ষম হইয়াছিলো! এখন আবার সেই একঘেয়ে স্বর্গ! এর একটা বিহিত করা অতীব জরুরী হইয়া দাড়াইয়াছে। ঈশ্বর গোপনে জেমস বন্ডাইলকে ডাকিয়া আদমের কাছে সংবাদ পাঠাইলেন- আদম যদি স্বর্গে ফিরিয়া আসিতে রাজী হয়, তাহা হইলে পুনরায় অমরত্ব লাভ করিবে, নিষিদ্ধ ফল ভক্ষনেও বাধা থাকিবে না আর, ঠিক যেমনটি ছিল সবকিছু তেমনি করিয়া দেওয়া হইবে! ঈভের প্ররোচনায় নিষিদ্ধ ফল ভক্ষনের অপরাধে স্বর্গ হইতে বিতাড়িত হইবার পর পৃথিবীতে আসিয়াই আদম প্রথমে ঈভের উপর বলপ্রয়োগপূর্বক উপগত হইয়া শোধ তুলিতে চেষ্টা করিলো। আদমের এই কুৎসিত প্রচেষ্টায় শাপে বর হইলো! ঈভ টাইপরাইটারের খটখটিতে এতবেশী মুগ্ধ হইয়া গেল যে স্বর্গজীবনে কেন সে আদমকে টাইপরাইটার দিয়া মহাকাব্য লিখিতে দিলো না তাহা ভাবিয়া বুক চাপড়াইতে লাগিলো! বুক চাপড়ানোর ফলে ঈভের সুডৌল বক্ষ আন্দোলিত হইতে লাগিলো। এইদিকে কাঁচুলির নড়াচড়া দেখিয়া আদমের টাইপরাইটারখানা পুনরায় কর্মক্ষম হইয়া উঠিলো। সে এক দিস্তা কাগজ টানিয়া লইয়া টাইপরাইটারে ঢুকাইয়া যেইমাত্র টাইপ শুরু করিতে যাইবে, ঠিক তখুনি জেমস বন্ডাইল আসিয়া গলা খাঁকারিয়া কহিল, “বন্ডাইল! জেমস বন্ডাইল!” আদম টাইপরাইটার খানা একপাশে সরাইয়া জেমস বন্ডাইলের টেরি টানিয়া ধরিয়া বলিলো, “মারিয়া পস্তা উড়াইবো! ছাগুরাম কাব্য লিখিতে বাধাপ্রদান? স্বর্গ পাইয়াছ? এয়ার্কি োদাও আমার সাথে?” জেমস বন্ডাইল বলিলো, “ঈশ্বর খবর পাঠাইয়াছেন, তিনি তোমাদিগকে পূণরায় স্বর্গে ফিরাইয়া লইয়া যাইতে রাজী হইয়াছেন।

তিনি বলিয়াছেন স্বর্গে ফিরিয়া যাইতে রাজী হইলে সবকিছুই আগের মতো করিয়া দেওয়া হইবে। ” আদম ভাবিয়া দেখিলো, সবকিছুই আগের মতো করিয়া দিলে ঈভ তাহাকে আবারও টাইপরাইটার ব্যবহার করিতে দিবে না। মৃত্যুহীন, ক্লান্তিময় জীবনে কলমে লিখিয়া যে পরিমান ছাগুরাম কাব্য রচনা করিতে পারিবে, টাইপরাইটার ব্যাবহার করিলে অল্প কয়েক বছরেই সে তাহা অপেক্ষা ঢের বেশী কাব্য রচনা করিতে পারিবে। কলমে লেখা কাব্যগুলো যেইখানে নিঃসঙ্গ বচন হইবে, সেইখানে টাইপরাইটার ব্যবহার করিলে প্রেমময় কাব্য রচিত হইবে। “ঈশ্বরকে বলিও ছাগুরামকে সাথে লইয়া মৌজে মাতিতে।

আমি ও ঈভ স্বর্গে ফিরিয়া যাইবো না বলিয়া মনস্থির করিয়াছি। ”-মেঘস্বরে কহিলো আদম। জেমস বন্ডাইল ফিরিয়া আসিয়া দুঃসংবাদ জানাইবার পর হইতেই ঈশ্বর চরম মুষড়ে পড়িয়াছেন! তাহার এই বিরক্তিকর জীবনে কিরুপে আনন্দসঞ্চার করা সম্ভবপর হইবে, ভাবিয়া ভাবিয়া পেরেশান হইতে লাগিলেন! অবশেষে তিনি একটা বুদ্ধি বাহির করিলেন। তিনি একদা প্রাতঃকালে কারিগর টাইপের কয়েকজন স্বর্গদূতকে ডাকিয়া স্বর্গের মাঝামাঝি জায়গায় একটি বাঁশবাগান বানাইতে নির্দেশ প্র্রদান করিলেন। বাঁশ বাগান তৈরি হইবার পর, উহা পাহারার কাজে কঞ্চিত্ত্ব নামক এক দুবৃত্তরুপী স্বর্গদূতকে নিয়োগ করিলেন।

একটা গ্যাঞ্জাম লাগাইবার অভিপ্রায়ে তিনি কঞ্চিত্ত্বকে বলিলেন, “তুমি ইচ্ছা করিলে আমাকে অমান্য করিতে পার! আমি কিছু মনে করিবো না বরং তোমার বাঁশবাগানের ত্রি-সীমানায় যে কেহ প্রবেশ করিলেই তুমি তাহাতে উপগত হইতে পার। আমি উক্ত কর্মে বাধা প্রদান করিবো না। উহা তোমার একার সাম্রাজ্য!” একদিন হঠাৎ কঞ্চিত্ত্ব ঘোষনা করিলো, “ঈশ্বর স্বর্গদূতদের সাথে হারামীপনা করিতেছেন। পৃথিবীতে আদম-ঈভ অনেক মাস্তি করিতেছে, তাহারা পরমানন্দে টাইপরাইটার দিয়া ঝড়ের গতিতে দিস্তার পর দিস্তা ছাগুরাম কাব্য রচিতেছে! এইদিকে স্বর্গদূতেরা অপরাধ না করিয়াও কলমে লিখিতে বাধ্য হইতেছে! ইহা অবিচার, অত্যাচার রুপেই পরিগণিত হইতেছে। আসুন স্বর্গদূতগন আমরা সকলে মিলিয়া এই ঈশ্বরের নিকূচি করি! ” ঠিক সেইসময় জেমস বন্ডাইল আসিয়া ছাগুরামকে খবর জানাইলো, “তোমার জন্মস্থান চন্দ্রপুকুরে- তোমার এক ভ্রাতা জন্ম লইয়াছেন।

জন্মেই তিনি স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়াছেন, তিনি বলিয়াছেন- এই ঈশ্বর একটা অপদার্থ! আর তাই ঈশ্বর তোমাকে মৌদুধিপুরাণখানা লইয়া তোমার ভ্রাতার নিকট যাইয়া, তাহাকে উত্তম রুপে দীক্ষিত করিবার নির্দেশ প্রদান করিয়াছেন। ” ছাগুরাম মৌদুধিপুরাণখানা গামছায় বাঁধিয়া লইয়া চন্দ্রপুকুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবার প্রাক্কালে জেমস বন্ডাইলকে বলিলো, “কঞ্চিত্ত্বকে বলিবে, জরুরী কাজে বাহিরে যাইতে হইতেছে! ফিরিয়া আসিয়া বিশদ বলিবো!” পথচলায় ক্লান্ত ছাগুরাম পথিমধ্যে বাঁশবাগান দেখিয়া ভাবিলো - কাজলা দিদি কবিতাটি এক মুরতাদ স্বর্গদূতের সৃষ্টি। “বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই” - বাক্যখানায় মুরতাদ স্বর্গদূত সত্য কি মিথ্যা বলিয়াছে তাহা নিরুপন করিতে হইলে বাঁশবাগানে প্রবেশ করিয়া দেখিতে হইবে। যেই ভাবা সেই কাজ! ছাগুরাম ক্লান্ত পদে বাঁশবাগানে গভীরে প্রবেশ করিলো। ছাগুরামের অজ্ঞাতসারে দুবৃত্তরুপী স্বর্গদূত কঞ্চিত্ত্ব নিঃশব্দে ছাগুরামের পশ্চাতে আসিয়া উপস্থিত হইলো।

কিয়ৎকাল বাদেই কাতর ম্যাৎকার স্বর্গের আকাশে-বাতাসে আলোড়ন তুলিলো, কিন্তু কেহই ছাগুরামকে উদ্ধারকল্পে আগাইয়া আসিলো না। ×××××××××××× স্বর্গে বেজায় গোল হইতেছে। স্বর্গদূতগন দুই-পক্ষে ভাগ হইয়া কঞ্চিত্ত্ব কতৃক ছাগুতে উপগত হইবার ঘটনাকে কেন্দ্র করিয়া ঈশ্বরের পক্ষে-বিপক্ষে তর্কে লিপ্ত হইয়াছে। দীর্ঘদিন পর পরিপূর্ণ আনন্দ লইয়া ঈশ্বর তাহার চৌকির পানে আগাইতে লাগিলেন। কিয়ৎকাল বাদেই ঈশ্বরের বিকট নাসিকা-গর্জন শোনা যাইতে লাগিলো! ******************** মুখফোড় অনুপস্থিত, কিন্তু তাহার ছড়াইয়া দেয়া আগুন আজও বাংলার ঘরে ঘরে প্রজ্জলিত।

ঈশ্বর ইদানিং বড়ই বির‌ক্তি অনুভব করিতেছেন! মাঝে কয়বার জেমস বন্ডাইল ছাগুতে উপগত হইতে চেষ্টা করিয়াছিল! প্রতিবাদী ছাগু স্বর্গ জুড়ে তারস্বরে ম্যাৎকার করিয়া বেশ একটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করিতে সক্ষম হইয়াছিলো! এখন আবার সেই একঘেয়ে স্বর্গ! এর একটা বিহিত করা অতীব জরুরী হইয়া দাড়াইয়াছে। ঈশ্বর গোপনে জেমস বন্ডাইলকে ডাকিয়া আদমের কাছে সংবাদ পাঠাইলেন- আদম যদি স্বর্গে ফিরিয়া আসিতে রাজী হয়, তাহা হইলে পুনরায় অমরত্ব লাভ করিবে, নিষিদ্ধ ফল ভক্ষনেও বাধা থাকিবে না আর, ঠিক যেমনটি ছিল সবকিছু তেমনি করিয়া দেওয়া হইবে! ঈভের প্ররোচনায় নিষিদ্ধ ফল ভক্ষনের অপরাধে স্বর্গ হইতে বিতাড়িত হইবার পর পৃথিবীতে আসিয়াই আদম প্রথমে ঈভের উপর বলপ্রয়োগপূর্বক উপগত হইয়া শোধ তুলিতে চেষ্টা করিলো। আদমের এই কুৎসিত প্রচেষ্টায় শাপে বর হইলো! ঈভ টাইপরাইটারের খটখটিতে এতবেশী মুগ্ধ হইয়া গেল যে স্বর্গজীবনে কেন সে আদমকে টাইপরাইটার দিয়া মহাকাব্য লিখিতে দিলো না তাহা ভাবিয়া বুক চাপড়াইতে লাগিলো! বুক চাপড়ানোর ফলে ঈভের সুডৌল বক্ষ আন্দোলিত হইতে লাগিলো। এইদিকে কাঁচুলির নড়াচড়া দেখিয়া আদমের টাইপরাইটারখানা পুনরায় কর্মক্ষম হইয়া উঠিলো। সে এক দিস্তা কাগজ টানিয়া লইয়া টাইপরাইটারে ঢুকাইয়া যেইমাত্র টাইপ শুরু করিতে যাইবে, ঠিক তখুনি জেমস বন্ডাইল আসিয়া গলা খাঁকারিয়া কহিল, “বন্ডাইল! জেমস বন্ডাইল!” আদম টাইপরাইটার খানা একপাশে সরাইয়া জেমস বন্ডাইলের টেরি টানিয়া ধরিয়া বলিলো, “মারিয়া পস্তা উড়াইবো! ছাগুরাম কাব্য লিখিতে বাধাপ্রদান? স্বর্গ পাইয়াছ? এয়ার্কি োদাও আমার সাথে?” জেমস বন্ডাইল বলিলো, “ঈশ্বর খবর পাঠাইয়াছেন, তিনি তোমাদিগকে পূণরায় স্বর্গে ফিরাইয়া লইয়া যাইতে রাজী হইয়াছেন।

তিনি বলিয়াছেন স্বর্গে ফিরিয়া যাইতে রাজী হইলে সবকিছুই আগের মতো করিয়া দেওয়া হইবে। ” আদম ভাবিয়া দেখিলো, সবকিছুই আগের মতো করিয়া দিলে ঈভ তাহাকে আবারও টাইপরাইটার ব্যবহার করিতে দিবে না। মৃত্যুহীন, ক্লান্তিময় জীবনে কলমে লিখিয়া যে পরিমান ছাগুরাম কাব্য রচনা করিতে পারিবে, টাইপরাইটার ব্যাবহার করিলে অল্প কয়েক বছরেই সে তাহা অপেক্ষা ঢের বেশী কাব্য রচনা করিতে পারিবে। কলমে লেখা কাব্যগুলো যেইখানে নিঃসঙ্গ বচন হইবে, সেইখানে টাইপরাইটার ব্যবহার করিলে প্রেমময় কাব্য রচিত হইবে। “ঈশ্বরকে বলিও ছাগুরামকে সাথে লইয়া মৌজে মাতিতে।

আমি ও ঈভ স্বর্গে ফিরিয়া যাইবো না বলিয়া মনস্থির করিয়াছি। ”-মেঘস্বরে কহিলো আদম। জেমস বন্ডাইল ফিরিয়া আসিয়া দুঃসংবাদ জানাইবার পর হইতেই ঈশ্বর চরম মুষড়ে পড়িয়াছেন! তাহার এই বিরক্তিকর জীবনে কিরুপে আনন্দসঞ্চার করা সম্ভবপর হইবে, ভাবিয়া ভাবিয়া পেরেশান হইতে লাগিলেন! অবশেষে তিনি একটা বুদ্ধি বাহির করিলেন। তিনি একদা প্রাতঃকালে কারিগর টাইপের কয়েকজন স্বর্গদূতকে ডাকিয়া স্বর্গের মাঝামাঝি জায়গায় একটি বাঁশবাগান বানাইতে নির্দেশ প্র্রদান করিলেন। বাঁশ বাগান তৈরি হইবার পর, উহা পাহারার কাজে কঞ্চিত্ত্ব নামক এক দুবৃত্তরুপী স্বর্গদূতকে নিয়োগ করিলেন।

একটা গ্যাঞ্জাম লাগাইবার অভিপ্রায়ে তিনি কঞ্চিত্ত্বকে বলিলেন, “তুমি ইচ্ছা করিলে আমাকে অমান্য করিতে পার! আমি কিছু মনে করিবো না বরং তোমার বাঁশবাগানের ত্রি-সীমানায় যে কেহ প্রবেশ করিলেই তুমি তাহাতে উপগত হইতে পার। আমি উক্ত কর্মে বাধা প্রদান করিবো না। উহা তোমার একার সাম্রাজ্য!” একদিন হঠাৎ কঞ্চিত্ত্ব ঘোষনা করিলো, “ঈশ্বর স্বর্গদূতদের সাথে হারামীপনা করিতেছেন। পৃথিবীতে আদম-ঈভ অনেক মাস্তি করিতেছে, তাহারা পরমানন্দে টাইপরাইটার দিয়া ঝড়ের গতিতে দিস্তার পর দিস্তা ছাগুরাম কাব্য রচিতেছে! এইদিকে স্বর্গদূতেরা অপরাধ না করিয়াও কলমে লিখিতে বাধ্য হইতেছে! ইহা অবিচার, অত্যাচার রুপেই পরিগণিত হইতেছে। আসুন স্বর্গদূতগন আমরা সকলে মিলিয়া এই ঈশ্বরের নিকূচি করি! ” ঠিক সেইসময় জেমস বন্ডাইল আসিয়া ছাগুরামকে খবর জানাইলো, “তোমার জন্মস্থান চন্দ্রপুকুরে- তোমার এক ভ্রাতা জন্ম লইয়াছেন।

জন্মেই তিনি স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়াছেন, তিনি বলিয়াছেন- এই ঈশ্বর একটা অপদার্থ! আর তাই ঈশ্বর তোমাকে মৌদুধিপুরাণখানা লইয়া তোমার ভ্রাতার নিকট যাইয়া, তাহাকে উত্তম রুপে দীক্ষিত করিবার নির্দেশ প্রদান করিয়াছেন। ” ছাগুরাম মৌদুধিপুরাণখানা গামছায় বাঁধিয়া লইয়া চন্দ্রপুকুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবার প্রাক্কালে জেমস বন্ডাইলকে বলিলো, “কঞ্চিত্ত্বকে বলিবে, জরুরী কাজে বাহিরে যাইতে হইতেছে! ফিরিয়া আসিয়া বিশদ বলিবো!” পথচলায় ক্লান্ত ছাগুরাম পথিমধ্যে বাঁশবাগান দেখিয়া ভাবিলো - কাজলা দিদি কবিতাটি এক মুরতাদ স্বর্গদূতের সৃষ্টি। “বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই” - বাক্যখানায় মুরতাদ স্বর্গদূত সত্য কি মিথ্যা বলিয়াছে তাহা নিরুপন করিতে হইলে বাঁশবাগানে প্রবেশ করিয়া দেখিতে হইবে। যেই ভাবা সেই কাজ! ছাগুরাম ক্লান্ত পদে বাঁশবাগানে গভীরে প্রবেশ করিলো। ছাগুরামের অজ্ঞাতসারে দুবৃত্তরুপী স্বর্গদূত কঞ্চিত্ত্ব নিঃশব্দে ছাগুরামের পশ্চাতে আসিয়া উপস্থিত হইলো।

কিয়ৎকাল বাদেই কাতর ম্যাৎকার স্বর্গের আকাশে-বাতাসে আলোড়ন তুলিলো, কিন্তু কেহই ছাগুরামকে উদ্ধারকল্পে আগাইয়া আসিলো না। ×××××××××××× স্বর্গে বেজায় গোল হইতেছে। স্বর্গদূতগন দুই-পক্ষে ভাগ হইয়া কঞ্চিত্ত্ব কতৃক ছাগুতে উপগত হইবার ঘটনাকে কেন্দ্র করিয়া ঈশ্বরের পক্ষে-বিপক্ষে তর্কে লিপ্ত হইয়াছে। দীর্ঘদিন পর পরিপূর্ণ আনন্দ লইয়া ঈশ্বর তাহার চৌকির পানে আগাইতে লাগিলেন। কিয়ৎকাল বাদেই ঈশ্বরের বিকট নাসিকা-গর্জন শোনা যাইতে লাগিলো! ******************** মুখফোড় অনুপস্থিত, কিন্তু তাহার ছড়াইয়া দেয়া আগুন আজও বাংলার ঘরে ঘরে প্রজ্জলিত।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.