জমজমাট এক সমাপ্তির অপেক্ষায় হারারে টেস্ট। শেষ দিনে কে হাসবে, জিতে নেবে দ্বিতীয় টেস্ট, চতুর্থ দিন শেষে তার কিছুই আন্দাজ করা যাচ্ছে না। পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ে কে জিতবে আন্দাজ করা না গেলেও এটা নিশ্চিত, হঠাৎ করেই আবহাওয়া বাগড়া না দিলে ড্র হচ্ছে না সিরিজের শেষ টেস্টটি। জিম্বাবুয়ে আজ দিন শুরু করবে পাকিস্তানের শেষ ৫ উইকেট তুলে নিতে। ৫ উইকেটে ১৫৮ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করা পাকিস্তান চাইবে প্রয়োজনীয় ১০৬ রান তুলে নিতে।
জিম্বাবুয়ের একাদশ টেস্ট জয়ের স্বপ্ন কেড়ে নিতে এখনো ক্রিজে পাকিস্তান অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক।
৭৮ রানের মধ্যে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে করেছে ১৯৯। আর তাতেই রেকর্ড ২৬৪ রানের লক্ষ্য দেওয়া গেছে পাকিস্তানের সামনে। জিম্বাবুয়ের মাটিতে এর আগে চতুর্থ ইনিংসে দুই শ পেরিয়ে জিততে পারেনি কোনো দল। তবে পাকিস্তান অনুপ্রাণিত হতে পারে ইতিহাসের কাছ থেকেই।
জিম্বাবুয়েতে চতুর্থ ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডটা কিন্তু তাদেরই। ১৯৯৮ সালে এই ভেন্যুতেই ১৯২ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে জিতেছিল রশিদ লতিফের পাকিস্তান।
লক্ষ্যটা বড়। পাকিস্তানি ওপেনাররা শুরু করেন তেড়েফুঁড়েই। ম্যাচের ধারার বিপরীতে ৭.৪ ওভারে দলকে ৩০ রান এনে দেওয়ার পর আউট মোহাম্মদ হাফিজ।
১৬ রান পর চাতারার বলে বোল্ড রানের খাতা খুলতে না-পারা আজহার আলী। এরপরই পাকিস্তানের ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটিটি গড়েন খুররম মনজুর ও ইউনিস খান। প্রথম ইনিংসে ৫১ করা মনজুর এই ইনিংসে করেছেন ৫৪। মাত্র ১০ রানের ব্যবধানে এই দুজনকে বিদায় করে ঐতিহাসিক জয়ের সুবাস পাচ্ছিল জিম্বাবুয়ে। এরপরই মিসবাহর মিসবাহ হয়ে ওঠা।
স্বভাবসুলভ ধীরস্থির ব্যাটিংয়েই দিন শেষে ২৬ রানে অপরাজিত অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।
এর আগে চার টেস্টের ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়েকে ধসিয়ে দিতে বড় ভূমিকা রাখেন বাঁহাতি পেসার রাহাত আলী। তথ্যসূত্র: ক্রিকইনফো। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।