আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শব্দ, কথা - বলতে চাওয়া

পূর্ণ হতে চাইনি তাই পূর্ণতার খোঁজ করি, অপূর্ণতাই থেকেছে পাশে তাই অপূর্ণতার কাছে ঋণী সব বিলিয়ে নিজেকে খালি করে দেয়া মানুষটি নিজের ভাগে যখন কিছু অবশিষ্ট পায় না, তখন সে বেঁচে থাকার মর্ম খুঁজে না। কিছু মানুষ নিত্যই নিজের অবিশ্বাসকে টিকিয়ে রাখতে অন্যের বিশ্বাসকে খুন করে। বিশ্বাসকে খুন হতে দেখার মত কষ্ট মনে হয় এই ত্রিলোকে আর জন্ম নেয়নি! সেই কষ্ট অনেক কিছুই বলতে চায়, চেয়েছে। তবুও মনের সে ঝড় মন থেকে বেড়িয়ে শুধু বিচ্ছিন্ন তরঙ্গকেই ছিন্ন করতে পেরেছে, চারদিকের হলুদ দেয়ালগুলোকেই কালো করতে পেরেছে। কত কিছু বলা বাকি থেকে যায়, বাকি থেকেই যাবে হয়ত! যাদের জন্য বাকি রাখা থাকে জমানো কথাগুলো, তারাও কখনো জানতে চায় না।

রুমের বাইরে তাদের সাথে এক ক্ষুদ্র অন্ধকার জগতের দেয়াল। দরজার লকে প্যাঁচানো থাকে শত দ্বিধা আর প্রশ্ন। এক পা করি করি করে কখনো তবুও পা বাড়ানো হয়নি, বাড়ালেও বলা হয়নি কথাগুলো। তারাও জানতে চায়নি। সবাই ব্যস্ত।

ব্যস্ত হয়েছিলাম তাই নিজেও। ফাঁকা স্বরগুলো আবেগ হারাতে বসে। ক্ষুদ্র জীবনে বুকের ভেতর আর কত কথা আটকে রাখা যায়! নিজের অস্থিরতাও পারেনি ব্যস্ততার যাত্রায় প্রিয়জনের অবসরকে জায়গা করে দিতে। ''এই রুমের বাইরে সমস্ত পৃথিবী একদিকে, আর ভেতরে আমার জীবনের সাথে কোন ঝড়ের সখ্যতা-শত্রুতা তা কে জানতে চেয়েছে! সবাই পরীক্ষার ফলাফল দেখতে আগ্রহী, কিন্তু জীবনের ছোট ছোট আরও গুরুত্বপূর্ণ অর্জনগুলোতে যে প্রচেষ্টা ছিল তা কেউ জানতেই চায়নি! শরীরের অসুখ থেকেও বড়, মনের মরণব্যাধিগুলো একেক অজুহাত নিয়ে বুকিং দিয়ে গেছে সময়ে-অসময়ে! কোনো ডাক্তার সেকথা প্রেসকিপ্সনে লেখেনি। '' দ্বিধাগুলোকে কেউ ভেঙে দেয়নি।

শব্দগুলোকে কেউ মুক্তি দেয়নি। চেপে গিয়েছে সবাই, আমিও। শুধু শব্দবিহীন অশ্রুগুলো অভিমান নিয়ে ঘুরে এসেছিল মন-গহীনের সব লাল-অন্ধকার ঘর। অতীতের হাসিমুখে বারবার হতাশাকে মেরে ফেলতে যখন গিয়েছি- দেখেছি আমার বিষণ্ণতায় হারিয়েছি আমার আজ, আজকে ঘিরে নতুন জন্ম আর সুন্দর প্রত্যাশা। ব্যর্থতা নয়, অবিশ্বাস।

কিছু অবিশ্বাস প্রতিনিয়ত আমার বিশ্বাসকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মেরেছে। আমি কাঁদিনি, প্রশ্ন রাখিনি। যে ঝড় থেমে যায় চোখের আড়ালেই, সে ঝড় আদৌ থামে কি? কে তার খবর রাখে! চলে যাওয়া মানেই হারিয়ে যাওয়া নয়। হারিয়ে যেতেও সময় লাগে। যারা বুঝতে চায়নি তাদের কাছে রাখা সব প্রত্যাশাই বিফল।

নিজের গুরুত্ব মানুষ তখনও হারায় না যখন সে নিজেকে হারিয়ে ফেলে। বরং তার বিশ্বাসকে বাঁচিয়ে রাখতে যখন কারো সহযোগিতা থাকেনা, শব্দগুলোও মুখ ফিরাতে থাকে তখন মানুষ ডুবে যায় অন্ধকারে, নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায় ফিরে আসবার সম্ভাব্য সব পথগুলো। --কীসের দৈর্ঘ্যে জীবন মাপবে ক্ষণিকের এই নিয়মগুলো? কীসের সমঝোতায় বোধ নেবে ব্যস্ত এই পুতুলের কারিগরেরা? অনেক কথা ছিল, আছে- যা বলনি ফিরিয়েও নিতে পারছি না! তবুও জড়তাকে ভাঙতেই হয় স্পন্দনের শব্দে, তবুও অনিয়মকে হতেই হয় নিয়মের অধীনে-- It's so loud inside my head ...I can't take back the words i never said.. তবুও, সবকিছুর পরও নিজেকে জাগাই, বলি- আজ আমি না বাঁচতে জানলে কাল অন্য কাউকে বাঁচতে শেখাতেও পারবো না! ''জড়তাকে ভাঙতেই হয় স্পন্দনের শব্দে... '' ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.