সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com
নেমসেক উপন্যাসের মুভি রাইট বিক্রি করলেন কেন?
টাকা সবসময়ই প্রত্যাশিত (জীবনের বিনিময়ে টাকা এমন নয় ব্যাপারটা)। সঙ্গে মুভি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাটাও ছিল। আমি নিজেকে ধন্য মনে করেছি এমন একজন তরতাজা ও অতুলনীয় মুভি মেকার আমার বই পড়েছেন এবং এটা নিয়ে মুভি করতে চেয়েছেন বলে। এ ব্যাপারটা আমার খুব ভাল লেগেছে।
আমি আগাগোড়া তার দৃষ্টিভঙ্গি পছন্দ করি। তিনি এটা নিয়ে এত সংরাগ, আগ্রহ ও অনুভব প্রকাশ করেছিলেন আর তিনি যা করতে চেয়েছিলেন তা নিয়ে তার আইডিয়া এত চমতকার ছিল যে সেটাকেই আমার আদর্শ মনে হয়েছে।
কন্ট্রোলটা অন্যের হাতে তুলে দিয়ে গিয়ে আপনি কি নার্ভাস হয়েছেন?
যে লেখাটা আমি একদা শেষ করেছি তা নিয়ে আমি কখনোই কাজ করতে চাইনা। আমি যখন বইটা মিরাকে দিই তখন আমার অভিভাবকদের মতো অনুভূতি হয়েছিল। যে অভিভাবক চেয়ে দেখছে তার বাচ্চা পৃথিবীতে নিজের পথ খুঁজে নিতে বাড়ির বাইরে চলে যাচ্ছে।
বই ও মিরা একত্রে আরেকটা জিনিশ তৈরি করলো। এখন আমার অনুভূতি এক সুখী দিদিমার মতো। আমি জানি আমি এর সঙ্গে জড়িত। এটা আমারই উতেতারাধিকার, কিন্তু প্রত্যক্ষ কোনো সংযোগ আমি অনুভব করি না। আমি তখন অন্য আরেকটা বই নিয়ে কাজ করছি।
আমার একটা ছোট বাচ্চা আছে। আমি তখন গর্ভবতী। আমার জীবন তখন পূর্ণ। আর মিরা তো সদ্য ফিল্ম স্কুল পার হওয়া পরিচালক নন। তিনি একজন ভাল পরিচালক।
তার অতীতের কাজগুলো মনোমুগ্ধকর। তার সঙ্গে এক ঘণ্টা কথা বলেই আমি বুঝেছি তিনি এমন একটি কাজ করতে চান যা হবে সুন্দর, শক্তিশালী ও বইয়ের সঙ্গে আবেগময় পদ্ধতিতে যুক্ত। আমার কাছে আমার কাজের বিশ্বাসযোগ্যতা বড় ব্যাপার ছিল না। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল এর সংহতি। যদি অন্য সবকিছু বাদ দেই তাহলে মিরা হলেও সংহতির শিল্পী।
আমার কাজ বই লেখা। এটা খুবই চাঞ্চল্যকর এক অনুভূতি যে আমার বই থেকে একটা মুভি তৈরি হচ্ছে। কিন্তু যদি সেটা সফল না হয় তবে সেটা তার ব্যাপার। আমার কাজ সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করা নয়। আমার বই আমারই বই।
কিছুই সেটাকে পরিবর্তন করতে পারে না।
আপনি কি ভেবেছিলেন এই উপন্যাসটি থেকে মুভি হতে পারে?
না। আমি বুঝতে পারি না কিভাবে সেটা সম্ভব হতে পারে, কারণ লেখাটা ছিল অনেক বেশি অন্তর্গত ও কেন্দ্রীভূত। এটা দৃশ্য ও সংলাপ পরম্পরার কোনো কাসিক কাজ নয়। আমার জন্য এটা একটা শেখার ব্যাপার ছিল যে কিভাবে একজন চিত্রনাট্যকার এ ধরনের একটা উপন্যাস নিয়ে কাজ করেন।
মুভিতে অনেক কিছু বাদ পড়েছে....
লেখার বিশেষ কিছু সুবিধা আছে। মুভি হলো গল্প বলার আরেক পদ্ধতি। দক্ষ একজন মুভি মেকার বই থেকে যতটা প্রয়োজন ততোটুকুই নেবেন বাকিটা ছেড়ে দেবেন। অ্যাডাপশনের মধ্যদিয়ে লেখার বিন্যাসটা থাকে না। এটা ভিন্ন আরেকটা ব্যাপার।
আমার বইয়ের অনেক কিছু পর্দায় আসেনি। কিন্তু তাতে কি? আমি জানি মিরা যা করেছে তা ইন্টারেস্টিং হবে। তিনি বইয়ের প্রতি বিশ্বস্ত কিনা এই ভাবনার চেয়ে এটাই আমার কাছ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি যখন মুভিটা দেখলাম তখন এর ভেতরের শক্তিটা আমাকে আলোড়িত করলো। এটা আমার গল্পের ওপর মিরার সাফল্য।
শিল্পী হিসাবে মিরা ও আমার সংবেদনশীলতার জায়গাগুলো আলাদা। তার গল্প বলার পদ্ধতিতে আমার থেকে অন্য রকম এক উষ্ণতা ও স্থৈর্য আছে। একজন শিল্পী হিসাবে তার শক্তিমত্তার ভিন্ন জায়গা আছে। মুভির ক্ষেত্রে একটা শুদ্ধতা ও স্থৈর্য আছে। আমি এটার প্রশংসা করি।
এই স্থৈর্যটা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
(ছোট করা হয়েছে)
সূত্র : আউটলুক
অনুবাদ : মাহবুব মোর্শেদ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।