আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বায়রার ধর্মঘট স্থগিত

বৃহস্পতিবার ধর্মঘট স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে বায়রা নেতারা বলেছেন, বিদেশগামী কর্মীদের দুর্ভোগ দেখে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সরকারের বিরুদ্ধে উপেক্ষার অভিযোগ এনে গত ৭ এপ্রিল জনশক্তি রপ্তানি সংক্রান্ত সব কাজ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা)।
তবে তাদের দাবির প্রতি সরকারের কোনো সাড়া দেখা যায়নি। উল্টো বায়রা নেতাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)।
এই প্রেক্ষাপটে দুপুরে বায়রার কার্যনির্বাহী কমিটি এক জরুরি সভায় বসে এবং ধর্মঘট স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়।


বায়রা মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের নানা দুর্ভোগের কারণে তাদের এই সিদ্ধান্ত।
“আমরা গত চারদিন জনশক্তি ভবনে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি। আমাদের ধর্মঘটের কারণে বিদেশগামী মানুষদের নানান দুর্ভোগ হচ্ছিল। ”
মালয়শিয়ায় কর্মী পাঠানো নিয়ে কয়েকমাস আগে সরকারের সঙ্গে বায়রার রেশারেশি শুরু হয়।
বায়রা এজেন্টদের মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর সুযোগ চাইলেও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন সেই আবেদন নাকচ করেন।

এজন্য বায়রা সরকারকে চাপ দিলেও অনড় মন্ত্রী বলেন, “অযথা চাপ সৃষ্টি করে লাভ হবে না। ”
শুধু সরকারি পর্যায়ে কর্মী পাঠানোয় নিজেদের ক্ষতি এবং সে বিষয়ে সরকার মনোযোগ না দেয়ায় ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেন বেসরকারি জনশক্তি রপ্তানিকারকরা।
ধর্মঘটের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, মালয়শিয়া ছাড়া অন্য সব দেশের বাজার বায়রার জন্য রয়েছে এবং চাইলে সরকার এতে তাদের সহযোগিতাও করবে।
ধর্মঘট আহ্বানের সময় বায়রা বলেছিল, সরকার তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সুরাহা না করা পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।
সরকারের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে বায়রা মহাসচিব হায়দার বলেন, “কোনো সমঝোতা হয়নি।

সমঝোতা হলে আমরা আমাদের ধর্মঘট স্থগিত না করে প্রত্যাহার করতাম। ”
“সরকারের উচিত ছিল, তাদের (বিদেশগামী) দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে জনশক্তি রপ্তানিতে যে অস্থিতিশীল অবস্থা চলছে, তার সুরাহা করা,” বলেন তিনি।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।