আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গ্রিটিং অব অল গ্রিটিংসঃ আসসালামু আলাইকুম

দুঃখটাকে দিলাম ছুটি, আসবে না ফিরে

মাত্র দুটি শব্দের সম্ভাষণ। অথচ এর মধ্যে বড়ই সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে। শব্দ দুটির অর্থ হচ্ছে 'আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক'। যে কারও সাথে সাক্ষাত হওয়ার পর এই শব্দ দুটি দিয়ে কথা শুরু করার এই চমৎকার সিস্টেম যিনি চালু করলেন তিনি সকল আদর্শের আদর্শ মুহাম্মদ (সা.)। ইসলাম শান্তির ধর্ম।

এটা শুধু একটা বাহ্যিক আবরণ নয়, ইসলাম তার অনুসারীদের মাঝে এর সার্বক্ষণিক প্র্যাকটিসও করে থাকে। আপনি যখন কাউকে সালাম দিচ্ছেন, তখন এর অর্থ দাঁড়ায় আপনি তার জন্য শান্তি কামনা করছেন। আপনি নিজেই যেহেতু তার শান্তি কামনা করছেন, সেহেতু আপনার তরফ থেকে ঐ ব্যক্তি সম্পূর্ণ নিরাপদ। আপনি যেহেতু তাকে নিরাপত্তা দিচ্ছেন সেহেতু তাঁর দায়িত্ব এসে যায় আপনাকেও তার তরফ থেকে নিরাপত্তা দেয়া। আর একারণেই আপনার 'আসসালামু আলাইকুম' এর জবাবে ঐ ব্যক্তি বলেন 'ওয়া আলাইকুম আসসালাম'।

কী চমৎকার ব্যবস্থাপনা, তাই না? সালাম ঈমানের অংগ। হাদীসে এ ব্যাপারে প্রচুর বক্তব্য পাওয়া যায়। আল্লাহর রাসুল (সা.) সব বয়সের মানুষকেই সালাম দিতেন, পরিচিত-অপরিচিত বাছতেন না। অথচ আমরা এ ব্যাপারে ভীষণ কার্পণ্য করি। আমি বহু মানুষকে দেখেছি ব্যক্তি জীবনে ইসলামের অনুসারী হওয়া সত্ত্বেও খুব কাছের লোকদের সালাম দেন না শুধুমাত্র লজ্জা বা জড়তার কারণে।

সালাম বিষয়টি শুধুমাত্র সম্মানের সাথেই জড়িত নয়, এখানে নিরাপত্তার বিষয়টিও অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। যিনি যত বড় দায়িত্বশীল, সালাম দেয়ার ক্ষেত্রেও তার দায়িত্ব তত বেশি। এই সালামের মাধ্যমে এমন সুন্দর ও দৃঢ় সম্পর্ক তৈরি হয় যা আমার মতে অন্য কোনভাবে সম্ভব নয়। শুদ্ধ উচ্চারণে সালাম দেয়ার অভ্যাস করা উচিত। কারণ প্রথম ইম্প্রেসনটাই সুন্দর হওয়া চাই।

সুন্দরভাবে দেয়া সালাম সুন্দর ব্যক্তিত্বের পরিচয় বহন করে। সালাম দেয়া ছাড়াও অনেকে সম্ভাষণের সময় অনেক ধরনের শব্দ ব্যবহার করেন। শুভ সকাল, শুভ সন্ধ্যা, গুড বাই, থ্যাঙ্কু ইত্যাদি। আমি এই সব শব্দ ব্যবহারকে অন্যায় বলছিনা, তবে কোন অবস্থাতেই তা সালামের মত তাৎপর্য বহন করে না। কাজেই এসব সম্ভাষণের পরও সালামের আবেদন থেকেই যায়।

কেউ যদি সালাম দেয়ার পরে এই সম্ভাষণ ব্যবহার করে তাতে অবশ্যই আমি দোষের কিছু দেখি না। আমার এ লেখাটি ব্ল্লগের সেই সমস্ত ভাইদের প্রতি যারা সালাম দেয়া নেয়ার এই প্রথাকে মন থেকে পছন্দ করেন, কিন্তু বিষয়টাকে এখনও যথেষ্ট সচেতনতার সাথে নেন নি। কাজেই আমি তাদেরকে অনুরোধ করব আপনারা ব্যপকভাবে সালামের প্রচলন করুন এবং ছোটছোট বাচ্চদেরকেও সুন্দরভাবে সালাম দেয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।