আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেঘগুলো মিথ্যে হলেও বৃষ্টির ফোঁটা গুলো ছিল সত্য -এক

[অন্যর দোষ না খুঁজে আগে যদি সবাই নজের দোষটা খুঁজত তাহলে বোধহয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত]............... [পথের শেষ নেই, আমার শেষ আছে, তাইত দ্বন্দ্ব] http://mamunma.blogspot.com/

বেশ কতক সেঞ্চুরী পার করেছে জঞ্জালে ভরা এই শহর । নাম ঢাকা। এ নামেই জেনেছি জানার শুরু থেকেই। এখনও ওনামেই ডাকি আর বুঝি কেউ নিলে এ শহরের নাম মুখে। তাই সে নাম নেক কেউ প্রশংসায় অথবা নিন্দার বর্ননা ধ্বনিগুলোর সাথে প্রয়োজনে যুগোপাতেই।

এখানে বাতাসে সীসার বিষ যেমন বেড়েছে সেই তালে তালে বেড়েছে আমার শৈশবকাল। বৃত্তাকারে বেড়েছে অবস্থানের কেন্দ্র হতে চেনা অঙ্গনের পরিধি এই শহরের মাঝে। শৈশবকাল শেষ সীমানায় পেঁৗছে গেল যেদিন সত্যি বলছি একটুও আগাম খবর পাইনি, কিন্তু সময় যখন মূর্ছা যায় যায় প্রায় তখন ডাক শুনেছি সীমানার ওপারে কৈশোরকালের। জেনেছিলাম কৈশোর আসছে , সময় খুব কম ছিল, স্বাগত আয়োজনের সময় ছিল না , সময়ের চোখে ছিটাচ্ছিলাম জল । সেই সুযোগে সীমানায় মুখোমুখি হয়েছিল বিদায়ী শৈশব আর আগত কৈশোর।

মারামারি লেগেই যাচ্ছিল যদি না সময় এসে বলে দিত আমার নিঃস্বার্থ সেবার কথা। দ্রতই সরে গিয়েছিল শৈশব আর কৈশোর পরস্পরের নৈকট্য বর্জন করে । কিন্তু আমার কাছে পরিবর্তন ছিল ভীষণ অনাহুত। না এমন না যে শৈশবের বিরহ ভাবাচ্ছিল। অতীত বিরহের আগমনী পথে কবেই তো মশারীর নেটে ছিড়ে টানিয়ে দিয়েছি।

তবুও কৈশোর মনের অনেক নতুন নতুন স্থানকে চোখের সামনে পরিষ্কার তুলে ধরছিল। নৃতত্ত্ব গুণ অনেক বেশী কৈশোরের বুঝতে পারছিলাম। আর তাই তো মনের নতুন নতুন উন্মোচনে নতুন নতুন সুর বাজছিল আর সেখানে ছুটে আসছিল সব আকাশ , এত এত আকাশের ছায়ায় আর বিস্তারে উদাস হয়ে যেতে লাগল মন। জ্ঞ্জালের আধিক্যময় শহরের রূপ তখন আগেরমতো মুক্ত মনে হচ্ছিল না। হবেই বা কি করে পরিস্থিতিই তো পাল্টে গেছে।

আগে মনে ছিল স্বল্প আকাশ , স্বল্প পরসির, স্বল্প পথ আর এখন ঠিক উল্টো। বাস্তব শহরে ই এখন মনের চেয়ে কম মুক্ত পথ । উদাসী মনের উদাস ীসতার বৃদ্ধি হতেই থাকে সারদিন। কেবল কমে ঘুমের ঘোরে কিছু। মাঝে মাঝে বিকেলে যান্ত্রিক চারপাশ বড় অসহ্য হয়ে যেত।

একটু এক চিলতে মুক্ত আকাশ , শান্ত জমিনের জন্য মনে জাগত হা পিত্তেশ। সময় বয়ে যেতে যেতে কৈশোর যখন পুরো আপন হতে থাকে একদিন পেয়ে যাই মুক্ত হাওয়া , শান্ত জমিন। বেশী দূরে নয়। আমার অবস্থানের কেন্দ্র বিন্দুর খুব কাছেই। কিছু পদক্ষেপ অতিক্রম করেই পৌঁছানো যায় কূল কূল ছলছল নদীটির তীরে।

অতি পরিচিত নাম, অন্তত এই শহরের নামজানা প্রতিটি মানুষের কাছে, বুড়ি গঙ্গা। তখনও ঢাকার নোংরা গিলে শেষ করেনি বুড়িগঙ্গার জলের শুদ্ধতা। জলে তরঙ্গ ছিল। মাছের হুটোপুটি ছিল। ছিল ঢেউ এর মাঝে সাঝেঁর আলোর মন কাড়া ঝিলিক দ্যুতি।

মন এর সাথে মিলে গেলো। নিত্য বিকেলে কেটে যেতে থাকে নির্মল ক্ষণ সেই খোলা আকাশের তলে মুক্ত নদীর কূলে। নদীর ঠিক ওপাড়ে তখন সচল ছিল ঢাকা জুট মিল। মনে পড়ে আজও মাঝে মাঝে, মনে বাড়তি পুলক জাগাত মিলের নিজস্ব বোটটাতে করে ঢাকার ভিকারুনি্নসা স্কুল হতে ফেরার পথে নদী পার হওয়া মিলের কোন একক কর্তা ব্যক্তির সেই মেয়েটার হাসি। ......(হয়তো চলবে) ================== বুড়িগঙ্গার ছবিটির সূত্রঃ wjsK


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।