আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শ্যজা, সাদীর সম্মানে, কালপুরুষের আসমানে, কাল সন্ধ্যায় উঠেছিল কিছু ব্লগীয় তারা



একটা জিনিস আমি খুব মনোযোগ সহকারে ভাবতেছি। ব্লগের যাদের সাথেই দেখা হইতাসে। সবাই বেশ হাসি খুশি। দিলখোলা টাইপ। ক্রমে ক্রমে সবাইরে ভালা লাগতাসে।

কিছু কিছু মানুষ আছে যারা ডন কুইক্সোট টাইপ। আন্ধার ঘরে তাদের রাহেন। তারা বিশ্বজয় কইরা ফালাইব। হাওয়াই ঘোড়া, হাওয়াই তলোয়ার, হাওয়াই রাজ্যি। কিন্তু তাদের লাইট জালাইয়া রাখেন।

সব ফুস মন্তর। কথা কইতে পারেনা। এ অধম সেরকম এককান প্রাণী। তাই গত সন্ধ্যার দাওয়াত যখন পাই সাদিকের কল্যাণে তখন মোটামুটি মনে মনে ভেটকি খাই। আল্লাহ সব ইস্মাট পোলা মাইয়ার মধ্যে না জানি কতক্ষন বইয়া থাকতে হয়।

কিন্তু রোকেয়া হলের সামনে থিকা প্রজাপতি, সাদি আর আমি যাত্রা করি। শাহজাহান পুর থেকে শ্যজারে গাড়ীতে তোলার পর থেকে আমার সে ভয় ক্রমে কাটতে থাকি। এমা শ্যজাতো ঠাম্মাদের লাহান। পরথমে কয় এই পোলাপান এতো আপনি আপনি করতাসো ক্যান। হি হি।

আমিতো তখন হাওয়ায়। পথে শ্যজার কইলকাত্তার গল্প শুনতে শুনতে যাই। শ্যজা বলতে থাকে যেভাবে শৈশবে আমাদের চারিধারে বসাইয়া ঠাম্মা কিচ্ছা হুনাইতো। তারপরতো আমারা পথ হারাইয়া ফেলি বলা যায় ঢাকার জঙ্গলে। আমাদের উদ্ধার করে কালপুরুষ।

আরে বাস খুব ফর্সা এই পোলার নাম কে কালপুরুষ রাখছে? আমি জিগাই সাদিরে। সাদি তখন সুফীর মেজাজে। খুব ছটফটে 60 বছরের এই কিশোর। যে এখনো নিয়মিত প্রেমে পড়ে। এটা মিসেস কালপুরুষের ভাষ্য।

কাল পুরুষের ফ্ল্যাট দেখে সাদি আর আমি মুচ্ছা। এতো সমুদ্র। বসার ঘরটা জম্পেস। বাদ বাদ কালপুরুষ শুধু ছাদে যাবার জন্য তাড়া দিতে থাকে। শ্যাজা কয় এ হালা ঘর ছাইরা ছাদে যাইবার ছায় ক্যালা।

তখনো জানতাম না ছাদে আমাদের জন্য কি বিশ্ময় অপেক্ষা করসে। এর পর আমরা সোজা খাবার টেবিলে। এইখানে মিসেস কালপুরুষের আসল কেরামতি। তালিকা দিয়ে আমি কারো জিবে লালা ঝরাইতে চাইনা। বুইঝা লন।

তারপর খাবার টেবিলে উদয় হয় জামাল ভাস্কর চাচা আর মৌসুম। কিয়তক্ষন পর কৌশিক আর শুভ্রা। এইবার আমরা ছাদে চড়ি। আল্লা এতো ছাদ নয় যেন পার্ক। ক্রমে ক্রমে আসে ঝড়ো হাওয়া, শরৎ, রশ্মি ..।

সাদিক মনু কওতো আর কে কে নাম মনে পড়িতেসে না। এইবার শুরু হয় আসল মজা। কালপুরুষের এই আসমানে ক্রমে ক্রমে তারারা নিজেদের মাজেজা দেখানো শুরু করলো। প্রজাপতির তিনটা গান পুরো অগোছালো সভাটারে গোছাই দিল। মিসেস কালপুরুষের গানটা কাটল ঠান্ডা হ্রদ।

তারপর ভাস্কর চাচার আজম খান। শরতের হিন্দি ফ্লিম। অনেক মজা হইসে। অনেক ফুর্তি। এরকম সন্ধ্যা ভুলা যায় না।

আবার নাইমা আবার কিচেন। আল্লা এরা এতো খাওয়াইতেও পারে। কালপুরুষরে ধন্যবাদ দিয়া খাটো করবো না। সকল প্রশংসা মিসেসের। তারপর বিদায় বেলায় নীচে ল্যম্পোষ্টের আলোয় রাগ ইমনের কথা না বললেই নয়।

জয় বাবা বজরম বলি>>>>।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।