মন'রে কৃষি কাজ জানো না, এমন মানব জমিন রইলো পতিত, আবাদ করলে ফলতো সোনা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভোকেশন হইয়া গেল। বিডি নিউজ এ ডিটেইলস কিছু দেয় নাই। তাই আমার দৌড় এবার ঐ মসজিদ পর্যন্ত। ডাঃ ইউনুস ডক্টর অফ ল পাইল(এদিকে জরুরী আইন, উনি জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গতাছেন)। ডাঃ ইউনুস রে অভিনন্দন।
হাস্যেজ্জ্বল ডাঃ এ কে ফায়েজ, ডাঃ ইউসুফ হায়দার সঙ্গে অতিহাস্যেজ্জ্বল ডাঃ ইউনুস। দিন কেমনে বদলায় সেইটা এই তিনজনের হাসির পেছনের অংক কষলেই জানা যায়।
আমি অনার্স এর পর কনভোকেশন পাইছিলাম। কপাল ভাল আছিল, অনেক বছর পর হওয়া কনভোকেশন তাই পাইছিলাম। বিশাল এলাহী কারবার।
সামনে পিছনের প্রায় চাইর-পাঁচটা ব্যাচ নিয়া আয়োজন। পায়ের নীচে তেরপোল এর কাপড় ধূলা না উড়বার জন্য। মাহাথির মোহাম্মদ আসবে, কালো ইউনিফর্ম পরা ইয়া লম্বা সব এস এস এফ কোমরে স্মল অটোমেটিক(উজি) নিয়া খাড়ায়া আছে।
এই কনভোকেশনের ঠিক আগেই বেগম খালেদা জিয়া সবচেয়ে সেরাদের গোল্ড মেডেল দিবো। আমার এক দোস্ত পাইল, অয় ফার্স্ট হইছে।
আসার পর বলল ওর স্টেজে গিয়া ইচ্ছা হইছিল গোল্ড মেডেলের উপর মুততে।
কারণ ওর লগে আমাদের এক শিক্ষকের বিবি গোল্ড পাইছিল আমাদের আগের ব্যাচ হিসেবে। এইখানে একটা খেলা আছে, কারণ বিশেষ একটা পদ্ধতিতে উনি আছিল ওই ব্যাচের একমাত্র স্টুডেন্ট। ডাঃ ইউনুসের মত উনিও ফাঁকা মাঠে গোল দিছিল।
কনভোকেশনে আমি আরেকটা অসাধারণ তথ্য আবিষ্কার করছিলাম।
সেইটা হইল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশী সংখ্যক ডক্টরেট প্রদান করে আরবী ডিপার্টমেনট। সেইবার প্রায় ১৮/১৯ জনরে দিছিল। আর আমাগো ডিপার্টমেন্টে আমার জানা মতে গত ৯ বছরে একজন পাইছে। আমাগো ব্লগে যে এখনো আরবী ভাষায় ব্লগিং কিম্বা আরবীরে দেশের দ্বিতীয় ভাষা করার দাবী হয় নাই , সেইটা পৃথিবীর নবম বিস্ময়।
আল্লাহ আমাদের চিন্তার মাগফেরাত করুন
এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষ্ণগহ্বরে পতন হইতে ঠেকান, এই আওয়াজে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত কইরা মাহফিল শেষ করলাম।
আমেন।
* আমার বাবার কথা মনে পড়তাছে, ১৯৫৪ সালে উনার একটা কনভোকেশনের ছবি আমারে এখনো অনুপ্রাণিত করে আমার ভালবাসার বিশ্ববিদ্যালয়টাতে গিয়া আরো একটা কনভোকেশন নিতে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।