ভস্ম হই। মৃত্যুর চুমু আমার কপোল ছুঁয়ে যায়। বেঁচে উঠি আবার। নতুন দিনের আশায়। বেঁচে উঠি বারবার।
বিদেশ বিভুঁইয়ে আসার পর কত কাজে যে হাতে খড়ি হল!
রান্না শিখলাম হাড়ি পুড়িয়ে। এক খালা রান্নার ইনস্ট্রাকশন দিলেন আমার রুম মেটকে। সে আমাকে সেটা বোঝাতে গিয়ে ভুলে গেল যে মাংসটা কষাতে হবে। মসলা টসলা মাখিয়ে পানি দিয়ে দুটো মুরগীর মাংস চড়িয়ে দিলাম হাড়িতে। পানি শুকায়না শুকায়না, আমি বসে আছি কখন পানি শুকাবে সে আশায়।
হঠাৎ ফায়ার এলার্মের শব্দে চোখ মেলে দেখি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম আর মাংস পুড়ে ছাই। 15 ডলার ইনভেস্ট করা সেই ছাই মাংসই চালালাম এক সপ্তাহ।
আসার পর দুমাস কেটে গেল। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম ঘরে ঢুকলেই বোটকা গন্ধ বের হচ্ছে। লক্ষ্য করলাম ঘরে ময়লা জমে জমে দেখার মত অবস্থা।
শিখলাম কিভাবে ঘর পরিষ্কার করতে হয়।
গোসল করার জায়গাটায় শ্যাওলা জমে কালো হয়ে গিয়েছিল। একদিন শিখলাম কিভাবে পরিষ্কার করতে হয়।
বাথরুম করবার জায়গাটা দেখি হলদে হয়ে গেছে। নাক মুখ খিঁচে শিখলাম কিভাবে পরিষ্কার করতে হয়।
কাপড় চোপড় গুলো দেশে থাকতে হেঁটে হেঁটে ঠিক জায়গামতো ভাঁজ হয়ে বসে থাকতো। জামাকাপড় ময়লা হয়ে গেলে হেঁটে চলে যেত পরিষ্কার হতে। এখানে এসে হঠাৎ লক্ষ্য করলাম আমার সারা রুমে ময়লা কাপড়। শিখলাম কিভাবে কাপড় পরিষ্কার করতে হয়।
আজ নতুন জুতার সোলটা খুলে গেল।
বাজার থেকে আঁঠা কিনে এনে জুতার তলা ঘষছি আর মনে করার চেষ্টা করছি কিভাবে মুচিরা কাজটা করত। শেষ পর্যন্ত মুচির কাজও শিখে ফেলছি।
মাগো, দেখো আমি একদিন অনেক বড় হবো...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।