আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভালোবাসার কাছাকাছি

অতীতকে নিয়ে নস্টালজিক হতে ভালোবাসি, ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতেও।

পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত আয়নার সামনে বেশিক্ষণ সময় কাটিয়েছি বলে মনে পড়ে না। ক্লাসের মেয়েরা রুপচর্চার থেকে খেলাধুলাই পছন্দ করতো। কিন্তু সিক্সে ওঠার পর অবস্থা একটু পরিবর্তন হলো। প্রাইমারী স্কুলের শেষ বছর, ও তথাকথিত বড় হওয়ার প্রথম বছর - তাই সবাই কিছু কিছু জিনিষ রপ্ত করার চেষ্টা করলো।

একটা নির্দিষ্ট ভাবে চুল ঝাঁকানো, ঠিক সময়ে হাসা, ক্লাসে 'অনিচ্ছাকৃত' ভাবে কলম ফেলে দেওয়া - সব খুব স্পষ্ট হয়ে উঠলো। এরপর ভালোবাসা দিবসে উপহার চালাচালি হলো। আমি অবাক হয়ে খেয়াল করলাম, এতোদিনের ছেলেদের 'জীবানু' বিষয়ক সুচিবায়ূটা সব মেয়েদের থেকে হঠাৎ করেই হাওয়া হয়ে গেলো। হাই স্কুলে ওঠার সময় ছেলে মেয়ে আলাদা হয়ে যাওয়ায় প্রথম এক বছর নিজেদের নিয়েই মেতে থাকতাম আমরা। পড়াশুনা করার দিন না এলেও সবাই মনোযোগ দিয়ে পড়তে লাগলাম।

টিচারদের প্রিয় হওয়ার জন্য দিন রাত খাটলাম। সে বছরের শেষের দিকে আবার সবাই অন্যরকম হয়ে গেলো। বাস স্টপ, ট্রেন স্টেশনে অন্য স্কুলের কোন 'হট' বা 'কিউট' ছেলেকে দেখলে সুযোগ পেলেই নিজের ভাগ্যের ধান্দায় পড়ে যেত। এভাবেই আমাদের চেনা একজন শ্রীলঙ্কান মেয়ে তার 'জীবনের জন্য ভালোবাসাকে খুঁজে পেলো। মেয়েটা সোজা গিয়ে তার ফোন নাম্বার চাইলো।

ব্যাস শুরু হয়ে গেলো! এখন তার এইম ইন লাইফ হচ্ছে তাকে বিয়ে করা। আমার সাথে ট্রেনে বেশ কিছু মেয়ে যায়। তাদের মধ্যে একজন সারাক্ষণই প্রেমঘটিত সমস্যায় ভোগে। ভালো বন্ধু হিসেবে আমরা সমস্যা শুনি ও সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে কাজ করে, মাঝে মাঝে করে না।

কালকে তার সামপ্রতিক ভাবি ছেলেবন্ধুর জন্মদিন। সেই উপলক্ষ্যে (ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে) সে তাকে এক গুচ্ছ গোলাপ পাঠানোর চিন্তা করছে। আশে পাশের অনেকেই প্রেমের অথই জলে পড়ে যাচ্ছে, আর অল্প কিছু মানুষ ভালোবাসায় ভাসছে। দিনটা সুখী হোক - ঐ অল্প মানুষগুলোর জন্য। ছবি: কপিরাইট - মীরা বিগাম।

সাউথ ওয়েস্ট রক, 07।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.