আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রোহিনটন মিস্ত্রি; শব্দের অন্যরকম কারিগর

timursblog@yahoo.com

"আসলে হঠাৎই লেখক হয়ে গেছি আমি! " নাইট রিডার নিউজ গ্রুপের প্রতিনিধি মেরি মাৎসোকোকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ক্যানাডার নাগরিক পার্সি বংশোদ্ভুত ভারতীয় লেখক রোহিনটন মিস্ত্রি । "ভারতে আমি বব ডিলান বা বিটলস ধাঁচের গান গাইতাম । ক্যানাডায় এসে গান বাজনায় মন লাগলো না । এখানে এসে মনে হলো ক্যানাডিয়ানরা একজন এশিয়ানের মুখ থেকে এরকম গান শুনতে চাইবে না । একটা ব্যাংকে চাকরি নিলাম, রাতের বেলা ক্লাস করতাম টরোন্টো ইউনিভার্সিটিতে, কাঁজের ফাঁকে ফাঁকে লিখতাম ।

একবার চারদিন একটানা অসুস্থ থাকার সময় লিখে ফেলি "ওয়ান সানডে" ছোটগল্পের খসড়া । ইউনিভার্সিটির সাথে জড়িত হার্ট হাউজ লিটারারি কনটেস্টে দিলাম, আমাকে অবাক করে দিয়ে প্রথম পুরস্কার পেয়ে গেলো ওটা । পরের বছরও একই ঘটনা ঘটলো, আমার লেখা ছোটগল্প "অসপিশাস ওকেশান" প্রথম পুরস্কার পেলো । মনে হলো ব্যাপারটা তাহলে হয়তো একেবারে কাকতালীয় না, লেখালেখিটাকে সিরিয়াস ভাবে নেয়ার কথা ভাবতে লাগলাম । ক্যানাডা কাউন্সিলের বৃত্তি পাওয়ার পর মনে হলো ব্যাংকের চাকুরিটা ছেড়ে দেয়া যেতে পারে।

" লেখক রোহিনটন মিস্ত্রির জন্ম 1952 সালে বম্বেতে । বর্তমানে ক্যানাডার বাসিন্দা হলেও তাঁর লেখার বিষয়বস্তু সবসময়ই ভারতীয় উপমহাদেশ, বিশেষ করে বম্বে ও পার্সি সম্প্রদায় । ষাট, সত্তর দশকে বম্বেতে সবচেয়ে "দামী" ক্যারিয়ার বলতে ছিলো ডাক্তারী, এঞ্জিনিয়ারিং আর আইন, আর এর কোনটা পড়ারই ইচ্ছে ছিলোনা তাঁর, বেছে নিলেন অর্থনীতি আর গণিতকে, সাথে সাথে চলছিলো শখের গানবাজনা, নিজের পেশাদারী ব্যান্ড ছিলো । প্রিয় গায়ক বব ডিলান বা পল সাইমনের গান বম্বের অনেক পার্টিতে বাজিয়েছেন তিনি । বম্বে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে গ্র্যাজুয়েট হন চুয়াত্তর সালে ।

1975 সালে ইন্দিরা গান্ধী জরুরী অবস্থা ঘোষনা করলে মিস্ত্রি ক্যানাডায় চলে যাবার সিদ্বান্ত নেন । কারন ইমার্জেন্সির কোপটা তাঁর মতো সচেতন ও প্রতিবাদ মুখর তরুনদের ওপর বেশী করে পড়েছিলো । আগেই বলেছি তাঁর একটা ছোট গল্প "ওয়ান সানডে" প্রতিযোগিতায় পুরস্কার জিতে নেয়াতে লেখালেখিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন রোহিনটন । পরের বছর আবারও হার্ট হাউজ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় মিস্ত্রির "অসপিশাস ওকেশান" । একটা দুটো লেখা ছাপা হতে থাকে এখানে সেখানে।

পঁচাশি সালে ক্যানাডিয়ান ফিকশন ম্যাগাজিন সেরা কন্ট্রিবিউটর পুরস্কার দেয় মিস্ত্রিকে। ভারতের পশ্চিম উপকুলে পার্সি সম্প্রদায়ের বাস হাজার বছরের উপরে । ইরান থেকে তারা এসেছিলো সপ্তম-অষ্টম শতকে, ভারতের প্রথম দিককার রাজনীতি ও কারবারী উদ্যমে পার্সিদের প্রভাব ছিলো সাংঘাতিক । দাদাভাই নওরোজি হাউজ অভ কমন্সের প্রথম ভারতীয় প্রতিনিধি, তিন তিন বার ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন তিনি, শিল্পপতি ধনকুবের পরিবার টাটা, ওয়াদিয়া আর গোদরেজরাও পার্সি, আরেক বিখ্যাত পার্সি হচ্ছেন ফিরোজ গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধীর স্বামী, রাজীব গান্ধী আর সঞ্জয় গান্ধীর বাবা, । কিন্তু পার্সিদের এই রাজনীতি, সমাজ সম্পৃক্ততা পরে থিতিয়ে পড়ে ।

তাদের সম্বন্ধে একটা বদনাম প্রায়ই শোনা যায়, ওরা নাকি ভারতের ইহুদি, পয়সাটা নাকি ওরা খুব বেশি করে চেনে ! মাটির সাথে যোগ নেই তাদের । ইংরেজের আমলে পার্সিরা শাসক শ্রেনীর বিশেষ কৃপা ভাজন ছিলো, সাতচলি্লশের স্বাধীনতার পর পার্সিদের একটা বড় অংশ দেশ ছেড়ে চলে যায় ইউরোপ, আমেরিকা আর অস্ট্রেলিয়ায়, তাতে আরো জোরদার হয়েছে এ নিন্দাবাদ । কিন্তু এ অপবাদের বেড়া ভাঙতে এগিয়ে এসেছেন ফারুক ঢোন্ডি, ফিরদাউস কাঙা আর রোহিনটন মিস্ত্রির মতো লেখক, বুদ্ধিজীবিরা । মিস্ত্রি নিজেকে বলতে চান "ডাবলি মার্জিনাল" । পার্সিরা ভারতে ছিলো সংখ্যালঘু, অভিবাসী হয়ে বিদেশে শিকড়হীন ।

সমস্ত সমাজের প্রান্তদেশে তাদের আনাগোনা । যদিও সংখ্যালঘু বলতে দরিদ্র বা নিপীড়িত কোনটাই সাধারনত নয় । পার্সি সম্প্রদায়ের এই সাংস্কৃতিক টানাপোড়েন, আত্বপরিচয় সংকট, ভিন্ন পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নেয়া, রোহিনটন মিস্ত্রির লেখার মুল উপজীব্য, নিজের জীবনকেই তিনি আকর হিসেবে নিয়েছেন লেখার অনেক জায়গায় । 1987 সালে পেঙুইন ক্যানাডা ছাপে ছোটগল্প সংকলন "টেলস ফম ফিরোজশাহ বাগ" । ফিরোজশাহ বাগ আসলে বম্বের একটা একটা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স ।

ফিরোজশাহ বাগ অ্যাপার্টমেন্ট হলেও আসলে এক ইঁটের বস্তি । এখানে এক পরিবারের একটা ফ্রিজ আছে যেটা গোটা কমপ্লেক্সের লোকে ব্যবহার করে । আরেকজনের আছে ওরকমই একটা গণ টেলিফোন । প্রজন্মগত ব্যবধান, ঈর্ষা, ছিঁচকে চুরি আর ধীরে ধীরে ধসে পড়তে থাকা পুরো ভবনটিই, ফিরোজশাহ বাগের বাসিন্দাদের জীবনের নিয়তি । অসপিশাস ওকেশন গল্পে উকিল রুস্তমজিকে কেউ তাঁর মুখখারাপ করার অভ্যাসের জন্য দেখতে পারেনা, কিন্তু রুস্তমজির চটবার কারন আছে ফিরোজশাহ বাগের বাসিন্দাদের স্বার্থ দেখার কেউ নেই ।

দ্য গোস্ট অভ ফিরোজশাহবাগ এ দেখি গোয়ানিজ চাকরানি জ্যাকুলিন, "জাকিলির" জানা আছে অসংখ্য কোটেশন, পরিস্থিত যাই হোকনা কেন জাকিলি ঠিক একটা লাগসই উদ্ধৃতি দিতে পারবে । সে এখানে "গোস্ট" কারন ভারতীয় সমাজে ভৃত্যের অবস্থান প্রেতের মতোই, তারা আছে সংসারে কিন্তু তাদের কোন অস্তিত্ব স্বীকার করা হয়না । "অভ ক্রিকেট অ্যান্ড হোয়াইট হেয়ার " এ আমাদের দেখা হয় ক্রিকেট পাগল কার্সির সাথে, কিন্তু প্রায় প্রতি ছুটির দিনেই মাঠে যাওয়া পন্ড হয় তার বাবার পাকা চুল তোলার জন্য । "সুইমিং লেসন্সে" আমরা দেখি আমাদের পুরনো নায়ক কার্সি এসে পৌঁছেছে ক্যানাডার টরোন্টোতে, তাকে নতুন পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে কার্সিকে আবার "সাঁতার" কাটা শিখতে হবে (বারবার ছোটগল্পে আসা এই কার্সি চরিত্রটি কি রোহিনটন মিস্ত্রি নিজেই ? জানতে ইচ্ছা করে পাঠকের) । বুকার পুরস্কারের জন্য মনোনীত "এ ফাইন ব্যালান্স" (1996) উপন্যাসে জরুরী অবস্থার ঘটনা গুলো পরে উঠে এসেছে ।

"এ ফাইন ব্যালান্সে" আমরা দেখতে পাই সত্তরের দশকের শুরুতে বম্বে শহরে এক বিধবা পার্সি মহিলা দিনা দালাল দর্জির দোকান চালাচ্ছেন তাঁর দুই কর্মচারী ওমপ্রকাশ আর ঈশ্বরকে দিয়ে, কারন মিসেস দালাল, বড়লোক ভাইয়ের দাক্ষিন্যে নয়, স্বাধীনভাবে বাঁচতে চান । দিনাবাঈয়ের ভাড়াটে মানিক কোহলা, হিমালয়ের পাদদেশ থেকে এসেছে সে বম্বেতে লেখাপড়া করতে । উপন্যাসের প্রথম আড়াইশো পাতা এই চারটি চরিত্রের পটভুমি ব্যাখ্যা করার জন্য খরচ করেছেন মিস্ত্রি । পঁচাত্তরের জরুরী অবস্থার চাপটা এই চারটে চরিত্রের ওপর এসে পড়ে, খড়কুটোর ওপর জোয়ারের পানির মতো । ইন্দিরার "গরিবি হটাও" প্রকল্পের জেরে বস্তি থেকে ইচ্ছেদ হয় ওম ।

তাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ট্র্যাজেডির সাথে আমরা পরিচিত হই, ঘটনাপ্রবাহ এসে থামে চুরাশি সালে ইন্দিরার হত্যা কান্ড পর্যন্ত । সারা শহর শিখবিরোধী দাংগায় বিপর্যস্ত, দিনা দালালের দর্জির দোকান উঠে যায়, তাঁকে ফিরে যেতে হয় ভাইয়ের কাছেই । সাচ এ লং জার্নি (1991) উপন্যাসের পটভুমি 1971 । ব্যাংকের কেরানি গুস্তাদ নোবেল রোজ কাগজে চোখ বোলান ছেলে সোহরাব আইআইটির (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অভ টেকনোলজি ) পরীক্ষায় পাশ করলো কিনা দেখার জন্য । একদিন ফল প্রকাশ হলো, সোহরাবের নাম আছে তাতে, কিন্তু এঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আগ্রহী নয় সোহরাব ।

ছেলের এই একগুঁয়েমিতে ভেঙে পড়েন গুস্তাদ । সোহরাবের অস্তিত্বই আর স্বীকার করতে চাননা তিনি, ওদিকের তাঁর স্ত্রী তুকতাক আর আধ্যাত্ব চর্চায় মন দেন । । মনে পড়ে হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়া পুরনো বন্ধু জিমি বিলিমোরিয়াকে । আচমকা উদয় হয় বিলিমোরিয়া, এখন সে গোয়েন্দা বিভাগের কর্তা, ষাট লাখ রুপি পাচারের জন্য গুস্তাদ নোবেলের সাহায্য দরকার তার ।

টাকা পাচার করতে গিয়ে অভাবিত বিপদে জড়িয়ে পড়েন নোবেল । ফ্যামিলি ম্যাটার্সে (2002) আসলে ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী পরিবারকে ব্যবচ্ছেদ করেছেন মিস্ত্রি । অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক নারিমান ভাকিল তাঁর সৎ মেয়ে কুমি আর সৎ ছেলে জালের সাথে থাকেন একটা সুপরিসর ফ্ল্যাটে । নারিমানের নিজের মেয়ে রোক্সানা তার স্বামী ইয়েজাদকে নিয়ে থাকে একটা দুকামরার ফ্ল্যাটে । পার্কিনসন্স ডিজিজ আর আঘাত পাওয়া হাঁটু তাঁকে পুরোপুরি নির্ভর করে তোলে অন্যদের ওপর , সেজন্য সৎ বাবাকে এখান থেকে কিভাবে তাড়ানো যায় জালের সাথে সে ফন্দি আঁটে কুমি ।

জালের নিজের বিচার বিবেচনা বলে কিছু নেই, কুমির সবকথাতেই সায় দেয় সে । সে পর্যন্ত ওদের অত্যাচারে রোক্সানার বাড়িতে উঠতে বাধ্য হন নারিমান ভাকিল । একসময় সাহিত্যের অধ্যাপক হওয়ায়, নারিমান ভাকিল স্বাভাবিক ভাবেই নিজেকে রাজা লিয়ারের সাথে তুলনা করেন । "To so many classes I taught Lear, learning nothing myself. What kind of teacher is that, as foolish at the end of his life as at the beginning? Don't worry, this Lear will go home again." রোক্সানার স্বামী ইয়েজাদ সবসময় বড়াই করে পার্সিদের মতো এতো ভালো মানুষ আর হয়না,পার্সিরা সৎ, পার্সিরা কথা দিয়ে কথা রাখে ইত্যাদি । কিন্তু কাহিনীতে যত পার্সি এসেছে তারা সবাই কোন না কোন দোষে দুষ্ট, এমনকি স্কুলের ক্লাস মনিটর (যে স্কুলে পড়ে ইয়েজাদের ছেলে) পর্যন্ত ঘুষ নেয় অন্য ছেলেদের কাছ থেকে, যাতে তাদের নামে শিক্ষকের কাছে নালিশ না করে মনিটর ।

নারিমান এসে পড়ায় শুরুতে বিরক্ত হলেও পরে ভাবান্তর ঘটে ইয়েজাদের "এই আমাদের সবার পরিনতি" বলে সে রোক্সানাকে । কিছুটা ইতিবাচক ভাবে শেষ হয়েছে উপন্যাসটা । রোহিনটন মিস্ত্রির কতগুলো ব্যাপার সচেতন পাঠকের চোখে পড়বে । প্রথমত, তিনি তাঁর কাহিনী নির্মানে পার্সি সমাজের পটভুমির বাইরে যাবেননা বললেই চলে । দ্বিতীয়ত, চরিত্রগুলো প্রায় সব কিছু না কিছু অসম্পুর্ণতা ও মানসিক ক্ষত বহন করছে, তবে তারা অনেক সময়েই আশাবাদী, যেমন ওমপ্রকাশ (যতো বিপদেই পড়ুক ওমপ্রকাশের মুদ্রাদোষ, বিপদে "লাইফ ইজ লং" স্বগোতোক্তি করা) ।

শেষ পর্যন্ত মিস্ত্রি বাস্তববাদী, এই বাস্তববাদ সত্যজিত রায়ের ছবি সদগতি বা পিকুর মতোই, ইতালিয়ান লেখক ভাস্কো প্রাতোলিনি যাকে বলেছেন নিও রিয়ালিজম-নয়া বাস্তববাদ । তাঁর চরিত্ররা টাটা বা গোদরেজদের মতো ধনকুবের পার্সি নয়, তারা সাধারন মানুষ, সাধারন তাদের পারিপাশ্বর্িকতা, কিন্তু তাঁদের জীবনের সমস্ত খুঁটিনাটি লেখকের আণুবীক্ষনিক পর্যবেক্ষণে ধরা পড়েছে । সবকিছুই রোহিনটন মিস্ত্রি "হিউম্যান স্কেল" থেকে দেখার পক্ষপাতি । রোহিনটন মিস্ত্রির লেখায় ডিকেন্স বা টলস্টয়ের ছায়া পাই আমরা । ।

ঊনিশ শতকের ক্লাসিক লেখকদের মতো রোহিন্টন মিস্ত্রির উপন্যাস দীর্ঘ ও চরিত্রবহুল, চরিত্রবর্ণনায় প্রচুর সময় নিয়েছেন লেখক । যদিও মিস্ত্রি একথা স্বীকার করেননি, "টরোন্টোতে আসার আগে অলিভার টুইস্ট ছাড়া আর কোন ডিকেন্সের লেখা পড়িইনি আমি । আর টলস্টয় তো আর অনেক পরে পড়েছি । আসলে ইদানিংকার অনেক লেখকের মতো ভংগুর, বিক্ষিপ্ত লেখা আমি লিখতে পারিনা । আমার মনে হয় গল্পের প্রারম্ভ থাকবে, কিছু সুস্পষ্ট চরিত্র থাকবে, কাহিনী থাকবে ও কাহিনী এগোবে তার নিজস্ব রৈখিক গতিতে এবং অবশ্যই একটা সমাপ্তি থাকবে ।

এতে যদি কেউ আমাকে উনিশ শতকীয় বলে তাহলে আমার কিছু বলবার বা করবার নেই, তবে কথাটা আমি প্রশংসা হিসাবেই নেবো ! " শেষঃ

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.