আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হুদাহুদাই গালাগালি করলাম

অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা

জনাব ইউনুস শিখিয়েছিলেন কিভাবে গরুর চামড়া ছিলে সে গরুর দুধ দোয়াতে হয়, এবং এর পর সেই চামড়া দিয়ে জুতা বানিয়ে গরুর পায়ে পড়িয়ে দিয়ে বলতে হয় গরু সভ্য ও স্বচ্ছল হয়েছে। এবার কুরবানীতে অনেক দিন পর পশুপ্রেমিকসংঘ দেখলাম, পশুর কষ্টে ন্যাংটা হয়ে ছবি তোলা বিদিশী সিনেমাস্টার না, পশুপ্রেমে বাংলাদেশি মানুষরাও এগিয়ে আছে, কুরবানী নামক বর্বর প্রথার বিরুদ্ধে কথা বলছেন তারা- তারা কি সব নিরামিষ খাদ্যে বিশ্বাসী, তারা কি ডিম খান? তারা কি মাঝে মাঝে মুরগি খান? তারা কি গরু খাসী এসব স্পর্শ করেন? তারা কি বাঘের মতো নখর লুকিয়ে এরপর সাধু নিরামিষি হয়েছেন নাকি অযথা একটা কথা বলে ফেললেন। কুরবানী বর্বর, এভাবে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে গরু জবাই দেওয়ার দৃশ্যটা সবার কাছে গ্রহনযোগ্য মনে নাও হতে পারে তবে মৃতু্য আসলে মৃতু্যই, ভ্রুন হত্যা হতে পারে বলে যেমন কেউ ডিম খাওয়া বাদ দিবে না তেমন শুধুমাত্র বর্বরতার দোহাই দিয়া কুরবানীকে অগ্রহনযোগ্য প্রমানের চেষ্টাটা হাস্যকর হয়ে উঠবে। কুরবানী বিষয়টার সাথে উপাসনাভিত্তিক যে আদর্শ সেটা এখন নেই- ওটা বাদ দিয়ে যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে তার বিরোধিতা করতে পারি আমি কিন্তু কাবাব-চাপ- কাটলেট, ক্রাম চপ খাওয়া আমি কোনো মতেই পশুহত্যার বিরোধী না। ডিম বিষয়টা আমার পছন্দ না তাই বলে কেউ ডিম খেলে আমার আপত্তি নেই- তবে নিজে মাংসাশী হয়ে কুরবানীর গরু জবাইকে বর্বর বলার ভন্ডামিটা এখনও ঠিক মেনে নিতে পারছি না। ইউনুস ভাইকে নিয়ে একজনের চমৎকার একটা মন্তব্য ছিলো- গরিবের হোগার তেল বের করে সেই তেল গরীবের হোগায় মেখে গরীবের হোগা মারা ইউনুস নোবেল পাইছে- এইটাতে পাছার কাপড় তুলে লাফানোর কি আছে? তেমন ভাবেই বলা যায় একজন মাংসাশী হুট করে পেটার সদস্য হয়েছে-কুরবানী বর্বর বলছে এইটা নিয়া মাতামাতির কি আছে? গরু কেনা হচ্ছে, সবাই পারছে না, কুরবানীর বাজার চড়া, সাংঘাতিক দাম, গরু কেনা হচ্ছে, গরুর মাংসের জল্পনা চলছে, বাজার থেকে মাগনস কিনলে সস্তা পড়তো কি না এমন আলোচনাও প্রবল যখন তখন একজনকে বললাম- কি রে কিছু কিনলি না? বললো সংগতি নাই, আমরা গরীবের পোলাপাইন, কথাটা শুনিস নাই- গরীবের পোলাপাইন কম্বলে বসে হোগা কুটকুট করে মিটিমিটি হাসে আমার হইলো ঐ অবস্থা, রাস্তা দিয়া যেই গরুই যায় দাম জিগাই আর বলি ইশ লাভ করছেন। ইশ ঠকে গেছেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.