আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আর কত শামীম আকন্দ দের মত মানুষ নামের পশু জন্মাবে আমাদের নিরবতাকে পুজিঁ করে..???

আমি চাই আমাদের দেশে আর কোন হানাহানি থাকবে না....। পটুয়াখালীতে ১২ বছরের একটি মেয়ে নাজমা বেগমের সহয়তায় ধর্ষণ করে শামীম আহমেদ আকন্দ নামের এক যুবক (পটুয়াখালী সরকারী কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র)। ২৯ ডিসেম্বর মেয়েটি শারিরিক অবস্থার অবনতির, আর্থিক অসংগতি আর লোকলজ্জার ভয়ে তাকে তার গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসকের মাধ্যমে তাকে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু আবারও রক্তক্ষরণের কারণে অবস্থার অবনতি হওয়াতে গত ১০ জানুয়ারীতে তাকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

আমরা কি সব সময় বিচার চাইবো আর অপরাধীরা বীর বেশে আপরাধ করে যাবে...? তারা কি শাস্তি পাবে না...? তাদের কি কোনো বিচার হবেনা...শামীম আহমেদ ও নাজমা বেগমের নাম মামলা হলেও আসামিরা মেয়েটির পরিবার কে নানা ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে... আমাদের দেশে অনেক নারী সংগঠন আছে। যারা বিভিন্ন টকশো তে কথার ফুলঝুরি দিয়ে প্রমান করতে চান তারা সমাজের অনেক বড় সমস্যা সমাধান করে ফেলেছেন...! শুধু কথা দিয়ে নয় যারা নারীদের নিয়ে কাজ করেন তারা প্রমান করেন আপনারা নারীদের নিয়ে আসলেও ভাবেন... ভারতের মানুষ যদি এই ভাবে প্রতিবাদ করতে পারে একটি মেয়ের জন্য তাহলে আমরা কেনো পারবো না। তারা ভারতের সরকারের ভিতকে নড়িয়ে দিতে পারে তহলে আমরা কেনো পারবো না... কিন্তু আমরা কি দেখলাম যে আমাদের দেশের নারী নেত্রীর ভুমিকাই যাই নি বুঝলাম না তাদের কি হলো... তারা কেনো রাজপথে বের হলো না...? পটুয়াখালীর ঐ ১২ বছরের মেয়েটির পক্ষে... আমরা যারা এই শহরে ব্যানার, ফ্যাসটুন আর মোমবাতি জ্বালিয়ে বার বার দাড়াই শহীদ মিনার, প্রেসক্লাব আর শাহবাগ চত্ত্বরে, ফেসবুক হাজার বার লিখ বিচার চাই, বিচার চাই। আমরা কি বিচার পাবো... বা যে মেয়েটি ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে সেই কি কোনো বিচার পাবে...??? যখন ধর্ষণের প্রতিবাদে ঝড় বইছে তখনও ধর্ষকরা নিশ্চিন্তে ধর্ষণ করে বেড়াছে আজ আবার রাজধানীর তোপখানা রোডের এক বাসা থেকে রিতু নামের ১০ বছরের এক শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে তোপখানা রোডের ট্রপিক্যাল টাওয়ারের চতুর্থ তলার একটি বাথরুম থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।

শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। আবার সাভারে এবার গার্মেন্টেস কর্মীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শাস্তির দাবী নিয়ে যেসব পরিবারগুলো এগিয়ে আসে সেই পরিবারগুলোর পাশে দাড়ানোর সময়ই থাকে না আমাদের নানা ব্যস্ততায় কিংবা অযুহাতে। কিন্তু আর কতবার আমরা পালাব? আর কত শামীম আকন্দ দের মত মানুষ নামের পশু জন্মাবে আমাদের নিরবতাকে পুজিঁ করে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।