আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্মৃতিসৌধের স্থপতির জন্য দোয়া কামনা

ইসু্যভিত্তিক আন্দোলন

সকাল সাড়ে 6টা। চারপাশে কুয়াশার হালকা চাদর। এর মধ্যেই বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বেদির পশ্চিম পাশটায় এসে নীরবে দাঁড়ালেন তিনি। নিভৃতচারী মানুষ। কম কথা বলেন।

কিন্তু চোখ দুটিতে অসম্ভ্ভব দু্যতি খেলা করছিল। বারবার চোখ চলে যাচ্ছিল সৌধের সুউচ্চ চূড়ায়। বিউগলে তখন করুণ সুর বাজছে। ধীরে ধীরে পতাকা উঠছে। আর শান্তসৌম্য মানুষটি অপলক চোখে দেখছেন তারই অমর কীর্তি মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে নির্মিত জাতীয় স্মৃৃতিসৌধ'।

এই প্রথমবারের মতো রাষ্ট্র্রীয় নিমন্ত্রণে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসেছিলেন বরেণ্য স্থ্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন। উদ্বোধনের পর কোনো সরকারই সৌধ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত কোনো রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করেনি তাকে। ডাক পাননি সৌধটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও। কিন্তু যখনই ইচ্ছা হয়েছে, তিনি এসেছেন। একা একা ঘুরেছেন।

সর্বশেষ এসেছিলেন গত বছরের 26 মার্চ। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি আনুষ্ঠানিক শ্রদ্ধা জানানো শেষে ফিরে গিয়েছেন তড়িঘড়ি। তিনি বলেন, '52 থেকে '71 সাল পর্যন্ত ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার সঙ্গে সংখ্যা 7-এর একটি মিলও রেখেছি আমি। যেমন '52-এর ভাষা আন্দোলন_ 5 আর 2 মিলে 7, বীরশ্রেষ্ঠ 7 জন, 16 ডিসেম্ব্বরের 1 আর 6 মিলে 7, 25 মার্চের 2 আর 5 মিলে 7, আর সবশেষে '71-এর 7। অর্থাৎ স্ব্বাধীনতা যুদ্ধ।

আজকের প্রোপটে স্বাধীনতা যুদ্ধ, গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রসঙ্গে তিনি খুব অল্প কথায় বললেন, দেশটা এখন অনেক বড় হয়ে গেছে। উন্নতি হয়েছে। এসব কথা বলা মুশকিল। আগে যা দেখেছেন, তা থেকে সব বড় হয়ে গেছে, সরে গেছে, শহর বেড়েছে। তবে একাত্তরের চেতনা বাস্তবায়িত হচ্ছে।

দীর্ঘ 8-9 বছর ধরে প্রচণ্ড অসুস্থতার কারণে বাড়িতেই কাটিয়েছেন এই বরেণ্য স্থপতি। কথা বলতেন না। কাউকে ঠিকমতো চিনতেনও না। কেউ ডাকলে চমকে উঠতেন। তবে ক্রমেই সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি।

শনিবার সঙ্গে আসা তিন বন্ধুর একজন মুক্তিযোদ্ধা এম আবদুল আজিজ কাতরস্ব্বরে বললেন, ওর জন্য দোয়া করবেন আপনারা। যেন সুস্থ হয়ে ওঠে। যেন আরো অনেক কিছু দিতে পারে এই জাতিকে। তথ্য সুত্র: সমকাল স্মৃতিসৌধের স্থপতি সৈয়দ মাইনুল ইসলাম 16 ডিসেম্বর এসেছিলেন স্মৃতিসৌধ দেখতে। কেমন আছে তার মুক্তিযুদ্ধের স্মারকটি।

কিন্তু তিনি অসুস্থ। হয়তো অনেকের মতো তিনিও হারিয়ে যাবেন আমাদের মাঝ থেকে। কিন্তু জাতি তার কাছ থেকে আরো কিছু আশা করে। আসুন আমরা তার জন্য দোয়া করি। তিনি দীর্ঘজীবি হন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।