আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তালিকা সংশোধনে সহেযাগিতা পাচ্ছে না ই!ি@@!273437 উল্টো হুমকি ও নাজেহালের অভিযোগ



চলমান ভোটার তালিকা সংশোধন কাজে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাচ্ছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সহযোগিতার পরিবর্তে উল্টো সহায়ক কর্মকর্তাদের নানাভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এতে করে সংশোধন কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে হিমশিম খাচ্ছেন সহায়ক কর্মকর্তারা। কোন কোন এলাকায় তাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকির মাধ্যমে কর্তনযোগ্য ভোটারের নাম বাদ না দিয়ে নতুন অন্তর্ভুক্তিতে বাধ্য করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। ইসির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি স্বীকার করলেও সুষ্ঠু ও নির্ভুল তালিকা তৈরির স্বার্থেই তারা এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিতে চাচ্ছেন না বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, মহাখালী ২০ নং ওয়ার্ডে কর্মরত সহায়ক কর্মকর্তারা তালিকা সংশোধনের জন্য এলাকায় গেলে ভুয়া ভোটার থাকার অভিযোগে তাকে নানাভাবে নাজেহাল করা হয়। একই সাথে তাকে ২০০০ সালের তালিকা থেকে কারও নাম কর্তন না করার জন্য চাপ দেয়া হয়। স্খানীয় যুবলীগ কর্মীরা তাকে এই নাজেহাল করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে ইসি সচিব জানান, কাউকে নাজেহাল করা দু:খজনক। অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করা দরকার।

একই রকম অভিযোগ রয়েছে ঢাকার ৫৬ নং, ২০ নং ওয়ার্ডসহ বেশ ক'টি এলাকায়। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, খূলনা ও সিলেটের বেশ ক'টি স্খানে সহায়ক কর্মকর্তাদের হুমকি প্রদানসহ নাম কর্তনে বাধা এবং নতুন অন্তর্ভুক্তিতে বাধ্য করার মতো ঘটনা ঘটেছে বলে আমাদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। বিষয়টি স্বীকার করেছেন ভারপ্রাপ্ত সিইসি বিচারপতি মাহফুজুর রহমানও। তিনি গতকাল সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, তালিকা সংশোধনে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা কমিশন পাচ্ছে না। দ্বৈত, ভুয়া বা অযোগ্য ভোটারের নাম কর্তনে কেউ সহযোগিতা তেমনভাবে করছে না।

কমিশনের নিযুক্ত কর্মকর্তারা দিন-রাত পরিশ্রম করলেও এ কাজে বাড়ির মালিকদের সহযোগিতা সেভাবে মিলছে না। তবে সংশোধন কাজে কমিশন চেষ্টার কোন ত্রুটি করছে না বলে জানান তিনি। ভোটার তালিকা সংশোধনের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ সকল দলের সুপারিশ সম্মানের সাথে বিবেচনা করে সংশোধন কাজ করছে। তিনি মিডিয়ার মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে সংশোধন কাজে সহযোগিতা প্রত্যাশা করে বলেন, কেউ বাদ পড়ে থাকলে দয়া করে নাম অন্তর্ভুক্তি করুন এবং ডুব্লিকেশন থাকলে পয়েন্ট আউট করে নাম কর্তনে সহায়তা করুন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত সিইসি জানান, ইসি গৃহীত ৮ দিনের পদক্ষেপের মাধ্যমে নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা সম্ভব।

তারপর একটু-আধটু ভুল-ত্রুটি থাকাটা অস্বাভাবিক নয় মন্তব্য করে বলেন, মানুষ মাত্রই ভুল হয়। তবে ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন কমিশন নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত চলমান প্রক্রিয়ায় তা সংশোধন করে নেবে। চার উপদেষ্টার পদত্যাগে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোন প্রভাব পড়বে কিনা প্রশ্নের জবাবে কোন প্রতিক্রিয়া জানানি তিনি। নির্বাচনী কেন্দ্রে সেনাবাহিনী চাওয়া হবে কিনা জবাবে জানান, দেখা যাক। অবশ্য পরক্ষণেই তিনি এ বিষয়ে ্তুনো কমেন্ট' বলেন।

যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সরস্বতী পূজার কারণে নির্বাচনের দিনটি পরিবর্তিত হতে পারে। সরকারের উপদেষ্টাদের প্যাকেজ প্রস্তাব পুরোপুরি পূরণ না হওয়ার প্রশ্নে তিনি কোন মন্তব্য করেননি। নির্বাচন কমিশনারদের ছুটিতে যাওয়ার প্রশ্নেও তিনি কোন মন্তব্য করেননি। এদিকে গতকাল সোমবার সকালে পৌনে দশটায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নির্বাচন কমিশনার স.ম. জাকারিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেন জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা দেলাওয়ার হুসাইন সাঈদী। তিনি তার নির্বাচনী এলাকা নিয়ে ঐ কমিশনারের সাথে বেশ কিছুক্ষণ আলাপ করেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে বৃটিশ সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএফআইডি'র জনৈক প্রতিনিধি নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা ফরিদ আহমদ ভূঁইয়ার সাথে দেখা করে বিদেশী পর্যবক্ষেকদের বিষয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।