আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজিজ্যা বাঞ্চোত

অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা

আমাদের নির্বাচন কমিশনের প্রধান জনাব আজিজ বেশ মাই ডিয়ার ধাঁচের লোক, অনেকটা ত্রিভূজাক্রান্ত, হয়তো কোনো এক কুক্ষনে ত্রিভূজের সাথে তার গ্রহের নষ্ট যোগাযোগ হয়েছিলো, হতে পারে সেই নির্বাচন কমিশনের খোলা মাঠে ত্রিভূজ ঘাস খাচ্ছিলো আপন মনে সেই দৃশ্য দেখে আজিজের মনে হয়েছিলো আহা আমিও তো এমন করেই খেতে পারতাম, ইশ্বর বড় আজ্জব মানুষ, তার ইচ্ছাপুরণ করলেন, মেধায় তাকে ত্রিভূজ সমতুল্য করে তুললেন, এবং নির্বাচন কমিশনের চেয়ারে বসে টার নিখাদ ত্রিভূজীয় ছাগলামি দেখে দেশবাসী যখন হটাশ, বিরক্ত তখন আরও একদল ছাগলকে তার সমর্থক বানিয়ে দিলেন। বেশ কয়েক দিন আগে এক বন্ধুর বাসায় গিয়েছিলাম, দুর্ভাগ্য আমার যে বন্ধুর বদলে বন্ধুর বড় ভাইয়ের সাথে সামান্য কথা হলো, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে, এখন এটাই হট টপিক আলোচনার জন্য, বাংলাদেশের 99.99% মানুষ রাজনৈতিক নেতাদের মতো বিচক্ষণ, বাকী 0.01% জনগনের ভেতরে আছে পিয়াল ভাই, তাই আমি সংখ্যাগরিষ্ঠের দলে থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক ভবিষ্যত বানী করতে পছন্দ করি, আলোচনাও পছন্দ করি, এরকম ভাবেই আলোচনার সুত্রপাত হলো, সকালে খবরে দেখলাম একজন বিচারপতি আজিজকে উন্মাদ আখ্যায়িত করেছে, তার কুশপূত্তলিকা দাহ হচ্ছে নিয়মিত ভাবে, আমি বেশ উৎফুল্লই ছিলাম, তবে তার প্রতিক্রিয়া বুঝলাম আজিজের এই নাদানিতে তার সমর্থন আছে, বি এন পি নেতৃবৃন্দের কথাকে বেদবাক্য মনে করে এমন মানুষও পৃথিবীতে আছে তাহলে? আমার যুক্তি ছিলো একজন সাবেক বিচারপতি হয়ে কি জন্য তিনি হাই কোর্টের রায়কে অগ্রাহ্য করলেন, আইনানুগত্য না থাকলে তিনি কিভাবে বিচারকার্য পরিচালনা করেছেন, তার ভেতরে যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা না থাকে তাহলে তার পেশাগত সততার উপর একটা বিশাল প্রশ্নচিহ্ন ঝুলে থাকে। এরপরও বি এন পি ও চার দলীয় ঐক্যজোট তাকে ভিন্ন উপায়ে সংখাগরিষ্ট করে তুলেছিলেন, এখন গত রাতে মান্নান ভুঁইয়ার কথা শুনে বুঝলাম তাদের ধারনা হয়েছে যেহেতু রাষ্ট্রপতি তাদের অনুগত, একান্ত বাধ্যগত পোষমানা প্রাণী তাই তিনি তার ক্ষমতার অপব্যাবহার করে এই ছাগলকে বরখাস্ত করবেন না, টারা এমন ভাবে সংবিধান নিয়ে হাহাকার করছেন যেনো সংবিধান নামক বস্তুটি আল কোরান, আল ফুরকান ধাঁচের কিছু, তার পাশে বসে জামাতি এক ছাগল দাড়ি নাড়ছিলো, আহা সংবিধান খুব খুব গুরুত্বপুর্ণ জিনিষ, ওটার ভেতরে থেকে কোনো মতেই বদল করা সম্ভব না আমাদের নির্বাচন কমিশনার, নুন্যতম লজ্জ্বাবোধ নেই এই লোকের। আমার এক বন্ধু ওকে ক্ল্যাসিক বেহায়া বলেছে, যদিও এটা পৌরণিক পর্যায়ে চলে গেছে, তার নির্লজ্জতার উদাহরন দেওয়া হবে ভবিষ্যতে এমন ভাবে যে বেহায়ামিতে তাকে অতিক্রম করে যাওয়াটা একটা বিশাল কিছু হবে, তিনি প্রবাদপুরুষ এ লাইনে, আমার মনে হয় তারও সুবুদ্ধির উদয় হবে, একটা কথা শুনেছিলাম, যাদের বিবেক লাথিঝাঁটার বাড়িতে পরিস্কার হয় তাদের কথায় বোঝানো যায় না কিছু, লাতের ভুত বাতে মানে না। আজিজকে হয়তো নির্মম ভাবে অপসারন করা হবে, হেনেস্তা করা হবে, আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরীর মতো তাকে হেনেস্টা করে নামানো হবে এবং এই আনুগত্যের পুরুস্কার হিসেবে তিনি রাষ্ট্রদুতও হয়ে যেতে পারেন। মান্নান ভুঁইয়া খুব সোজা একটা বক্তব্য পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতির কাছে, আমরা মানবো না এই অপসারন, টা 1000 লোক মারা যাক, 15 দিন দেশ অচল থাকুক, দেশে সেনাবাহিনী নামানোর কথা বলছেন এক োন্ধ উপদেষ্টা, তার মিলিটারি ধন চাটতে ভালো লাগে হয়তো, আর্মির বলিষ্ট ধন চেয়ে তিনি যে অমলসুখ পান সেই জন্যও হয়তো তিনি মিলিটারি নামানোর পক্ষে, আমাদের বৃদ্ধ অশক্ত রাষ্ট্রপতির ন্যাতানো শিশ্নও হয়তো মিলিটারির প্রভাবে উজ্জিবীত হবে, আমরা উজ্জিবন দেখবো, বসে বসে হাত মারবো আর আজিজ মিয়ার ত্রিভূজিয় কান্ড দেখতে থাকতো ততদিন পর্যন্ত যতদিন না কেউ গিয়ে তাকে কান ধরে বাইরে ছুড়ে ফেলে। এই সুদিন আসবে কবে সেই অপেক্ষায় আছি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।