আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার দেখা নিউইয়র্ক!

রক্ত চাইলে রক্ত নে, রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ দে...

বন্ধুরা, আমেরিকার মাটিতে পা রেখেছি, খুব বেশী দিন হয়নি, এরই মধ্যে নিউইয়র্কের বেশ কিছু প্রসিদ্ধ স্থান ঘুরে দেখার মতো সময় হয়েছিলো আমার। আমেরিকার অন্যতম ব্যস্ত নগরী নিউইয়র্ক, অনেক সময় নিউইয়র্ককে পৃথিবীর রাজধানীও বলা হয়ে থাকে। সত্যি কথা বলতে কি, বিগত মাস খানেক সময় এখানে অবস্থান করে আমারও মনে হয়েছে, নিউইয়র্ক সত্যি খুব ব্যস্ত একটা নগরী। এখানে জীবন কখনোই থেমে থাকেনা, শেষ রাতেও রাস্তায় বের হলে দেখতে পাওয়া যায় শত শত গাড়ি সাই সাই করে ছুটছে, কেউ হয়তো জীবিকার প্রয়োজনে, কেউবা ঘুরতে বের হন। রাস্তায়ও দেখতে পাবেন, লোকজন হেটে যাচ্ছে তার আপন গন্তব্যে।

তবে এটাও সত্যি যে, নিউইয়র্ক-এ অনেক লোক বসবাস করেন, তবে এদের খুব কম সংখ্যক লোকই এই নগরীর স্থায়ী অধিবাসী। এখানে আপনি পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেকটা দেশেরই লোকজন দেখতে পাবেন। সমস্ত পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে লোকজন আসেন, কেউ জীবিকার সন্ধানে, কেউবা ঘুরতে। কারণ যাইহোক, এখানে রাস্তায় বের হলেই আপনি দেখতে পাবেন চাইনিজ, ভারতীয়, বাংলাদেশী, ইউরোপীয়ান ছাড়াও বিভিন্ন দেশের মানুষ। বিশেষ করে এখানে চাইনিজ সম্প্রদায়ের লোকজনের বেশ ভালো প্রভাব আছে।

প্রতিবেশী দেশ মেক্রিকো থেকেও বিশাল সংখ্যক লোকজন এখানে আসেন কাজ করার জন্য। ইট, পাথরের নগরী হলেও এখানকার মানুষগুলো অসম্ভব আমোদ প্রিয়। আনন্দ, আড্ডা, এ্যালকোহল আর মেয়ে মানুষদের জন্যে এরা দু'হাতে টাকা ওড়াতে পারে অবলীলায়। বিশেষ করে সপ্তাহান্তে আপনি বুঝতে পারবেন এরা কতটা আমোদ প্রিয়, সে সময় দিনের বেলার চেয়ে রাতে বেশী লোকজন চোখে পড়ে, শেষ রাএিতেও আপনি দেখতে পাবেন এদের আনন্দ আড্ডার কোন কমতি নেই। সাই সাই করে গাড়ি ছুটিয়ে, হাই ভলিউমে গান বাজিয়ে, বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে এরা আড্ডায় মেতে থাকে।

অন্যান্য দিনগুলোর তুলনায় সপ্তাহান্তের রাতে বিভিন্ন দোকানে বিয়ার, মদ কেনার জন্যে এদের লম্বা লাইন লেগে থাকে। তবে একটা ব্যাপার না বললেই নয়, এখানে আইন বেশ কড়াকড়ি, যে যার মতো আনন্দ বা মজা করলেও তেমন কেউই আইন ভঙ্গ করেন না। তবে বিছিন্ন কিছু ঘটনা যে একেবারেই ঘটেনা তা কিন্তু নয়। এখানে সবচেয়ে বড় অপরাধ কারো গায়ে হাত তোলা, অপরাধ যারই হোক আপনি গায়ে হাত তুললেন তো সব দোষ আপনার কাঁধেই বর্তাবে। এখানকার পুলিশ প্রশাসন সব সময়ই বেশ কড়া, বিশেষ করে জনগনের স্বার্থে তারা অনেকটাই নিবেদিত প্রান বলতে হবে।

এক্ষেএে বরাবরই আমার বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনের কথা মনে পড়েছে, আর ধিক্কার জেগেছে মনে। সবশেষে বলবো, নিউইয়র্ক সত্যিই সুন্দর একটা নগরী, তবে সবকিছুর মতোই এর অনেক অসুন্দর কিছু দৃশ্যও আমার চোখে পড়েছে, যেমন গৃহহীন লোকজন, ভিক্ষাবৃত্তি, বৃদ্ধবয়সের একাকীত্ব এসব নিয়ে লিখার ইচ্ছে আছে, তবে তা কেবলই নির্ভর করছে আপনাদের মন্তব্যের উপর। টাইম স্কয়ার, এমপায়ার স্টেট বিলডিং, সাবওয়ে, রিভারসাইড পার্ক, ম্যকডোনালডস, ইউএন হেডকোয়ার্টার ছাড়া এখানে দেখার মতো অনেক কিছুই আছে। এসবের অনেক কিছুই আমার দেখা হয়েছে ইতিমধ্যে। আমার অভিজ্ঞতা আর কিছু ছবি দিয়ে এসব স্থানগুলো নিয়ে বিভিন্ন কিস্তিতে লিখার আশা রাখছি।

তবে এ ব্যাপারে আপনাদের সমর্থন পেলে অবশ্যই আমি তা গুরুত্বসহকারে লিখবো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.