সবকিছুই তো থাকছে............... তবে অবশ্যই পবিত্রতার স্বার্থে এই ব্লগ একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও তাদের উত্তরসুরী-সমর্থকদের জন্য নিষিদ্ধ.......এটি শুধুতাদের জন্যই উন্মুক্ত যারা সুস্থ চিন্তার অধিকারী মুক্তবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ......
যখন খুব একা থাকি কিংবা মন খারাপ হয় তখনই মনে পড়ে। খুব ছোট বেলায় সম্ভবত প্রাইমারীতে ফোর কিংবা ফাইভে পড়ি। জুয়েল আমার খুব ক্লোজ ফ্রেন্ড। বাসা ছিল কাছাকাছি। আমার বাসা থেকে বেরিয়ে ওর বাসার সামনে গিয়ে দাড়িয়ে থাকতাম।
ও বের হলে একসাথে স্কুলে যেতাম। মজার ব্যাপার হলো কারো কাছে ঘড়ি ছিলোনা। কিন্তু আমি ওর বাসার সামনে যাওয়ার মিনিট খানেকের মধ্যেই ও বেরিয়ে আসতো। কখনো জিজ্ঞাসা করা হয়নি তুই বুঝিস কেমনে যে আমি এসেছি।
প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে বাসার সামনে আমরা দুজন ফুটবল নিয়ে দাপাদাপি করতাম।
কিংবা স্কুলের মাঠে এক হাটু পানি র মধ্যে দৌড়াদৌড়িতে আমাদের মজাই ছিলো আলাদা।
যাই হোক প্রাইমারীর পর হাইস্কুলে থাকাকালেই ওর বাবা ওদেরকে নিয়ে অন্য কোথায় যেনো চলে গেলো। এরপরও মাঝে মধ্যে দেখা হয়ে যেতো ওরা বেড়াতে আসলে।
তারপর একদিন সেই দুসংবাদ টি শুনলাম। মায়ের উপর অভিমান করে জুয়েল আত্মহত্যা করেছে।
প্রথমে বুঝতে পারিনি। আমাকে যখন জানানো হলো তখন ওই কথার কোন গুরুত্বই আমার কাছে ছিলোনা। আত্মহত্যা কি জিনিস সেটাই তো জানতামনা। আর জুয়েল কেন মরবে? যাই ই ঘটুক আমি তো জানি জুয়েলের সঙ্গে দেখা হবেই।
আস্তে আস্তে দিন যায়.. মাস যায়.. বছর যায় কিন্তু জুয়েল আর আসেনা।
ওর বাবাকে দেখলে ছুটে যাই.. জিজ্ঞেস করি কেউ কোন উত্তর দেয়না।
একসময় বুঝলাম জুয়েল আর আসবেনা। খুব কষ্ট হয়। প্রায় 17/18 বছর আগের ঘটনা। তারপরেও আমার জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করে ...কেমন আছিস জুয়েল ? বোকার মতো এই কাজটা কেন করতে গেলি তুই ? তোর কি একবারও মনে হলোনা অন্য সবার যে কি কষ্ট হবে ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।