আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রোযায় স্বাস্থ্য রক্ষা

আমি চলছি পথ একা,আমি চলব পথ চলব। যেথা মৃত্যু বিভীষিকা অবিরাম............বিপদ সংকুল পথ.........

রমযান মাস এলেই অনেকে শরীরের বিভিন্ন অসুস্থতার কথা ভেবে রোযা থাকাটা সমস্যা মনে করেন । চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিতে রোযায় স্বাস্থ্যগত কোনো অসুবিধা নেই বরং সুফল রয়েছে অনেক । এ ব্যাপারে রোযার কিছু উপকারিতার কথা বলা হল। বদহজম ও গ্যাষ্টিক আলসাওে উপকারী : রোযা এলেই অনেকে বলেন - গ্যাষ্টিক , বদহজম বেড়ে যায়।

আসলে কথাটা সত্য নয় । রোযার মাধ্যমে একটা নির্দিষ্ট সময় পযনর্্ত পাকস্থলীকে খালি রাখা হয় । যার মাধ্যমে পাকস্থলী দিনের বেলা খাদ্য ও পানীয় হজম করার কাজ থেকে সাময়িক অব্যাহতি পায়। ফলে পাকস্থলীর এসিড নি:সরণ কমে। এতে বরং গ্যাষ্টিকের ব্যথা কমে যায়।

তবে তেল,চর্বি জাতীয় খাবারের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। রক্তের কোলেস্টেরল/চর্বি পরিমন কমায় : আমাদের নিয়মিত খাদ্যের অশোধিত কলাগুলো চর্বি ও শকরর্া আকারে রক্তে বা শরীরের জটিল গ্রন্থিতে জমে যায়। আর এই অশোধিত চর্বি থেকে হৃদ রোগ,ফ্যাটিলিভার, ব্রেইন স্ট্রোকসহ মারাত্নক জটিল রোগের সৃষ্টি হতে পারে। রোযার মাধ্যমে শরীরের এই অশোধিত চর্বি গুলো বিভিন্নভাবে দেহ থেকে বেরিয়ে যায়। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ : ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত নিয়মিত হালকা ব্যায়াম ও হাটাহাটির পরামর্শ দেয়া হয়।

রোযার মাসে পাচঁ ওয়াক্ত নামাজের জন্য দাড়িঁয়ে ফরজ ও তারাবির নামাজের পড়ার মাধ্যমে শরীরচচর্ার কাজটি হয়ে যায়। ধুমপান ও মাদকাসক্তির প্রতিরোধ : যারা ধুমপায়ী ও মাদকাসক্ত তাদের জন্য রমযান মাস একটি আশর্ীবাদ। যদি কেউ এসব নেশা ছাড়তে চায় দীর্ঘ একমাস সংযমের মাধ্যমে এই বদ অভ্যাস ত্যাগ করার অনুশীলন তাদের হয়ে যায়। আর এসব নেশার মাধ্যমে বিভিন্ন রকম মরণব্যাধি সমর্্পেক আমাদের সবারই যথেষ্ট ধারনা আছে। মেদভুঁড়ির চিকিৎসা : দীর্ঘ 30 দিন রোযা রাখার মাধ্যমে অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও শরীর চচর্াও যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় তা যদি সারা বছরের অভ্যাসে পরিনত করা যায়, তাহলে অতিরিক্ত মেদ ঝরানো কঠিন কিছু হবে না।

মনো রোগর চিকিৎসা : দৈহিক অসুস্থতার চাইতে মনের অসুস্থতা জটিল। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার মাধ্যমে সৎ চিন্তা ,সৎসঙ্গ, সৎকর্মের যে চর্চা হয় তাতে মনের কালিমা দূর হয়ে মনকে করে সুন্দর ও পবিত্র। এর মাধ্যমে উদ্বেগ, হতাশা, অস্থিরতা প্রভৃতি মানসিক রোগ দূর হয়। চর্ম রোগ নিয়ন্ত্রন : রোযা রাখার মাধ্যমে শরীরের শকরর্ার মাত্রা নিয়ন্ত্রনে থাকায় ডায়াবেটিস জনিত বিভিন্ন চর্ম রোগের জটিলতা থেকে অব্যাহতি পাওয়া যায়। (কয়েকদিন আগে একটা পত্রিকায় তথ্য গুরো পেয়েছিলাম।

)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।