আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তাবলীগ জামাতের কিছু কর্মীদের একটি ভুল : হিজরত ছাড়া, ইমান পূর্ণ হয় না, ইয়াক্কীন তৈরী হয়না।

যাদের হাতে দলীল প্রমাণ কম তারা গালি দেয় বেশি

হিজরত খুবই গুরুত্ব পূর্ন একটি আমল । যদি কোন স্হানে ইমান - ইসলাম নিয়ে বাচা সম্ভব না হয় তবে সে স্হান ত্যাগ করে মুসলমানী জীবন জাপন করা সহজ সেখানে চলে যাওয়া জরূরী । একে হিজরত বলে। ইসলামের শুরু যামানায় মক্কা শরীফে রসুল ও সাহাবাদের ইসলাম মানা এমনকি বেচে থাকা অসম্ভব হয়ে গিয়েছিল, তখন হিজরতের নির্দেশ আসে । মুসলমানদের জন্য তখন হিজরত করা ফরজ ছিল ।

এই নির্দেশ মক্খা বিজয় পর্যন্ত ছিল, মক্কা বিজয়ের পর হিজরতের এই নির্দেশ রহিত হয়ে যায় । তবে যে কোন যুগে , যে কোন স্হানেই যদি এরূপ পরিস্হিতি হয় , তাহলেও একই নির্দেশ । এর ফজীলতও অনেক। তবে হিজরত বর্তমানে সব জায়গায় - সব সময় ফরজ না, এমনকি অধিকাংশ স্হানেই এরূপ না । তবে মক্খা বিজয়ের পর হিজরতের নিয়ত বাকি থাকবে, জেহাদ - তাবলীগ ইত্যাদী কাজে সফরের হুকুম অবশিষ্ট আছে, থাকবে।

তবে হিজরত নির্দিষ্ট ভাবে ফরজ না হলে, কাউকে একথা বলা যাবে না যেহেতু সে হিজরত করে নি সুতরাং তার ইমান পূর্ণ না ! তবে ফরজ হিজরত কেউ যদি না করে তবে তার ইমান ত্রুটিযুক্ত হবে । আমাদের কিছু মুবাল্লিগ ভাইরা তাবলীগী সফরকেই হিজরত বলেন, আবার এই হিজরত না করলে ইমান পূর্ন হবে না বলে থাকেন । অথচ বিষয়টা এরূপ না । শরীয়তেও একথা বলা হয় না - যে কোন ব্যক্তি যদি তাবলীগী সফর না করে তবে তার ইমান পূর্ন হবে না। প্রথমত তাবলীগী সফরগুলো শরয়ী ভাবে হিজরত হিসেবে গন্য না ।

আর এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ তাবলীগী ভাইয়েরা ৪ মাস, এক বছর পর ফিরে আসেন, চির দিনের জন্য যান না । এগুলো সফর । আর সফরের সাথে হিজরতের অনেক পার্থক্য আছে । আর এটাকে কে্উ কেউ রূপক হিজরত বলে থাকেন। এটা মেনে নিলেও শরীয়তে এর হুকুম ফরজের দরজায় না।

আর তাই এর অভাবে কারও ইমানকে ত্রটিযুক্তও বলা যাবে না ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.