আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজাকার শব্দটাকে আমি অবান্তর বলি কেন?



স্বয়ং স্রষ্টাও যদি আমাকে বলে, কায়সার তুমি ওমুক বর্ণের/ সমপ্রদায়ের/ ধর্মের মানুষ। আমি তা প্রত্যক্ষান করব নির্দিধায়। আমি বুঝব ও কথা স্রষ্টার না। আমি জানি স্রষ্টা অমন কথা কখনোই বলবেন না কেননা তিনি সামপ্রদয়িক নন। তিনি সামপ্রদায়িক হলে নানা সমপ্রদায়ের সৃষ্টি করতেন না, কেবল তার পছন্দের সমপ্রদায়কেই সৃষ্টি করতেন।

আর সার্বজনীন জীবন ব্যাবস্থা ইসলামকে মানুষের জন্য পাঠাতেন না। ইসলাম এতটাই সার্বজনীন জীবন ব্যাবস্থা যে স্বয়ং এর প্রবর্তক মানুষ হিসেবে যা করতেন আমাদেরও তা করার পূর্ণ অধিকার আছে। তিনি রাসূল হিসেবে (মানুষ হিসেবে নয়) প্রতিটি মুসলমানের কাছেই অনুকরণীয়। এ ব্যবস্থায় পোপ, পুরোহিত বা অস্পৃশ্যতার কোন স্থান নেই। রাজাকার শব্দটা একটি বর্ণবাদী শব্দ, তাই আমি এ শব্দটাকে অবান্তর বলেছি।

আর আশা করছি বর্ণবাদের বিপক্ষে আমার অবস্থান পরবতর্ীতে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন হবে না। আমি জানি সবজায়গায় কিছু মতিন সাহেব আছেন তারা তাদের গো ধরেই থাকবেন। প্রশ্ন হতে পারে কেন? তাহলে শুনুন মতিন সাহেবের গল্প---- মতিন সাহেব যে অফিসে চাকরি করেন সেখানকার এক বোর্ড-মিটিংএ কোন সিদ্ধান্ত সর্ব-সম্মতিক্রমে সাপোর্ট পেলেও বেঁকে বসেন মতিন-সাহেব। বিজ্ঞ বোর্ডমেম্বারগণ নানাভাবে যুক্তি দিয়ে মতিন-সাহেবকে বুঝাতে চেষ্টা করেন কিন্তু মতিন সাহেবের ঐ এক গো। ফলে সিদ্ধান্ত ঝুলে থাকে বোর্ড মিটিং ব্যার্থ হয়।

বোর্ডের ব্যার্থতার খবর শুনে কোম্পানীর চেয়ারম্যান রেগে ডেকে পাঠান মতিন সাহেবকে। মতিন-সাহেব উপস্থিত হলে উত্তেজিত চেয়ারম্যান বলেন-----শুয়োরের বাচ্চা, জানোয়ার; তোর মত দুই-চারটা মতিন জানালার বাইওে ছুড়ে ফেললে আমার কোম্পানীর কিছু হইব না। কুত্তার বাচ্চা, যা তুই এখনই এগ্রিমেন্ট পেপারে সই করে নিয়ে আসবি। কোন টুশব্দ না করে মতিন-সাহেব সই করে পেপারটি বসকে দেন। এগ্রিমেন্ট পেয়ে চেয়ারম্যান শান্ত হন এবং মতিন-সাহেবকে জিজ্ঞাসা করেন, তার অন্য বোর্ড মেম্বারা এতকিছুতেও যা পারেননি তা তার এক কথাতেই হয়ে গেল কি করে? উত্তরে মতিন সাহেব বলেন----------হুজুর, আপনার মেহেরবানী, আপনি এমন সাবলীলভাবে, সুন্দর করে ব্যাপারটি উপস্থাপন করেছেন যা তারা পরে নাই।

যাহোক, আমি আশাকরছি আপনাদের(মতিন সাহেবদের নয়) বুঝাতে পারলাম। মতিন সাহেবদের সামলানো আমার পক্ষে সম্ভব নয়, আপাতত আমার কাজও নয়। প্রতিষ্ঠানের(পৃথিবী, রাষ্ট্র,বা পরিবার) চীফরাই এ কাজ করবেন। নিচে অবস্থান করে উপরে বসা মতিন সাহেবদের থু থু ছিটাতে আমি রাজি নই কেননা উপরের দিকে থুথু ছিটালে তা নাকি নিজের মুখেই পরে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.