আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাকরীর বয়স সীমা ৩০ না আরো বেশি

আমাদের দেশের সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার গ্রাজুয়েট বের হচ্ছে প্রতি বছর । তাছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর গ্রাজুয়েটরা তো রয়েছে । সে তুলনায় আমাদের মত ছোট অথনীতির দেশে, চাকুরীর ক্ষেত্র তৈরী হচ্ছে খুব কম, ফলে তৈরী হচ্ছে সীমাহীন প্রতিযোগীতা । এই সীমাহীন প্রতিযোগীতার চাকুরীর বাজারে মেধাবীরা হয়তো চাকুরীটা পেয়ে যায়, কিন্তু আমার মতই মাঝারী মানের যারা সমস্যাটা তাদেরই । চাকুরী নামক সোনার হরিনের পিছু ছুটছে তো ছুটছেই ।

আমাদের পলিসি মেকাররা কয়েক যুগ আগেই সরকারী চাকুরীর ক্ষেত্রে বয়স-সীমা ৩০ বছর করেছিলেন, জানি না তখনকার সমাজে এটা কতটা ফলপ্রসু, কিণ্তু বতমান সময়ে এটা একটা স্ট্যান্ডাড । অনেকে সেসন যট এর কথা বলে থাকেন কিন্তু ভাবেন না, যদি কেউ ২৭ বছরেও শিক্ষা জীবন শেষ করে তাহলে ৩ বছর থাকে, আর ওই ৩ বছরে চাকরী না হলে, এর জন্য আরও সময় দেয়ার ধৈয্য থাকে না । বাস্তব জীবন আসলে কঠিন । ততদিনে জীবনে অজাচিত অনেক ঝামেলা এসে পড়ে , পড়াশুনার প্রতি সময় দেয়াটা শিক্ষা জীবন শেষ করার ৩ বছর পর অনেকের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে । তবে ভাগ্য বিড়ম্বনায় অনেক মেধাবী যোগ্য চাকুরী পায় না , এর সংখ্যা কিন্তু বেশী না।

এর জন্য বয়স বাড়ানোর কোন যৌক্তিকতা নেই। আমি আমার হল জীবনে দেখেছি যে সিনিয়র ভাই বা আপু যত দেরী করে হল ছেড়েছেন তিনি সবচেয়ে ভালো চাকরী পেয়েছেন । এই দেরী সময়টা কিন্তু ২-৩ বছরের বেশি নয়্ । অনেকে আছে যারা খুব দ্রুত চাকরী পায়, তারা অবশ্যই মেধাবী, একই সাথে ভাগ্যবান । তাদের কথা আলাদা, আমি বলতে চাচ্ছি তাদের কথা যারা, পাচ্ছে না ।

তারা কি মেধাবী নয়, অবশ্যই মেধাবী । হয়তো চেষ্টা আর প্রাপ্তির সমন্বয় ঘটছে না, এছাড়া আর কিছু নয় । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।