আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজাকার শব্দটি এখন অবান্তর- 2য় এবং শেষ-অংশ



9 মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, অনেক রক্ত, প্রাণ, আর ত্যাগের বিনিময়ে। আমরা পেয়েছি পৃথিবীর মানচিত্রে (ছোট হলেও) একটি নির্দিষ্ট অংশ, মানচিত্র, পতাকা, একটি ভূখন্ড। একে রক্ষা করব যে কোন কিছুর মূল্যে, আমরা জানি এ জন্য চাই আরও বেশি ত্যাগ, আরও বেশি রক্ত; আমরা জানি স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা, অর্থবহ করা কঠিন। 71এর যুদ্ধ শেষ হয়েছে, আমরা আর একটা যুদ্ধ করছি; ভয়ংকর যুদ্ধ, 35 বছর ধরে। এ যুদ্ধ শুধু ভৌগলিক অধিকার নয়, এ যুদ্ধ 71-কে অর্থবহ করতে, এ যুদ্ধ মানুষকে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিতে, ব্যাক্তিগত, সামাজিক, রাজনৈতিক, ধমর্ীয়......... স্বাধীনতা।

এ কঠিনতম লড়াইয়ে আমরা এখনপর্যন্ত সফল হতে পারি নি। 70% লোক দরিদ্র রয়ে গেছি, অর্ধেকের বেশি লোক বাস করছি দারিদ্র-সীমার নিচে। তারপরও আমরা স্বপ্ন দেখি, যে স্বপ্নের উপর ভিত্তি করে আমরা 14 কোটি মানুষ বেঁচে আছি, বেঁচে আছে বাংলাদেশ। ইতিহাস বলে পৃথিবীর অধিকাংশ যুদ্ধে 3টি পক্ষ ছিল, যুদ্ধের পক্ষ ও বিপক্ষের বাহিরে 3য় পক্ষ। এই 3য় পক্ষ অধিকাংশ সময় হয়ে থাকে সুবিধাবাদী এবং তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী পকেই এরা সহায়তা করে থাকে।

71এ এই 3য় পক্ষ আসে রাজাকার বা আলবদর নাম নিয়ে, পলাশীতে এসেছিল মীরজাফর বা জগৎ-শেঠ নামে। আর আমাদের বিংশ ও একবিংশ শতাব্দীর যুদ্ধে কখনও বাকশাল, কখনও সৈরাচার অথবা কখনও বাংলা-ভাই নাম নিয়ে। চিহ্নিত রাজাকার 3য় পক্ষের ভূমিকায় আবার অবতীর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ(ইতিহাস সাক্ষী), তাই রাজাকার শব্দটি এখন অবান্তর। আমাদের মনে রাখতে হবে এবং ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হবে যে এদের নামের পরিবর্তন হলেও এদের সকলের উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। রাজাকার শব্দটি এখন ব্যবহিত হয় নোংরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করেেত এবং মানুষের আবেগকে উসকে দিয়ে রাজনৈতিক সামপ্রদায়িকতা সৃষ্টিতে।

আমরাও অনেকসময় এশব্দটি ব্যবহার করি না বুঝে, আর যারা বুঝে করি সে সকল গ্যান-পাপী সম্পর্কে আমি কিছু বলতে চাই না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.