আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিলেটে বেসামাল ছাত্রলীগ

মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর সিলেটে বেপরোয়া হয়ে ওঠে ছাত্রলীগ। নগরজুড়ে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, জ্বালাও-পোড়াও,

টেন্ডারবাজি আর জমি দখলে ঘুরে ফিরে চলে আসে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর নাম। সরকারের শেষ সময়েও সিলেটে ছাত্রলীগের এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। ছাত্রলীগের অপকর্ম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় এর খেসারত দিতে হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতাদের। বিভিন্ন ঘটনার পর প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হচ্ছে তাদের। সর্বশেষ গত রবিবার নগরীর কোর্ট পয়েন্টে সিপিবি-বাসদের সমাবেশে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায়ও আওয়ামী লীগ নেতারা ফের ক্ষমা চেয়েছেন। ওই ঘটনার পর কেন্দ্র থেকে জেলা ছাত্রলীগের কমিটিও বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

এ ছাড়া ৪ সেপ্টেম্বর নগরীর নেহার মার্কেটে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি ও নৈশপ্রহরী খুনের ঘটনার নেপথ্যেও কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার নাম আলোচনায় চলে আসে। গত সপ্তাহে সিলেটের এমসি কলেজ ও মদন মোহন কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মারধর করে ছাত্রদলকে তাড়িয়ে দেয় ছাত্রলীগ। এর আগে একইভাবে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও ছাত্রদলকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। গত মে মাসে এমসি কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের বন্দুকযুদ্ধের ছবি ধারণ করায় একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। ছাত্রলীগের এই অপকর্মের জন্য শেষ পর্যন্ত সাংবাদিকদের কাছে আওয়ামী লীগ নেতাদের ক্ষমা চাইতে হয়। একইভাবে চলতি বছরের মার্চে জামায়াতের চার নেতার বাড়িতে অগি্নসংযোগের ঘটনায় আবারও দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দেন আওয়ামী লীগ নেতারা। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পক্ষ নিজেরা দ্বন্দ্ব সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। ২০১০ সালের ১২ জুলাই নিজ দলের কর্মীদের হাতে খুন হন এমসি কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী উদয়ন সিংহ পলাশ। এরপর তারা শিবির তাড়ানোর নামে আগুন দেয় এমসি কলেজ ও সরকারি কলেজ ছাত্রাবাসে। এমসি কলেজ ছাত্রাবাস পোড়ানোর ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন। ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে চলতি বছরের মাঝামাঝি পংকজ পুরকায়স্থকে অব্যাহতি দিয়ে হিরণ মাহমুদ নিপুকে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারপরও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের লাগাম টানা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত রবিবার জেলা ছাত্রলীগের কমিটিই ভেঙে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, সমাবেশে হামলার ঘটনায় সিপিবি-বাসদ নেতাদের কাছে আমরা দুঃখ প্রকাশ করেছি। প্রধানমন্ত্রীর সিলেট সফর শেষে ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেব।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.