আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

...মেজাজ খুব খারাপ...

পুষ্প, বৃক্ষ এবং বিহঙ্গ পুরাণ

মাথা মোটামুটি গরম। কয়দিন ধরে মন ভালো নাই। আমার মারাত্মক পছন্দের একটা জিনিস হচ্ছে ডিমের পুডিন। খুব খেতে ইচ্ছে করছে- কিন্তু কোন উপায় নেই। সেমাই আর জর্দা খেতেও ইচ্ছে করছে খুব- কয়শ' বছর আগে যে শেষ খেয়েছি মনেও করতে পারছি না।

এই সব হাবিজাবি কারনে মন ভালো নাই। তার মধ্যে গতকাল ঘটলো এক আজব ঘটনা! মেলবোর্ণে এসে দেখি সবাই রাতের বেলা রাস্তায় গাড়ি পার্ক করে রাখে। খুব মজা পেয়েছিলাম দেখে। চুরির ভয় নেই, ইন্সুরেন্স কোম্পানী আছে। চুরি হয় বলেও শুনি নি কখনো।

পরশু রাতে কাজ থেকে ফিরে বাসার সামনে গাড়ি পার্ক করে রেখেছি। গতকাল, ঘুম দিয়ে সকালে উঠে ভাবলাম, আজ তো ক্লাশ বা জব কিছুই নেই- দেখি পুডিন বানানোর একটা ট্রাই মারা যায় কি না। কাছের সুপারস্টোর থেকে ডিম দুধ কিনে আনবো বলে ঠিক করলাম। বাসা থেকে বের হতেই চক্ষু চড়ক গাছ! দেখি, আমার গাড়ির পেছনের বাম্পার প্যানেল খুলে নেমে আছে, ভাঙা। বাম দিকের একপাশ দাবানো, ভেতরে ঢুকে আছে।

কেউ একজন খুব বাজে ভাবে এসে ধাককা মেরে চলে গেছে। সবচে' আজব ব্যাপার হলো- কেউ কোন নোট রেখে যায় নি। ইন্সুরেন্স থাকে বলে লোকে অ্যাক্সিডেন্ট করেও পালিয়ে যায় না। এসে দেখা করে যায়। কিন্তু এই ব্যাটা সেরকম কিছুই করে নি।

মনে হয় ড্রাংক ছিলো- অথবা কে জানে, হয়ত ইন্সুরেন্সই ছিল না! মাথা ঠান্ডা করে প্রতিবেশিদের জিজ্ঞেস করলাম। না, কেউই কিছু দেখে নি। পুলিশের কাছে গেলাম। ওদের কাছে কোন অ্যাকসিডেন্ট রিপোর্টেড হয় নি। আমিই প্রথম।

সব লিখে টিখে ওরা আবার সুন্দর করে জানিয়ে দিলো- ওদের আসলে তেমন কিছু করার নেই এ ব্যাপারে। এটা হিট অ্যান্ড রান কেস। ধরা প্রায় অসম্ভব। মেজাজ খারাপ করে চলে এলাম। কোন কারন নেই, তবু ঐ পুলিশদের উপরই খুব রাগ হলো! ঘটনা এখনো বাকি।

ওয়ার্কশপে গিয়ে শুনলাম আরেকটা দু:সংবাদ। এই ভাঙাচোরা ঠিক করাতে লাগবে মিনিমাম আড়াই হাজার ডলার! একদম টাসকি! বলে কি! তিনটা ওয়ার্কশপে গেলাম, সবারই এক কাহিনি। আড়াই হাজার ডলার দিয়ে একটা ভালো মানের সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়িই কিনে ফেলা যায়! এই গাড়ি এত টাকা দিয়ে ঠিক করাবো কেমন করে? অথচ গাড়ি ছাড়া থাকাও মুশকিল- একদম বন্দি হয়ে যাবো! ক্লাশ , জব- কিচ্ছু করা যাবে না! সারাদিন ধরে তাই মন মেজাজ দুটাই খারাপ। রাগ হচ্ছে খুব, কেন জানি। সব কিছুর ওপরে।

একেকবার ইচ্ছে করছে- দেশেই চলে যাবো কি না! আড়াই হাজার দিয়ে গাড়ি ঠিক করাতে হবে, কিন্তু পনেরশ দিয়ে বাংলাদেশের টিকেটই কিনতে পাওয়া যায়! কোনটা কিনবো তাই ভাবছি এখন, গাড়ি নাকি টিকেট? (খাইয়ালামু)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।