আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধার্মিক! এরাই ধার্মিক!!!



অন্যের ধর্মের প্রতি যাদের শ্রদ্ধাবোধ নেই- নিজেদের কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধর্মের প্রতি তাদের কতটুকু ভক্তি থাকবে? অথচ এরাই হচ্ছে আজকের মুক্তমনা টাইপ জাতি!!! মাসুদা নামক একজন ব্লগার এই সাইটে ইসলাম বিরোধী কয়েকটি পোষ্ট করে গায়েব হয়ে গেছেন। তার পোষ্টগুলোতে তিনি ইসলামকে কত ভাবে হেনেস্থা করা যায় তার জন্য হরেক রকম কৌশলের আশ্রয় নিয়েছিলেন। তিনি টিকে থাকতে পারেননি। সত্য কখনো গোপন রাখা যায় না। তার যুক্তিতর্কগুলো যে বানোয়াট ছিল তা কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রমানিত হয়েছিল।

সেসময় বেশ কয়েকজন ব্লগার তাকে সার্পোট করেছেন। বাক স্বাধিনতার দোহাই দিয়ে তারা তাকে উৎসাহ জুগিয়েছিলেন। সেসব ব্লগারগণ অবশ্যই মুসলিম নন। নন-মুসলিম বলেই তারা তাকে সমর্থন করে গেছেন। কারণ এদেশ মুসলিম প্রধান থাকুক 15% নন মুসলিম তা চায় না।

আমাদের দেশে তারা নিজেদেরকে সংখ্যালঘু বলে দাবী করে এবং প্রত্যহ হরেক রকমের বানোয়াট বৈষম্য চিত্র তুলে ধরে তারা আন্দোলনে ব্রতী হয়। কারণ, নিজেদের হীন দাবী প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তাদের একটা না একটা কারণ চা-ই চাই। 2002 সালের শেষের দিকে তারা একজোট হয়ে জাতীয় সংসদের সামনে মিছিল মিটিং করে এবং এই মর্মে স্বারকলিপি পাঠানো হয়, যেন বাংলাদেশের সংবিধান থেকে "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম" বাক্যটি মুছে ফেলা হয়! এদেশে তারা কতটা স্বাধীন তা তাদের এই ধরনের দুঃসাহসিক কার্যক্রম থেকে সুস্পষ্ট প্রমানিত। বাংলাদেশে তথাকথিত ধর্মালম্বীরা কতটা সুখে আছে তা প্রমাণ করার জন্য কাছাকাছি রাষ্ট্র ভারতের প্রসঙ্গ তুলে আনা উচিৎ। কারণ এটা লোকমুখে শুনা কোনো প্রবাদ নয়।

এটা চিরন্তন সত্য যে সেখানকার মুসলিমরা শান্তিতে নেই। সেখানকার মুসলিমরা নানা দিক থেকে সুবিধা বঞ্চিত ও লাঞ্চিত। তারা আন্দোলন করা দূরের কথা- বর্তমানে তারা নিজেদের জীবন নিয়ে আতঙ্কিত। বিভিন্ন দিক থেকে তারা কোনঠাসা। আইনরী বাহীনি থেকেও বেশিমাত্রায় ভয়ঙ্কর সেদেশের হিন্দু জনগণ।

তারা মসজিদ ভেঙ্গেছে, মুসলিমদের জ্যান্ত পুড়িয়েছে; বর্তমানে তাদেরকে অনাহারে মেরে ফেলার চক্রান্ত করছে। সেখানকার মুসলিমদের সব কিছু বর্জন করা হচ্ছে, তাদের পণ্য কেনা হচ্ছেনা, তাদের সার্ভিস গ্রহণ করা হচ্ছে না, তাদের চাকরীচু্যৎ করা হচ্ছে, জীবন যাপনে বিভিন্ন বাঁধার সৃষ্টি করা হচ্ছে। হিন্দুরা কতটা সংকীর্ণমনা তা উপরের ছবি থেকে স্পষ্ট প্রমাণিত। আগে তারা মুর্তি পূজা নিয়ে মত্ত থাকতো, এখন থাকে অন্য'র ধর্মকে কিভাবে লাঞ্চিত করা যায় তা নিয়ে! অথচ তারাই আজকের তথাকথিত মুক্তচিন্তার ধারক বাহক। বর্তমানে তারা গীতা, রামায়ন পড়েন না।

তারা পড়েন কোর-আন। জ্ঞানার্জনের জন্য? বলে কি!!! তারা তো মহাজ্ঞানী! কোর-আন শরীফ তারা পড়েন এই কারনে যে, সেখান থেকে ভুলক্রুটি বের করে তারা ইতিহাস সৃষ্টি করবেন বলে। তারা কোর-আনের বিভিন্ন বানীকে টেনে এনে- তাতে বিধমর্ীদের বিভিন্ন রেফারেন্স ব্যাবহার করে তা কতটা মিথ্যায় ভরপুর, বানোয়াট সেটা প্রমাণের জন্য প্রতিনিয়ত ব্যস্ত। অথচ তাদের নিজস্ব কোনো মতামত নেই। সংখ্যালঘু শব্দটা কেবল বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের সবখানেই প্রচলিত।

তবে, অন্যান্য দেশে এর অর্থ যা-ই হোকনা কেন, এদেশে সংখ্যালঘু মানে নন-মুসলিমদের বুঝানো হয়। নন-মুসলিমরা নিজেদেরকে সংখ্যালঘু বলে দাবী করতে স্বচ্ছন্দ্যবোধ করে। সংখ্যালঘু শব্দের অর্থ কি এটাই? কেবল নন-মুসলিমরাই সংখ্যালঘু? এদেশে কি সংখ্যালঘু'র একটাই শ্রেণী?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।