আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মৃতু্যর হাত থেকে রক্ষা:

বাংলাদেশ নিয়ে ভাবনা, প্রত্যাশা ও সম্ভাবনার সংগ্রহমালা

রাখে আল্ল্লাহ মারে কে? সমপ্রতিকালে বিদু্যতের জন্য আন্দোলনে বেশ ক'জন মারা গেলেন পুলিশের গুলিতে। কিন্তু কে জানত স্বয়ং জ্বালানি উপদেস্টা নিজেই বিদু্যতের অভাবে মৃতু্যর দোরগোড়ায় চলে যাবেন। বিদু্যত চলে যাওয়াতে তিনি নিজেই আটকা পড়ে গিয়েছিলেন অন্ধকুপের ভেতর। কে জানে ঘটনাটা হয়তো নিতান্তই কাকতালীয় হয়তো নিদর্শনমূলক? 26 মে'র সমকাল পএিকায় বলা হয়, "বৃহস্পতিবার তিনি বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি পরিদর্শনে যান। সন্ধ্যা 6টার দিকে তিনি খনির 1 হাজার 500 ফুট নিচে করা সুড়ঙ্গে (শ্যাফট) যান।

খনির ভেতরে বিদু্যতের ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু গতকাল বগুড়া-নাটোর গ্রিড লাইন বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে বিদু্যৎ বিপর্যয় নেমে আসে উত্তরাঞ্চলে। আকস্মিকভাবে বড়পুকুরিয়া খনির নিচে বিদু্যৎ চলে যায়। খনির ভেতরে কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন প্রবেশ করানো হয়। নতুবা সেখানে শ্রমিকরা বেশিক্ষণ কাজ করতে পারে না।

কিন্তু এ অক্সিজেন প্রবেশ করানোর জন্য প্রয়োজন হয় বিদু্যৎ। বিদু্যৎ না থাকার কারণে অক্সিজেনও বন্ধ হয়ে যায়। খনির ভেতরে প্রবেশের জন্য ম্যান রাইডার বা লিফট থাকে। সেই লিফট দিয়ে প্রবেশ ও খনি থেকে ওপরে ওঠানামা করা হয়। বিদু্যতের অভাবে সেটিও বন্ধ হয়ে যায়।

সূত্র জানায়, বিদু্যৎ না থাকার সময় জেনারেটর চালানো হয়; কিন্তু গতকাল জেনারেটর চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় তেলের অভাব দেখা দেয়। যে কারণে জেনারেটর চালাতে পৌনে এক ঘণ্টা সময় লেগে যায়। পরে জেনারেটর চালানোর পর অক্সিজেন প্রবেশ করানো হয়। একই সঙ্গে ম্যান রাইডার চালু করা হয়। পরে উপদেস্টা রাত সোয়া 8টার সময় খনি থেকে ওপরে উঠে আসেন।

তার সঙ্গে ছিলেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির এমডিসহ প্রায় 20 জন কর্মকর্তা। বিদু্যৎ চলে যাওয়ার পর সেখানে অক্সিজেন কস্টে ভোগেন অনেকে; কিন্তু সবাই সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে"। অক্সিজেনের অভাবে জীবণ-মৃতু্যর খুব কাছ থেকে জ্বালানি উপদেস্টা কি ভাবছিলেন সোয়া দু'ঘন্টা ধরে?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.