আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সচিবদের সর্তক থাকার নির্দেশ

জাতীয় নির্বাচন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সরকারের বিভিন্ন ইস্যুতে করণীয় সম্পর্কে সচিবদের বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। নির্দেশনায় যে কোনো পরিস্থিতিতে প্রশাসন যাতে স্থিতিশীল থাকে, সে ব্যাপারে সচিবদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিতেও বলা হয়েছে প্রশাসনকে। সচিবদের উদ্দেশে ওই নির্দেশনায় নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ওই সময় তাদের কর্মকাণ্ডে যথাযথ সমন্বয় ও দিকনির্দেশনা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এমনকি রাষ্ট্রের প্রধান তিনটি অঙ্গ আইন, বিচার ও শাসন বিভাগের সমন্বয় নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়ে বলা হয়েছে, এক অঙ্গ যাতে অন্য অঙ্গের কার্যক্রম ব্যাহত কিংবা অন্যের কার্যপরিধি সংকুচিত না করে, তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করলে কিংবা যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান না হলে যাতে এমন কোনো পরিস্থিতি না হয় যা সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গই যাতে সমন্বিতভাবে কাজ করে সে ব্যাপারেই সচেতন করা হয়েছে। এমনকি কোনোভাবেই যাতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত না হয় সে লক্ষ্যে সচিবদের বলা হয়েছে, সুশাসনের জন্য গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা স্বাক্ষরিত এই নির্দেশনাপত্রটি ১২ সেপ্টেম্বর অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সব সচিবের কাছে পাঠানো হয়।

সংশ্লিষ্ট নির্দেশনাগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলে সেখানে উল্লেখ করা হয়। পত্রের শুরুতে জানানো হয়, ২ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব নির্দেশনা দেন। তবে নির্দেশনাপত্রে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া সচিবদের কিছু সুপারিশ এবং মতামতও তুলে ধরা হয়েছে। নির্দেশনায় সিভিল প্রশাসনে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাতে দক্ষতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে পারেন সে ব্যাপারে আগাম প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে। নির্বাচনের সময় মন্ত্রীরা দায়িত্বে থাকলেও রুটিন কাজের বাইরে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।

এ বিষয়টি মাথায় রেখে মন্ত্রীদের অনুপস্থিতিতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকাণ্ড যাতে কোনোভাবেই বিঘি্নত এবং বিলম্বিত না হতে পারে তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবদের আলোচনার মাধ্যমে একটি কর্মপদ্ধতি স্থির করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রশাসনে অস্থিরতা তৈরি করা হতে পারে বলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে তথ্য রয়েছে। যুদ্ধাপরাধের বিচারসহ জঙ্গিবাদ ইস্যুতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কাও রয়েছে। সে কারণে বর্তমান সরকারের মেয়াদের শেষ দিনগুলোয় প্রশাসনিক স্থিতিশীলতার ওপর দেওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ যাতে আবার মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে এবং দেশে আইনের শাসন সমুন্নত থাকে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

নির্দেশনাপত্রে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দ্রুত বাস্তবায়নসহ প্রশাসনের কিছু সুযোগ-সুবিধার কথাও সচিবদের জবানিতে উল্লেখ করা হয়েছে। ঢাকা শহরে সরকার মালিকানাধীন অব্যবহৃত জমিতে ভবন নির্মাণ করে কর্মচারীদের জন্য আবাসন তৈরি, সচিবদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা সামাজিক অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা, দক্ষ সিভিল সার্ভিসের জন্য প্রণোদনামূলক বেতন কাঠামো, সচিব হিসেবে যাদের বয়স বয়স দুই থেকে তিন বছর হয়েছে তাদের সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে অধিকসংখ্যক মহিলা কর্মকর্তার পদায়নের কথা বলা হয়েছে।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।