আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোমরে ব্যথা হলেই কিডনিতে পাথর নয়

কোমরের পেছন দিকে ব্যথা হলে বেশির ভাগ মানুষই প্রথম ভাবেন, কিডনিতে পাথর হলো না তো? কেবল কোমরে ব্যথাই এই রোগের লক্ষণ নয়। স্বাভাবিক প্রস্রাবেও এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা থেকে পাথর হতে পারে, যেমন: ক্যালসিয়াম, অক্সালেট, ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টাল ইত্যাদি। আমাদের শরীর বিপাক ক্রিয়া ও বর্জন পদ্ধতির মাধ্যমে এসব উপাদান প্রস্রাবের সঙ্গে বের করে দেয়। কোনো কারণে এসব উপাদান বেশি তৈরি হতে থাকলে বা প্রস্রাবে এর পরিমাণ বেড়ে গেলে এগুলো ঘনীভূত হয়ে আকার ধারণ করে পাথরে পরিণত হয়। ৬৫ শতাংশ কিডনির পাথর ক্যালসিয়াম অক্সালেট, ১৫ শতাংশ ক্যালসিয়াম ফসফেট, ৩ থেকে ৫ শতাংশ ইউরিক অ্যাসিড, ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পাথর সংক্রমণের কারণে হয়।

কিডনি থেকে মূত্রথলি বা মূত্রনালি অবধি যেকোনো জায়গায় পাথর হতে পারে। তবে কিছু জায়গায় পাথর হওয়ার ও আটকে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। যেমন: কিডনি ও মূত্রনালির সংযোগস্থল এবং মূত্রনালি ও মূত্রাশয়ের সংযোগস্থল। কিডনিতে পাথর থাকলেও অনেক সময় রোগীর কোনো উপসর্গ থাকে না। অকস্মাৎ আটকে গেলে বা কোনো জটিলতা দেখা দিলে বা রুটিন পরীক্ষায় এটি ধরা পড়ে।

সাধারণত বক্ষপিঞ্জরের ঠিক নিচে, পেটের পেছন দিকে ও পাশে ব্যথা হতে পারে। ব্যথা এখান থেকে তলপেটে, কুঁচকির কাছে ছড়িয়ে যায়। প্রস্রাবে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া হতে পারে। প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাতও এর লক্ষণ। জ্বর, বমি বমি ভাব, কাঁপুনি ইত্যাদি সাধারণত সংক্রমণজনিত জটিলতা হলে হয়।


ঝুঁকি: পারিবারিক ইতিহাস বা আগে পাথর হওয়ার ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষদেরই বেশি হয়ে থাকে। পানিশূন্যতা, গরম, অতিরিক্ত ঘাম ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। অতিরিক্ত আমিষ, সোডিয়াম ও চিনিযুক্ত খাবার, ওজনাধিক্য, রক্তে ক্যালসিয়াম, ইউরিক অ্যাসিডের আধিক্য এর কারণ হতে পারে। কিছু বিশেষ ওষুধ কিডনি পাথরের ঝুঁকি বাড়ায়।


কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি এড়াতে: প্রচুর পানি পান করুন। প্রস্রাবের রং গাঢ় ও ঘন হওয়ার অর্থ আপনার পানি পান কম হচ্ছে। খাদ্যের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করুন। অকারণে ক্যালসিয়াম বড়ি খাবেন না। উচ্চ অক্সালেটযুক্ত খাবার হলো বিট, পুঁইশাক, আঙুর, মিষ্টি আলু, চা, চকলেট, সয়া, টমেটো জুস ইত্যাদি।

যাঁদের একবার অক্সালেট পাথর হয়েছে, তাঁরা এসব কম খাবেন। কিডনিতে পাথর হলে সেটি যন্ত্রের সাহায্যে গুঁড়ো করা বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বের করা হয়। খুব ছোট পাথর অনেক সময় এমনিতে বেরিয়ে যায়। l    

মেডিসিন বিভাগ, ইউনাইটেড হাসপাতাল।


সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।