আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফার্গুসনই ময়েসের প্রেরণা

ডেভিড ময়েসের মতোই দশা হয়েছিল স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের। আজ থেকে ২৪ বছর আগে ১৯৮৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তারিখে। তখন ফার্গি সদ্যই পা রেখেছেন ইউনাইটেড শিবিরে। সব দিক সামলে উঠতেও পারেননি। ম্যানচেস্টার ডার্বিতে তাঁর দল ইউনাইটেড সিটির কাছে হেরে গেল ৫-১ গোলে।

ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। পরবর্তী সময় ওই অভিজ্ঞতা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, ‘ওই হারের পর প্রবল অপরাধবোধ আমাকে তাড়া করে বেরিয়েছে অনেক বছর। ’ শুরুর প্রবল ধাক্কা সামলিয়ে স্যার ফার্গুসন কিন্তু ঠিকই হয়ে উঠেছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তথা ইংলিশ ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি।
২৪ বছর পর ওই সেপ্টেম্বর মাসেই ইতিহাদ স্টেডিয়ামে সিটির কাছে দল নিয়ে বিধ্বস্ত হলেন সদ্যই ফার্গুসনের কাছ থেকে দায়িত্ব নেওয়া ডেভিড ময়েস। শোচনীয় ওই হারের ব্যবধান ৪-১ গোলের।

ব্যাপারটা ময়েসের জন্য এতটাই আঘাত হয়ে এসেছে যে তিনি মন্তব্য করেছেন, এমন হারের অভিজ্ঞতা নাকি তাঁর জীবনে একেবারেই নতুন।
বাজে এই হারের ব্যাখ্যা খুঁজে ফিরছেন ময়েস, ‘এই হারের ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই। আমি ব্যাখ্যা খুঁজছি। খেলোয়াড়দেরই দিতে হবে এই ব্যাখ্যা। ’ ময়েস ওই দিনের হারের দায় খেলোয়াড়দের ওপর চাপাতে চাচ্ছেন কি না, সেটা কিন্তু ঠিক পরিষ্কার নয়।

রোববার ম্যানচেস্টার ডার্বি খুব সম্ভবত দেখেননি ফার্গুসনব্যক্তিগত কাজে নাকি তিনি ওই দিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। এমন হারের পর ব্রিটিশ মিডিয়া তো বটেই, ইউনাইটেডের সমর্থকেরাও অপেক্ষায় আছেন তাঁর মুখ থেকে বের হওয়া কোনো মন্তব্যের। টুইটার, ফেসবুকে তো সমর্থকেরা ময়েসের বরখাস্ত পর্যন্ত দাবি করে ফেলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বসে ফার্গুসন হয়তো ঠিকই শুনেছেন এই বিপর্যয়ের কথা।

এই মুহূর্তে বিধ্বস্ত ময়েসের একমাত্র অনুপ্রেরণা তো হতে পারেন ফার্গিই।

একের পর এক বিপর্যয় সামলে ফার্গুসন ঠিকই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে নিয়ে গেছেন সাফল্যের চূড়ায়। কীভাবে তা পেরেছিলেন তিনি? সম্প্রতি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি জার্নালে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ফার্গুসন বলেছেন, তাঁর কাছে নাকি তাত্ক্ষণিক সাফল্য বা ব্যর্থতার কোনোই মূল্য নেই। স্পষ্ট লক্ষ্য আর কঠোর অনুশাসনই তাঁর কাছে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।

তিনি ওই সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন, হার তিনি একেবারেই পছন্দ করেন না।

খেলোয়াড়দের জন্য লক্ষ্য বেঁধে দিয়ে তিনি কাজ করতেন। নতুন কিছু নিয়ম-কানুনের নিগড়েও তিনি বন্দী করেছিলেন তাঁর বাহিনীর সদস্যদের। খেলোয়াড়দের কাছে তাঁর চাওয়া ছিল উঁচু মানসিকতা। খেলোয়াড়েরা তাঁর চাওয়াকে সম্মানিত করেছিল বলেই তিনি আজ এই স্তরে।

রোববারের হারের পর ময়েস কোনো খেলোয়াড়কেই ভর্ত্সনা করেননি।

শুধু বলে দিয়েছেন, এই হারের জবাব দেওয়ার মতো মানসিকতা তাঁর চাই বাকি মৌসুমে। অতএব পূর্বসূরিকে অক্ষরে-অক্ষরেই অনুসরণ করছেন তিনি। ২৪ বছর আগে ওই হারের পর রব উঠেছিল ‘নো ফার্গি মাস্ট স্টে। ’ ময়েস এমন কিছু শুনবেন কি না, তার জন্য হয়তো অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন। ওয়েবসাইট।

 

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.