আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মে দিবস চান, নাকি স্রমিকের মৃত্যু চান ??? আপনার জন্য কি মে দিবস ??????????

মহান মে দিবস বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য মঙ্গলজনক হলেও আমাদের জন্য মঙ্গল জনক নয়, তাই বলা যায় আমাদের দেশে এই দিনটার প্রয়োজনও নেই। কারন বলছি- আজকে মে দিবস হিসিবে, সকল স্কুল,কলেজ,অফিস সহ সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এবার বলুন, একজন দিন মুজুরের পেট কি বন্ধ ছিল ???? এই দিনটা শুধু তাদের জন্যই মঙ্গল জনক যারা সরকারী আমলা। যারা ঐ অবস্থানে বসে বসে শুধু অন্যদের লুটে খাওয়ার পরিকল্পনা করে। এমনিতেই তারা ইচ্ছে হলে কাজে যান, ইচ্ছে না হলে যান না।

তারপর আবার ছুটিতো আছেই। যারা বসে থাকলেও মাসের শেষে বেতন ঠিক পান। একজন রিক্সাওয়ালার কথাই ধরুন, আজ তার উপার্জন অন্যদিনের চেয়ে অনেক কম হয়েছে। এই অল্প উপার্জন দিয়েই তাকে যেভাবেই হোক খেয়ে না খেয়ে ছেলে-মেয়ে নিয়ে দিন পার করতে হবে। কারন জীবন যে থেমে থাকার নয়।

পুড়ে মরে যাওয়া গার্মেন্টস কর্মীদের কথাই বলি এবার, একজন গার্মেন্টস কর্মীকে কাজ করতে হয় দৈনিক ১২-১৫ ঘণ্টা। বিশেষ করে মার্চ মাস থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত আমাদের দেশের গার্মেন্টস গুলোতে সবচেয়ে বেশি কাজ হয়। এই সময় গুলোতে তাদের কাজ করতে হয় দৈনিক ১৪-১৮ ঘণ্টা। এই সময়ে তাদের কাজ করতে বাধ্য করা হয়। আর আজকে যখন আমরা মে দিবসের ছুটিতে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ছুটি ভোগ করছি সেখানে তারা করছে দুশ্চিন্তা।

কারন হল, যেহেতু এই দিনটিতে গার্মেন্টস মালিকেরা ইচ্ছে করলেই কর্মীদের দিয়ে কাজ করাতে পারছেনা আইনের ভয়ে, তাই মালিকেরা কর্মীদের দিয়ে পরের দিন আজকের কাজটা করিয়ে নেন। সেই দিন তাদের কাজ করতে হয় ১৮ ঘণ্টারও বেশি। আজকের দিনে একজন রিক্সাওয়ালা ৫টাকা ভাড়া বেশি চাইলে আমরা কষে তার গালে একটা থাপ্পড় মারতেও দ্বিধাবোধ করি না উপরে বসে বসে যারা আমাদের পকেট কেটে টাকা নিচ্ছে তাদের কিছু করা তো দূরের কথা বলারও সাহস পাই না। কারন আমি নিজেও যে ভাল না। জাতি হিসিবে মনে হয় পৃথিবীতে আমরাই শ্রেষ্ঠ, কিন্তু মানুষ হিসিবে আমরাই খারাপ, কারন দুর্নীতি আর অন্যের লেজুর বৃত্তি আমাদের রক্তের প্রতিটি কনায় কনায় প্রবাহমান।

অতচ চাইলেই কিন্তু আমরা ভাল হয়ে যেতে পারি নি, কিন্তু হই না। আমরা প্রত্যেকে যদি নিজ নিজ অবস্থানে থেকে ভাল হই তবে সবই ভাল হয়ে যাবে। এই সব কিছু ছেড়ে নিজেকে যদি একজন আদর্শ মানুষ হিসিবে এই সমাজে গড়ে তুলতে পারি তবেই এই সমাজটা বদলে যাবে। তাই আসুন, নিজের বুকের উপর হাত রেখে শপথ করি আর কখনো অন্যের ক্ষতি করব না, নিজের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করব; এভাবে বদলে গেলে কিন্তু আবার হবে না, যেমনঃ আমার এক বন্ধু প্রতি মাসের শুরুতে চিন্তা করে আমি আর মুভি দেখব না, তারপর ভাবে আচ্ছা কম্পিউটারে যে গুলো আছে সেগুলো দেখে শেষ করে নেই, তারপর সে গুলো দেখতে দেখতে ওর ৭ দিন পার হয়ে যায়, তারপর ১৫-২০ দিন আরে দেখে না, মাসের শেষ দিকে আবার কালেকশন শুরু করে, তারপর আবার না দেখার শপথ করে। সামান্য কয়েকজন দিন মুজুরের কথা বললাম, অন্যান্য দিন মুজুরের কথা না হয় নাই বললাম।

এবার আপনি বলুন এই দিনটি আমাদের দেশের দরকার আছে কিনা?? আমার জানামতে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এই দিনটার উপলক্ষ হচ্ছে শ্রমিকদের জন্য ভাবা তাদের ন্যায্য বেতন, ছুটি ইত্যাদি পর্যালোচনা করা আর আমাদের দেশে এই দিনে এমন কিছু হয় আজও চোখে পড়ে নি শুধু মিছিল মিটিং করা ছাড়া। তাই আসুন, সবাই মিলে মিশে এই দেশকে গড়তে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করি, যদি ইচ্চে হয় এবং ভাল লাগে যোগ দিতে পারেন আমাদের একটি গ্রুপে >> . . . ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।