আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এসআরও নিয়ে জটিলতায় প্রকৌশল শিল্প

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এসআরও (প্রজ্ঞাপন) জটিলতায় দেশের ৪০ হাজার লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং বা হালকা প্রকৌশল শিল্প। ফলে শিল্পের দেশীয় মূলধনী যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের উৎপাদন বৈষম্যমূলক অবস্থায় ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। বিদ্যমান জটিলতা নিরসনে এনবিআরকে উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ করেছেন তারা। এ প্রসঙ্গে এনবিআরকে চলতি মাসে দেওয়া এক চিঠিতে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতি (বাইশিমাস) বলেছে, দীর্ঘদিন ধরে মূলধনী যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ আমদানি এবং উৎপাদন পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ছিল না। কিন্তু কোনো কোনো পণ্য উৎপাদন পর্যায়ে মূলধনী যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ হিসেবে বিবেচিত হবে তাও বলা ছিল না। ফলে আমদানি পর্যায়ে মূসক অব্যাহতির সুবিধা সহজে না পাওয়া গেলেও উৎপাদন পর্যায়ে ছিল ব্যাপক জটিলতা। পরে এ জটিলতা নিরসনে ২০১০ সালে এনবিআর বিধি-২০ বিলুপ্ত করায় আমদানি ও উৎপাদকরা সমান সুযোগ পান। কিন্তু চলতি বছরের জুনে নতুন এসআরও (১৬৬) জারি করে উৎপাদন পর্যায়ে বিশেষ সুবিধা প্রদানের নামে নতুন করে বিধি-২০ আরোপ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে হালকা প্রকৌশল শিল্প উৎপাদনকারীদের ওপর মূসক আরোপ করায় ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বাইশিমাসের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, বিষয়টি সম্ভবত আমলাদের অসাবধানতা বা ভুলবশত হতে পারে। কিন্তু ওই এসআরওর ফলে ৪০ হাজার ব্যবসায়ী এখন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বাইশিমাস জানিয়েছে, অভ্যন্তরীণ শিল্প-কারখানা ও কৃষি খাতের যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী এ শিল্পে এখন কেবলই দুরবস্থা। হালকা প্রকৌশল শিল্প উন্নয়ন নীতি, শিল্পবান্ধব কর ও শুল্ক কাঠামো প্রণয়ন, উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান উন্নয়ন এবং আধুনিক প্রযুক্তির অভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিকশিত হচ্ছে না এ শিল্প। মহাজোট সরকারের সাড়ে চার বছরেও শিল্পপার্ক স্থাপিত না হওয়ায় হতাশ উদ্যোক্তারা। এ অবস্থায় ওই এসআরও জটিলতা দেশের শিল্পায়নে ব্যয় বাড়াবে বলে মনে করেন হালকা প্রকৌশল শিল্পমালিকরা। জানা গেছে, বিগত ৪২ বছরে হালকা প্রকৌশল শিল্প যে উন্নয়ন ও বিকাশ লাভ করেছে, তা হয়েছে উদ্যোক্তাদের নিজ উদ্যোগে। ৪২ হাজারেরও অধিক হালকা প্রকৌশল শিল্প কারখানা তিনটি পর্যায়ে উৎপাদন ও সেবা প্রদান করে আসছে। যেমন বিভিন্ন মেশিনারি উৎপাদন (ক্যাপিটাল মেশিনারি), নানা ধরনের যানবাহন ও কল-কারখানার যন্ত্রাংশ উৎপাদন এবং রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত। এ ছাড়া লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন ও সেবা প্রদানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এর আওতায় রয়েছে অটোমোবাইল, মেরিন, এগ্রিকালচারাল ও টেঙ্টাইল খাত, ক্যাপিটাল মেশিনারি, জুট, চা, কনস্ট্রাকশন, ফুড প্রসেসিং ও ফার্নিচার।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.