আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফেসবুক স্ট্যাটাস সমগ্র: ৩৮



1st September to 30th September: ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩: সাব্বাশ লিভারপুল! সাব্বাস! ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডকে দিছে। ৩ ম্যাচ পরে টেবিলের শীর্ষে, হয়্যার ইউ বিলংস! এখন ফার্গসুনের জন্যে কান্দো আর 'গিগিমুমু' করো রেড ডেভিলসরা। অল রেডস, ইউ উইল নেভার ওয়াক অ্যালোন! ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩: গত কিছুদিন ধরে ফেসবুকে সময় করে বসি না। সময় মেলে না। এই মাঝেমধ্যে কিছুটা রিল্যাক্স করতে ফোন থেকে মিনিট দুয়েক একটা ঢু মেরে ইনবক্স, ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আর প্রথম পেজটা দেখেই শেষ।

আর মাঝরাতে ঘুমানোর আগে নোটিফিকেশনগুলো চেক করি। ক্লোজ দু'-একজনের লেখা পড়ি, ব্যাস। সর্বোচ্চ মিনিট দশেক। আধাঘন্টা অনলাইন নিউজ আর ব্লগে একটু ঘুরঘুর করেই একসময়ের নেশার মত হয়ে যাওয়া ইন্টারনেটের চ্যাপ্টার ক্লোজ। তবে অনন্ত জলিল থেকে ইউনুস, নির্বাচন কমিশন থেকে বাৎসরিক মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি বা বেল-ফিন্স-বয়েড র্যানকিন থেকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ বা ফেদেরার; ফেসবুক-ব্লগ ক্যাচাল বা প্রচলিত ত্যানা পেঁচাপেঁচি বাদ দিলে বাকি গুলোর টুকটাক খোঁজখবর জানি।

ন্যূনতম এটুকু ঘাটাঘাটির অভ্যাসটা পুনরাবৃত্তি না করলে এখনও রাতে ঘুম আসতে চায় না। তবে এটুকুও কাটিয়ে উঠবো আশাকরি। ভেবে রেখেছি, সম্ভব হলে একেবারে জনবিচ্ছিন্ন জীবন কাটাবো কয়েক মাস। আরেকটা ব্যাপার শিখেছি, ভার্চুয়াল লাইফ বা এর পরিচিতিটার গুরুত্ব আছে জীবনে, কিন্তু সেটা বাস্তবের খুবই নগন্য। ভার্চুয়ালি কিছু অসাধারণ মানুষের সাথে পরিচিত হয়েছি।

আমার জীবনে তারা একটা বড় রোল প্লে করে এটা অস্বীকার করলে নিজের সাথে বেঈমানীই করা হবে। শুধু 'অসাধারণ' শব্দটা তাদের ব্যাখ্যার জন্যে যথেষ্ট না। কিন্তু এর বাইরে সবার একটা ঘর আছে। ঘরের মাঝে, মনের ভিতর আপন কিছু মানুষ, প্রিয় কিছু মুখ আছে, দুর্লভ চাইনি বা হাসির কিছু শব্দ আছে। দিনশেষে তারাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

সময় 'অপচয়' করতে হলে সেখানেই করা ভালো। বাই দ্যা ওয়ে, কে যেন একবার লিখেছিলো, এমবিবিএস প্রফেশনাল পরীক্ষার প্রস্তুতি আর প্রায় আড়াই মাস ধরে পরীক্ষা একটা মানুষের হায়াৎ একবছর কমিয়ে দেয়। কথাটা নির্মম সত্য। ওই স্ট্যাটাসদাতাকে এই মুহূর্তে কাছে পেলে একটা মাউন্টেন ডিউ খাওয়ানো যেত। ফাইনালি, খুব প্রিয় বন্ধুর মায়ের ক্যান্সারের দুশ্চিন্তাটা বাদ দিলে ভালোই আছি।

তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে জীবনের 'অনিয়মে'। ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩: খুবই অপ্রত্যাশিত এবং হঠাৎ করেই ময়মনসিংহ থেকে খুলনা যাচ্ছি। বন্ধু অনুপের মা গতরাতে ঢাকায় চিকিৎসারত অবস্থায় ব্ল্যাড ক্যান্সারে মারা গেছে। সেন্ট জোসেপস্ִ আর সিটি কলেজের কেউ খুলনা বা তার আশেপাশে থাকলে শীতলাবাড়ি রোডে ওর বাড়িতে যেতে পারিস। না পারলে ওর সাথে যোগাযোগ: ০১৯১১০৯৫৯২১ ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩: গতকাল ভোরে ময়মনসিংহ থেকে রওনা দিয়েছিলাম, খুলনা পৌছাতে রাত ৯টা বেজে গেছিলো।

অনুপের বাসা, হসপিটাল হয়ে ঘরে ফিরতে ফিরতে রাত প্রায় ১২টা। মাত্র ৬ ঘন্টার খুলনা অধ্যায় শেষ করে আজ ভোর ৬টা তে আবার ময়মনসিংহের বাসে! অনুপ অবিশ্বাস্য শান্ত। ফোন আসছে, আর ভাবলেশহীনভাবে সবাইকে বলে যাচ্ছে, 'হ্যা, হ্যা, মা তো মরে গেছে। ' কী নির্লিপ্ত সব উচ্চারণ! অঞ্জনের গানগুলো এত বেশি শুনেছি যে মাথায় মাঝেমধ্যেই কিছু লিরিক ঘুরঘুর করে। গতকাল থেকে অঞ্জনের 'যাচ্ছে চলে' গানটার শেষ দু'টো লাইন মাথা থেকে যাচ্ছে না: 'যাচ্ছেনা এড়ানো শেষ শুয়ে পড়াটা যাচ্ছেনা থামানো শেষ কাঁধে চড়াটা যাচ্ছেনা জাগানো শ্মশানের মড়াটাকে যাচ্ছেনা তাই, সে কোথায়?' ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩: গত দুই দিনে ফেলানির রায় নিয়ে ব্লগে-ফেসবুকে মোটামুটি শ' তিনেক বিপ্লবী লেখা পড়েছি।

বিদ্রোহ-বিপ্লবে কারো কারো কী-বোর্ড ভেঙে গেছেও হয়তো! তবে লেখাগুলো পড়তে পড়তে কিছু জিজ্ঞাসা আর কৌতুহল দাঁড়িয়ে গেছে। সেগুলো একটু লিখি: শত শত স্ট্যাটাস আর ব্লগের মূল বক্তব্য ছিলো, 'এই রায়ের প্রতিবাদে স্টার প্লাস, জি বাংলা, স্টার জলসা বন্ধ করে দিতে হবে', 'আশিকী টু, চেন্নাই এক্সপ্রেস দেখে আপনার বিপ্লব করতে আইসেন না' ব্লা, ব্লা ব্লা। একটা ব্যাপার খুব ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে দেখলাম, একজনও, স্রেফ একজনও লেখেনি ইএসপিএন-স্টার স্পোর্টস-স্টার ক্রিকেট বন্ধ করে দেন। ক্যাবল অপারেটরকে এই চ্যানেলগুলোও কাঁটতে বলেন। একটা মেয়েও লেখেনি এই কথাটা।

নিবেদনপক্ষে আমার চোখে পড়েনি। আপনার রাগ ঠিক কিসের উপর? মা-বোনের হাত থেকে রিমোট পাননা সেটার উপর না সীমান্ত হত্যার উপর? আমার ছোট মস্তিষ্কের উপর দিয়ে গেছে ব্যাপারটা। পরের প্রশ্ন, ধরে নিলাম ক্যাবল অপারেটরদের দিয়ে ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলোর বাংলাদেশে প্রবেশ বন্ধ করালেন। এই রায়ের ক্ষেত্রে আমাদের কী লাভ তাতে? ওয়েল, আমাদের লাভ না থাকুক, ওদের ক্ষতি হোক। তাহলে বলেন, ওদের কতটা ক্ষতি এতে? ওদের কয়েকটা চ্যানেলের টিআরপি রেটিং খানিকটা কমবে।

কতটুকু কমবে? আর? ধরে নিলাম, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি। ওদের কয়েকটা প্রদেশেই ১৬ কোটির উপরে জনসংখ্যা। কিচ্ছু হবে না, স্রেফ কিচ্ছু হবে না ওদের। উল্টো কয়েকদিন পরেই বাংলাদেশে স্পোর্টস চ্যানেল না থাকাতে আর অন্য কোনো দেশি চ্যানেল বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজের সম্প্রচার স্বত্ত্ব বাই এনি চান্স কিনে না নিলে আপনি-আমিই স্টার ক্রিকেটের জন্যে চোখের পানি-নাকের পানি এক করে ফেলাতে পারি। পরের যে ব্যাপারটা চোখে পড়লো, ভারতীয় পণ্য বর্জন।

সম্ভবপর হলে নি:সন্দেহে সাধু উদ্যোগ। এখানে, কয়েকটা কিন্তু, তবে, যদিও আছে। বলি, বাজারে যান তো? এবারের ঈদের আগে পরে কোনো একটা সময়ে ভারত থেকে পেয়াজ আসা বন্ধ হয়ে গেছিলো। তখন কী অবস্থা হয়েছিলো তা জানা আছে? একবার ভারত থেকে চিনি আমদানি বন্ধ হওয়াতে ব্রাজিল থেকে আমদানিকৃত চিনি কিনতে হচ্ছিলো। এক বাসায় বেড়াতে গিয়ে স্যাকারিনের চা খেতে হয়েছিলো! সে স্মৃতি ভুলতে পারিনি এখনও।

দু'-এক বছর আগে কোরবানী ঈদে একবার ভারতীয় গরু আসা কয়েকদিন আটকে ছিলো সে স্মৃতি মনে আছে? গত বছরে ভারত সরকার বাংলাদেশে ৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। সেখানে আমরা রপ্তানি করেছি মাত্র ৪০০ মিলিয়ন ডলারের। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ৪৬ টা পণ্যের শুল্কমূক্ত প্রবেশের ব্যাপারেও আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লি সফরকালে ভারতকে বাংলাদেশের স্থলভাগ ব্যবহার করে ট্রানজিট দেবেন বলেও ঘোষণা করে এসেছেন এবং বাংলাদেশ এর জন্যে কাজও করে যাচ্ছে। কিন্তু ট্রানজিটের মূল্য কত এবং বাংলাদেশ এই সেবা দিয়ে কতটুকু উপকার পাচ্ছে বা আদৌ পাচ্ছে কি-না তা পরিষ্কার না।

যারা এতদিন ট্রানজিট থেকে বিলিয়ন ডলার পাবে বলে মনে করতো তাদেরও সাড়া শব্দ নেই। একটা হিসেব মতে বলা হয়েছিলো ৮০ মিলিয়ন ডলারের মত পাওয়া যাবে হয়তো। এই ৮০ মিলিয়ন ডলারের পিছনে ব্যয়টা কত? ট্রানজিটের ফিই বা কত? জিনিসগুলো যথেষ্ট অপরিষ্কার। (এই ডাটার অংশটাও পুরোপুরি সংগৃহীত। এবং ট্রানজিটের লাভ-ক্ষতি নিয়ে সম্যক ধারণা যথেষ্ট কম।

) বাংলাদেশে ফেসবুক-ব্লগ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২% এরও নিচে। এই বিপ্লবের অর্থ কি আর বোঝানোর দরকার আছে? নেক্সট, প্রসঙ্গে আসি। ফেলানির বিচার এবং রায়। ভারতীয় আইনের ৩০৪ ধারায় সামরিক বাহিনী কতৃক অনিচ্ছাকৃত খুন এবং বিএসএফ আইনের ১৪৬ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড। সর্বনিম্ন ৭ বছর এবং/অথবা অর্থ দন্ড।

তার মানে রায় আমাদের পক্ষে হলেও বিএসএফ হাবিলদার অমিয় ঘোষের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন হতো। ফাঁসি বা মৃত্যুদন্ড না। কিন্তু তাতে পরবর্তীতে সীমান্ত হত্যা যে হ্রাস পেতে পারতো তার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিলো। ভারত একার্থে এই রায়ে সীমান্ত হত্যা বৈধ করে দিলো! ১ জানুয়ারি ২০০০ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১২ পর্যন্ত সরকারি হিসেব মতে সীমান্তে ১০৬৪ জন বাংলাদেশি মারা গেছে। গত ৫ বছরে ৪২৪ জন।

আওয়ামী লীগ, বিএনপি-জামাত বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার; সে যেই হোক সকলের সময়েই প্রায় একই হারে সীমান্ত হত্যা চলেছে। এবং কোনো সরকার বা তার পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় যৎসামান্য ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে এবং দীর্ঘ মেয়াদি সমাধানে পৌছাতে পারেনি। পরিসংখ্যান মিথ্যে বলে না। অথচ পুরো প্রক্রিয়াটা নির্ভর করে পারস্পারিক সমঝোতা আর চুক্তির উপর। এবং কোনো সরকারই ব্যাপারটায় আন্তরিক ছিলো না।

কলকাতার মানবাধিকার সংস্থা সুরক্ষা মঞ্চের সেক্রেটারি কিরিটী রায় পর্যন্ত ফেলানির রায় নিয়ে বলেছেন, 'বিএসএফ সীমান্তে শুধু ত্রাসের রাজত্বই কায়েম করেনি বিচারের নামে নাটকও সাজিয়েছে। এ বিচার মানিনা। শুধু আমি কেন, পৃথিবীর কোনো সভ্য মানুষের পক্ষে এ বিচার মানা সম্ভব না। অন্যভাবে মামলা করার চিন্তা ভাবনা রয়েছে আমাদের'। এবং মজার কথা হলো, একজন ভারতীয় মানবাধিকার কর্মী একটা জাতীয় দৈনিকে এই বিচারকে 'নাটক' আখ্যায়িত করলেও বাংলাদেশ সরকারের প্রভাবশালী কেউকে মুখ খুলতেই দেখলাম না।

মমতা দিদি হোক, আর মনমোহন দাদা হোক, আমাদের ভীষণ জুজুর ভয়! এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ আছে কি-না? পেপারে পড়লাম, এটা ছিলো বিএসএফের বিরুদ্ধে ভারত সরকারের মামলা। বিশেষ আদালতে এই বিচার কাজ চলে। কাজেই আপিল করতে হলে ভারত সরকারকেই করতে হবে। ফেলানির বাবা বা বাংলাদেশের কারও আপিল করার সুযোগ নেই। তবে এর বাহিরে একমাত্র বাংলাদেশ সরকার আপিল করার জন্য ভারত সরকারকে চাপ প্রয়োগ করতে পারে।

সুতরাং কাহিনী দাঁড়ালো, এখন বাকিটা বাংলাদেশ সরকারের হাতে। ক্যাবল অপারেটর বা পণ্য বর্জন দূরবর্তী পন্থা। চাপ সৃষ্টি করতে হলে বরং নিজের দেশের সরকারকেই এ বিষয়ে হস্তক্ষেপে বাধ্য করাতে হবে। ৭ জানুয়ারি ২০১১ তে ফেলানি হত্যার পরেরদিনই কুচবিহার থানায় মামলা হয়। তারপরও এটার বিচার হলো না।

অধিকাংশ সীমান্ত হত্যার জন্যে তো মামলাই হয়নি! পরিশেষ, একটা পোষ্টে লেখা পেয়েছিলাম, এক ফেলানির বিচার দিয়ে কী হবে? গত ১২ বছরে হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। সেদিকে কারও ভ্রুক্ষেপ নেই কেন? একটা ফ্রেজ মনে পড়ছে, 'অ্যা লং জার্নি বিগিনস্ִ উইথ আ সিঙ্গেল স্টেপ। ' প্লিজ, ডু সামথিং আওয়ার বিলভড গভর্নমেন্ট! প্লিজ! ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩: ১) সেন্ট জোসেপস্ִ স্কুলে ক্লাস সেভেন-এইটের দিকে কৃষিশিক্ষার একজন স্যার এসেছিলেন। নাম পিন্টু। পিন্টু স্যার।

স্যারের উচ্চারণে কিছুটা সমস্যা ছিলো। নাকি সুরে কথা বলতেন। 'সেভেন'কে উচ্চারণ করতেন, 'চেপেন' বলে। ক্লাসে প্রসেনজিত নামে এক বন্ধুর রোল ছিলো ৫৭ (ফিফটি সেভেন)। স্যার ডাকতেন, 'পিপটি চেপেন'।

প্রসেনজিত বলে উঠতো, 'ইয়েচ চ্যার'। স্যার খেয়াল করেননি ভান করে পরের রোলগুলো ডেকে যেতেন। তথ্য প্রযুক্তি আইন ৫৭ ধারাটা পড়ে, এই ধারাটাতে সম্ভাব্য নিপীড়নের সুযোগের ফাঁক-ফোকর দেখে ওই স্যারের মত চেপে যেতে হচ্ছে। কিছু লেখা যথেষ্ট রিস্কি। অবস্থা এমন, আপনি লিখলেন, 'গুড নাইট'।

ধরেন, একজনের রাতটা 'গুড' না, 'ব্যাড'। সেই কারণ দেখিয়ে সম্ভবত: আপনার বিরুদ্ধে একটা মামলা ঠুকে দেওয়ারও সুযোগ আছে ধারাটাতে! ২) ফেসবুকে এখন স্ক্রীন শটের দিন। কে কবে কোন মেয়ের সাথে এরোটিক চ্যাট করেছে, আদিম প্রস্তাব দিয়েছে তা পাবলিশ করার জঘণ্য একটা প্রতিযোগিতা চলছে। এসব করলে নাকি লাইক, ফলোয়ার বাড়ে! জানা মতে, ভুরি ভুরি লাইক-কমেন্ট ওয়ালাদেরই মূলত শিকারে পরিণত হতে দেখছি। ডা: মুজিবর রহমান স্যার একবার বলেছিলেন, যে যত মোটা তার শারীরিক কমপ্লিকেশন তত বেশি।

একই কথা একটু মোডিফাইড করে ফেসবুকের ক্ষেত্রেও বলা যায়, যার লাইক-কমেন্ট যত বেশি তার ভার্চুয়াল হ্যারাজমেন্টের সম্ভাবনা ঠিক ততটাই বেশি। ৩) সুপর্ণ কান্তি ঘোষের সুরে মান্না দে'র 'কফি হাউজ' গানটা অসংখ্যবার শোনা। নিখিলেশ, মইদূল, ডিসুজা, অমল, রমা রায়, সুজাতাদের মত আমারও অনুপ, অতনু, অমিত, সুমন, লিপু, প্রিয়াংকারা আছে। কতদিন একসাথে হওয়া হয়না। অনুপের মা তো মারাই গেলো।

সুমনের মা জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ধরতে গেলে মরে মরে বেঁচে আছে। অতনুর বাবা হার্টে পেসমেকার লাগিয়ে দুই দিন পরপর হাসপাতালে ভর্তি হয়। আমার মাও অনেকদিন ধরে মাঝে মধ্যে অসুস্থ থাকে। লিপুটা একরকম হারিয়েই গেছে। সুজাতার মত প্রিয়াংকারও কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো বিয়ে হয়ে যাবে।

কিছুদিন পর অমিতকে এখানে রেখে অন্য কোথাও চলে যেতে হবে। বড় হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে অজান্তে কখন যে সবারই একটা অস্থির জীবন এসে সঙ্গী হয়ে গেছে, আমরা কেউ হয়তো বুঝতেই পারিনি। ফিলস্ִ লাইক লাইফ ইজ টূ হার্ড টু লিড আউট। অঞ্জন দত্তের 'কেউ গান গায়' অ্যালবামে 'কাঞ্চন জঙ্ঘা' নামে ভীষণ প্রিয় একটা গান আছে। গানটাকে অঞ্জনের গাওয়া আমার সবচেয়ে প্রিয় তিনটা গানের একটা বলে বেছে নিবো নি:সন্দেহেই।

সে যাই হোক, রাত্তির নেমে এলে তিনশ' বছরের এই সিমেন্টের জঙ্গলে আমার সেই খুলনা, প্রিয় সব মুখ, প্রিয় বন্ধুদের কথা মনে হতে থাকে। আর অঞ্জন দত্তের দখলদারিত্ত্ব শুরু হয়। আমি স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করি, 'একটু ভালো করে বাঁচবো বলে আর একটু বেশি রোজগার ছাড়লাম ঘর আমি ছাড়লাম ভালোবাসা আমার নীলচে পাহাড়। ' ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩: ১) সারাদিন ওয়ার্ডে থেকে শেষ বিকালে যেই একটু ঘুম আসে, তখনই কেউ না কেউ আমাকে ফোন করে বসে। পরিচিতরা ফোন দিলে তাও 'হজম' করে নেই।

কিন্তু অপরিচিত কারো ফোন পেলে মেজাজ তাৎক্ষনিক তিরিক্ষি হয়ে যায়। এমন যন্ত্রণা, সাইলেন্ট করে রাখলে মাঝে মাঝে এলার্মটা বাজে না। আজকে যেই একটু ঘুম-ঘুম এসেছে তখনই ফোন, 'হ্যালো, বারেক ডাক্তোর আছে নি?' বললাম, 'বারেক ডাক্তার মইরা গেছে, আপনেরে কুলখানির দাওয়াত দেয় নাই?' ২) জীবনে যত খাটো-বিদঘুটে লম্বা, তোতলামির দোষ, কেনিয়ান অরিজিন বা অস্বাভাবিক কনজেনিটাল শারীরিক সমস্যাওয়ালা মানুষের সাথে মিশেছি প্রত্যেকের আচরণগত কিছু দোষ দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তার মানে এই না আমার মাঝে অন্য কেউ কোনো আচরণগত সমস্যা পায়নি বা তাদের সমস্যা থাকেই। এটা শুধুই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা।

৩) জিওফ লেমন আজই ক্রিকইনফোতে একটা ফিচার লিখেছেন, 'Whats up with Watto?' নামে। দুপুরে ঘুমানোর আগে পড়লাম। এবং একটু আগে ক্রিকইনফোতে আপডেট দেখতে গিয়ে দেখলাম ওয়াটসন ১০৭ বলে ১৪৩ রানের ইনিংস খেলেছে। দেখিনি। না দেখলেও কারও বলে দিতে হবে না কতটা দুর্দান্ত ছিলো ইনিংসটা।

ওয়াটসনের আগের ৭ টা সেঞ্চুরির সবগুলোই সম্ভবত: আমার দেখা। ৪) ইদানিং উইকএন্ডে একদিনই সম্ভবত: টিভির সামনে বসি। যেদিন লিভারপুলের খেলা থাকে। আজ আছে। দিনটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

আজ স্টিভেন জেরার্ডের লিভারপুল ক্যাপ্টেন হিসেবে ৪০০ তম ম্যাচ। দ্যা লয়্যাল লিজেন্ড। নাইদার মেসি, নর ইনিয়েস্তা অর রোনালদিনহো, মাই ফেভারিট ফুটবলার ইন দ্যা আর্থ ইজ স্টিভেন জেরার্ড। ৫) আগামীকাল কসাই কাদেরের যাবজ্জীবন সাজার বিপক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের আপীলের রায়। এই একটা 'ভি' চিহ্ন স্বাভাবিক জীবনে একটা মোড় তৈরি করে দিয়েছে।

কত পরিচিতের সাথে মনমালিন্য, দূরত্ব তৈরি হয়েছে আদর্শগত কারণে। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কত শ্লোগান। ময়মনসিংহ থেকে শাহবাগ। আহ্ִ, সেই সব দিন! যে আমি জীবনে এর আগে কোনোদিন শ্লোগানই দেইনি সেই আমি সুর করে করে বলেছি, 'ক তে কাদের মোল্লা; তুই রাজাকার, তুই রাজাকার'। শ্লোগান দিতে দিতে এমন অবস্থা হয়েছিলো, একদিন সকালে রুমমেট বলেছিলো, 'কী মিয়া, ঘুমের মধ্যেও শ্লোগান মারো!' ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩: ৫ তারিখ লিখেছিলাম, 'ভি' টা ফিরিয়ে দেবো।

এই মুহূর্তে ওয়ার্ডে। সেখান থেকেই 'ভি' ফিরিয়ে দিলাম! জয় বাঙলা! ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩: ১) গত কয়েক বছর ধরে তিন রুমমেট একসাথে আছি। একটা টাকা, একটা কাগজও চুরি হয়নি কখনও। একবার এক রুমমেটের ১০০ টাকা হারিয়ে গেছিলো। সেটাও মাসখানেক পর খাটের নিচে পরিষ্কার করতে গিয়ে পেয়ে গেছিলো।

হাজার টাকাও টেবিলের উপর ভুলে ফেলে রেখে যাওয়ার পর ফোন পেয়েছি, 'রণি, টেবিলের উপর ভুল করে টাকা ফেলে গেছো, উঠায়ে রাখলাম, এসে নিয়ে নিও'। অথচ গত কয়েক মাসে মাঝে মধ্যেই রুম থেকে মানিব্যাগ, টাকা, বইপত্র, ক্রেডিট কার্ড, রুমমেটের মেডিসিন, ইনহেলার খোয়া গেছে। মাঝে অমিত কয়েকদিন ছিলো রুমে। ওরও 'কিছু একটা' খোয়া গেলো আমার রুম থেকে। এবং পরিশেষে ওর সহযোগিতায় চোরটাকে চিনে ফেলেছি।

গরীবেরা চুরি করে অভাবে আর সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলেরা চুরি করে স্বভাবে। ক্লেপটোম্যানিয়া বলে একটা রোগ আছে। অনেক ধনী তবুও কিছু পেলেই চুরি করতে ইচ্ছে হয়। এমন এক ক্লেপটোম্যানিয়্যাকের হাতেই পড়েছি খুব সম্ভবত:। ২) গত চার-পাঁচ বছরে যতগুলো নতুন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছি তার ৮০-৯০% জায়গায় নিয়ে গেছে @[100000180377564r-Shuvro] দাদা।

ব্যাপারটা এরকম, দাদাকে বললাম, দাদা বাংলাদেশের ম্যাচ দেখবো। দাদা টিকেট কেটে তারপর ফোন দিয়ে জানায়, 'রণি, টিকেট কাটা হয়ে গেছে, ঢাকা চলে আসো'। শাহবাগ যাবো। বলার সাথে সাথেই 'এক্ষুনি চলে আসো, আমি আজিজে আছি। কোনো সমস্যা নেই'।

আমি কোথাও যাবো বললেই ডিউটি-পেশেন্ট দেখা বাদ দিয়ে দাদা হাজির! ভাবলেও অবাক লাগে মাত্র কয়েক বছর আগেও দাদাকে চিনতাম না! অনেকদিন কোথাও ঘুরতে যাইনা, এই মুহূর্তে যাওয়ার অবকাশও নেই তবু দাদা, কোথাও যাবো ভাবলে আপনিই প্রথম মাথায় চলে আসেন। সামহাও মিসিং ইউ টুডে। ইউ নো দ্যা রিজন হ্যোয়াই। আরেকজনের কথা লিখি, @[100002566502374: Zia Arefin Azad] ভাইয়া। আমি ফেসবুক চ্যাট পারতপক্ষে করিনা।

কিন্তু কী করতে করতে যেন ভাইয়াকে পেয়ে গেলাম। সেটাও সম্ভবত: বছর পার হয়ে গেলো। লেখার ওজন থাকলে তার লেখা অনেকেই মাথায় তোলার ক্ষমতা রাখতো না। অনেকদিন ধরে উনার ফোন নাম্বারটা কন্টাক্ট লিস্টে। আজ প্রথম ফোন দিলাম।

ইদানিং অনেকদিন পরপর স্ট্যাটাস আপডেট করি ব্যস্ততার কারণে। আজ লেখার অন্যতম কারণ ভাইয়া। স্ট্যাটাসটা দেওয়া যাতে এই দিনে প্রথম কথা হয়েছিলো সেটা স্মরণে থাকে। ৩) চিরকুটের 'জাদুর শহর' অ্যালবামটা শুনলাম। যথেষ্ট ভালো লেগেছে।

যে কেউ শুনতে পারেন। ৫০ টাকা বা ৫০ মেগাবাইট; কোনোটাই অপচয় হবে না বলেই বোধ করি। কবির সুমন বাংলাদেশকে নিয়ে আবারও গান বেঁধেছেন। এবার ফেলানিকে নিয়ে। আজ তার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট kabirsumanonline.com-এ পোস্ট করেছেন গানটা।

বিদ্রুপাত্মক শক্তিশালী লিরিকটা তুলে দিলাম: 'ওপার বাংলা, এপার বাংলা মাঝখানে কাঁটাতার গুলি খেয়ে ঝুলে থাকলে ফেলানি বলো তো দোষটা কার? কেউ দোষী নয় ফেলানি খাতুন বিএসএফ জানে ঠিক পথ ভুল করে নিয়েছিলো গুলি হঠাৎ তোমার দিক। বেকসুর ছুটি পেয়েছে সেপাই খুনীরা যেমন পায় ভেবে দেখো মেয়ে ওই খুনীটাও বাংলায় গান গায়। তুমিও গাইতে গুনগুন করে হয়তো সন্ধ্যে হলে তোমারই মতন সেই সুরগুলো কাঁটাতার থেকে ঝোলে। শোনো বিএসএফ, শোনো হে ভারত কাঁটাতারে গুনগুন একটা দোয়েল বসেছে যেখানে ফেলানি হয়েছে খুন। রাইফেল তাক করো হে রক্ষী দোয়েলেরও ভিসা নেই তোমার গুলিতে বাংলার পাখি কাঁটাতারে ঝুলবেই।

' ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩: ১) ফেসবুকে হররোজ কতকিছু শেয়ার হয়। প্রেম-ভালোবাসা, রাগ-ক্ষোভ থেকে শুরু করে বৃষ্টি-চাঁদের সৌন্দর্য পর্যন্ত। যে গরম পড়েছে তাতে কিছু ঘাম শেয়ারের অপশন থাকলে ভালো লাগতো। ইশ, এত্তগুলো গরম! বাই দ্যা ওয়ে, RexPosed দেখলাম। এই কথাটা খুব প্রচলিত যে, অতি সুন্দরীরা মাথামোটা টাইপ হয়।

কিন্তু মেহজাবিনের মাথা শুধু মোটা না, 'এত্তগুলো মোটা'। ২) টি-টুয়েন্টি চ্যাম্পিয়নস্ִ লীগ দেখছি না। ভিলিয়ার্স-ওয়াটসন-হাসি বিশেষ করে দ্রাবিড়কে শেষবার ক্রিকেট খেলতে দেখার লোভটাও সংবরণ করে আছি। তবে মোবাইল ইন্টারনেটের জন্য দিনে একবার সব খোঁজ খবরই নিই। চ্যাম্পিয়নস্ִ লীগের একটা ব্যাপার খুব অবাক করলো।

পোলার্ড-ডোয়াইন ব্রাভোরা নিজের স্টেট, নিজের দেশের দল ত্রিনিদান্দ অ্যান্ড টোবাগোর হয়ে না খেলে খেলছে যথাক্রমে আইপিএল দল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস আর চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে। শেন ওয়াটসন অস্ট্রেলিয়ান টিম ব্রিসবেন হিটের হয়ে না খেলে খেলছে আইপিএল টিম রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে। ফ্যাফ ডু প্লেসিস তো আরও এক ধাপ উপরে। মাইক হাসির জন্যে মূল দলে সুযোগ পাওয়া অনিশ্চিত জেনেও আফ্রিকান দল টাইটানস্ִ রেখে বেছে নিয়েছে চেন্নাই সুপারকিংসকে। এবং এ সব কিছুই স্রেফ টাকার জন্যে।

কিছু বেশি ডলারের কাছে সমর্থকদের আবেগ, দেশপ্রেম বিক্রি হয়ে গেছে। ভাবা যায়! চোখ বুজে চিন্তা করে দেখেন তো, তামিম ইকবাল দুরন্ত রাজশাহীতে খেলার সুযোগ ছেড়ে খেলছে ওয়েলিংটন ফায়ার বার্ডস বা পুনে ওয়ারিয়র্সের হয়ে। সাকিব আল হাসান ঢাকা গ্লাডিয়েটরসকে রেখে খেলছে লিচেস্টারশায়ার বা কোলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে! এটা কখনোই হবে না। মার্ক মাই ওয়ার্ডস, টাকার জন্যে সাকিব-তামিমরা দেশাত্ববোধটা বিসর্জন দেবে না। কখনোই না।

তাই এত সব কান্ড দেখার পর, জানার পর কয়েকটা ম্যাচ খারাপ খেললেই সাকিব-তামিমদের কমিটমেন্ট, দেশপ্রেম নিয়ে সমালোচনাটা জুড়ে দেওয়ার আগে আরেকবার ভেবে দেখা যেতে পারে। ৩) ইদানিং সব কাজ শেষ মুহূর্তের জন্যে ফেলে রাখি। এবং তড়িঘড়ি করে কোনোরকমে অন্তিম মুহূর্তে শেষ করি। আই অ্যাম অ্যা ইলেভেনথ আওয়ার বয়। আরেকটা ব্যাপার, পুরাণো একটা রোগ আছে।

কিছু কাজ আগামীকাল করবোই করে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করি এখনও। আমার আগামীকাল আর আসে না। শান্তনা খুঁজি এটা ভেবে, প্রতিজ্ঞা করাই হয় ভাঙার জন্যে! সে প্রায় যুগ পার হতে চললো, আগামীকালকে খুঁজছি তো খুঁজছি। মাই টুমরো নেভার কামস্ִ টুডে। ৪) @[1142882153: Fahmida Nabi]র 'ইচ্ছে হয়' শুনলাম।

দ্বিধা না করেই সত্য কথাটা বলি, আপু, তেমন ভালো লাগেনি আমার। আপনার আগের কয়েকটা অ্যালবামের মানের না। আপনাতে শেষ মজেছিলাম 'চারটি দেয়াল হঠাৎ খেয়াল' আর @[744865412:Bappa]দা'র সাথের 'এক মুঠো গান' সিরিজে। আর ইদানিং তো হরহামেশা আপনার গান পাই ও না। বাপ্পা দা' আর আপনার রসায়ন বরাবরই খুব ভালো।

১) জাফর ইকবাল স্যারকে জামায়াত-হেফাজত আর উগ্র মৌলোবাদীরা আগেই নাস্তিক ট্যাগ দিয়ে দিয়েছে। যা শুনলাম তাতে এখন নিশ্চয়ই উগ্র আওয়ামীপন্থী আর ছাত্রলীগের কাছ থেকে 'বাম' ট্যাগটাও পেয়ে যাবেন। সাথে ড. অনুপম সেন এবং ড. আবদুল্লাহ্ִ আবু সাঈদও 'বাম' উপাধী পেতে যাচ্ছেন। বাহ্ִ। আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বাম কাৎ হয়ে শুয়ে আছি।

প্রিয় আওয়ামী যোদ্ধারা, আমাকে কী এর জন্য বামপন্থী ট্যাগ দেওয়া যাবে? ২) দক্ষিণাঞ্চলে আওয়ামী লীগের দেওয়া সবচেয়ে বড় প্রতিশ্রুতি ছিলো পদ্মা সেতু। সেটা না পেয়ে তার ফলাফল ইতিমধ্যে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে জানিয়ে দিয়েছে জনগণ। আপনাদের কাছে যতই 'তথ্য থাকুক', ফেসবুকের নীল দুনিয়া ছেড়ে ওখানকার একটা চায়ের দোকানে গেলেই পরিপ্রেক্ষিত আপনার কাছে ঝর্ণার জলের মত পরিষ্কার হয়ে যাবে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ হিসেবে যদ্দুর জানি, সুন্দরবন ইস্যুতে ওখানকার মানুষ যথেষ্ট সেন্সেটিভ। বঙ্গোপসাগর যেমন চট্টগ্রামের পরিচয় বহন করে, পাহাড় যেমন বান্দরবনের, খুলনারও তেমন সুন্দরবন।

ক্ষমতায় আছেন, চাইলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে বিড়াল বলে টুইট করা মালালাকে চুমু দিতে পারবেন। চাইলে সুন্দরবন উজাড় করে একটা মেট্রোপলিটন সিটিও তৈরি করে দিতে পারবেন। বাই দ্যা ওয়ে, ভোটটা আপনাকে শুধু কয়েকটা গালিবাজ ভার্চুয়াল যোদ্ধা দিবে না, দিবে সুন্দরবনকে নিয়ে গর্ব করা দক্ষিণাঞ্চলের কোটি কোটি মানুষও। ৩) আমার গালাগালির ভান্ডার খুব একটা সমৃদ্ধ না। তাহলে আমার কী 'দেশপ্রেমিক' হওয়া হবে না? ৪) ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল, এক লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার পাঁচশ' সত্তর বর্গ কিলোমিটার থাকতে রামপালেই কেন? হোয়াই দিস কলাভেরি ডি? ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩: ১) আজকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা আবদার করেছে তাদের ইঞ্জিনিয়ারের পদমর্যাদা দাও।

কালকে প্যারামেডিকেল, ভেটেরেনারি আর হোমিওপ্যাথিক ডাক্তাররা বায়না ধরবে আমাদের ডাক্তারের সমান পদমর্যাদা দিতে হবে। প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা বানাতেই হবে। তা না হলে জ্বালিয়ে দেবো, পুড়িয়ে দেবো। বাই দ্যা ওয়ে, বাংলাদেশের আরেক নাম 'মামাবাড়ি' নাকি? ২) নিজের সম্পর্কে বলতে পারি অনলাইনে যে কতিপয় মানুষ সকল গ্রুপিং, ক্যাচাল, তেনা পেঁচাপেঁচির উর্ধ্বে থাকে, আমি তাদের একজন। হররোজ বহু কিছু ঘটতে দেখি এবং সযত্নে অ্যাভয়েড করে যাই।

এমনকি আমার স্ট্যাটাসেও কেউ গায়ে পড়ে ঝগড়া ফ্যাসাদ করতে এলে সেগুলোর রিপ্লাইও করি না। ডান-বাম-দল-লীগ-আস্তিক-নাস্তিক-ডট ডট গ্যাং-ডট ডট ইভেন্ট-অমুক ভাই-তমুক ব্রো; সব থেকে দূরে থাকি। যারা দীর্ঘদিন ধরে আমার সাথে সংযুক্ত আছেন তাদের ভালোই জানার কথা। সম্প্রতি একটা স্ট্যাটাসে কমেন্ট করে ফেঁসে গেছি। কমেন্টটা করেছিলাম স্ট্যাটাসদাতাকে উদ্দেশ্য করে।

সাথেসাথেই আরেকজন আওয়ামী ধ্বজ্বাধারী আমাকে ট্যাগ করে কমেন্ট দিলো। তার উত্তরটা দিলাম। ব্যাস, কথায় না পেরে তারপর প্রসঙ্গ পালটে বললো, 'আপনি আসিফ মহিউদ্দীনের ইভেন্টে গেছিলেন। সব জানি। খাসী সঙ্গ ছাড়েন।

আপনি দল অথবা জামাত। ল্যাঞ্জা লুকানো যায় না' ব্লা ব্লা ব্লা। আমি থাকি ময়মনসিংহে আর আমি গেছি আসিফের ইভেন্টে! মানুষ পারেও। প্রমান দেখাতে বললাম। আর খোঁজ নেই।

পরাস্ত হয়ে সাধারণত এসব মিথ্যাচার করে বাঁশেরকেল্লা। সেটাই জানতাম। এখন ধারণা বদলেছে। কিছু আওয়ামী লীগাররাও কম যায় না। মানুষের ইতরামিরও একটা মিনিমাম লেভেল থাকে! দূর্ভাগ্যবশত আমি শহুরে পোলা।

আমার মুখে চ-বর্গীয় গালি আসে না। এদের সাথে কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সেটা তো বঙ্গবন্ধুই বলে গেছেন। 'When you play with a gentleman, you play like a gentleman. But when you play with bastards, make sure you play like a bigger bastard. Otherwise you will lose'. স্যাড বাট ট্রু, কিছু গালিবাজ-ধান্দাবাজ-মিথ্যুকদের জন্যে লীগের উপর শ্রদ্ধা কমতেছে দিনে দিনে। ৩) আগামীকাল সাকা'র রায়। গোলাম আজম বয়সের অজুহাতে ম্যানিলা দড়ির থেকে আপাত বেঁচে গেলেও শেষ পর্যন্ত আর কেউ বাঁচেনি।

সাকা'র রায় অনুমানযোগ্যই। সবাই সাকা'র কুখ্যাত সব বাণী লিখছে দেখলাম। সাকা'র গীবত না গেয়ে মৃত্যুর ঘোষণার আগে বরং সাকা বলা প্রিয় একটা ডায়ালগ লিখি। এমন ডায়ালগ কালেভদ্রে কেউ দেয় না। সাকা জামায়াতকে নিয়ে ম্যাডামকে বলেছিলো, 'ম্যাডাম কুত্তা লেজ নাড়ায়, নাকি লেজ কুত্তারে নাড়ায়?' ৪) নজরুল গীতি শুনছিলাম।

সুধীরলাল চক্রবর্ত্তীর গাওয়া গানটা দীর্ঘক্ষণ ধরে মস্তিষ্কে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে: 'মধুর আমার মায়ের হাসি চাঁদের মুখে ঝরে মাকে মনে পড়ে আমার, মাকে মনে পড়ে'।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২৫ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.