আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবশেষে খুলছে বহদ্দারহাট উড়ালসড়ক

আর মাত্র আট দিন পরই খুলে দেওয়া হচ্ছে বহুল আলোচিত বহদ্দারহাট উড়ালসড়ক। এটির নির্মাণকাজ শেষ করার জন্য দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এখন চলছে একেবারে শেষ পর্যায়ের টুকিটাকি কিছু নির্মাণকাজ। উড়ালসড়কটি চালু হলে বহদ্দারহাট এলাকা যানজটমুক্ত হবে এমন আশা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। চউক চেয়ারম্যানের মতে ‘এটি হবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের গেটওয়ে।


গত মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে শ্রমিকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইতিমধ্যে চার লেন উড়াল সড়কের ডিভাইডার স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। দুই পাশের রেলিং নির্মাণও শেষের পথে। চলছে সড়কে কার্পেটিংয়ের কাজও।
সংশ্রিষ্ট সূত্র জানায়, চট্টগ্রামবাসীর জন্য প্রথম এ উড়ালসড়ক ১২ অক্টোবর চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

ওই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। উদ্বোধনের পর ডিসেম্বর পর্যন্ত সড়টির বাকি কিছু কাজ চলবে। তবে এতে যান চলাচলে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) নগরের শুলকবহর থেকে বহাদ্দারহাট এক কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত এ উড়ালসড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী এটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

একই বছর ডিসেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাব্য সময় ছিল এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে। কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে গার্ডার ধসের ঘটনার কারণে নির্মাণকাজ প্রায় সাত মাস বন্ধ ছিল। ওই ঘটনায় ১৪ জন নিহত হন।
এরপর নির্মাণকাজের তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয় সেনাবাহিনীকে।

গত ফেব্রুয়ারিতে চউক ও সেনাবাহিনীর মধ্যে এ ব্যাপারে সমাঝোতা চুক্তি সই হয়। আগের নির্মাণাধীন কাজের গুণগত মান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে প্রায় তিন মাস সময় লাগে। এরপর জুন মাসে নির্মাণকাজ পুনরায় শুরু হয়। চুক্তি অনুযায়ী উড়াল সড়কের সম্পূর্ণ কাজ আগামী ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। বর্তমানে নির্মাণকাজ তদারক করছে সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম এসডব্লিউওর ১৭ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন।


প্রকল্পপরিচালক মেজর মো. হাসানুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘১২ অক্টোবরের আগেই উড়াল সড়কটি যাতায়াতের উপযোগী করে তোলা হবে। এরপর কিছু কাজ বাকি থাকবে। তবে এতে যান চলাচলে কোনো সমস্যা হবে না। ’ মেজর হাসানুজ্জামান জানান, দ্রুত কাজ শেষ করতে বর্তমানে এক হাজার ২০০ জন শ্রমিক দিনরাত কাজ করছেন। জুনে নির্মাণকাজ শুরুর সময় শ্রমিক ছিলেন ৩০০ জন।

জুলাইয়ে যোগ দেন আরও ৪০০ শ্রমিক। নির্মাণকাজ তদারক করছেন সেনাবাহিনীর ৫০ জন প্রকৌশলী।
সূত্র জানায়, আগের নকশায় কিছু ত্রুটি থাকায় বর্তমানে উড়াল সড়কের দৈর্ঘ্য এক দশমিক ৩৪ কিলোমিটার থেকে বেড়ে এক দশমিক ৩৯ কিলোমিটার হয়েছে। চার লেনের সড়কটির প্রস্থ ১৪ মিটার। এতে ২৫টি স্প্যান রয়েছে।


এদিকে প্রকল্পব্যয় চার দফা বাড়ানো হয়েছে। প্রথম দফায় ব্যয় ছিল ৮৬ কোটি টাকা। এরপর আরও তিন দফায় ৫৯ কোটি ২১ লাখ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ প্রকল্পব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৫ কোটি টাকা। চউকের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রকল্পের সম্পূর্ণ অর্থ খরচ করা হচ্ছে।


চউকের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পাওয়া গেলে ১২ অক্টোবর এ উড়ালসড়ক যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এটি চালু হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সঙ্গে চট্টগ্রাম নগরের যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক সহজ হবে। এটি হবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের গেটওয়ে। পাশাপাশি নগরের এ অঞ্চল যানজটমুক্ত হবে।



সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।