আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিদেশে বাংলাদেশিদের অর্থ স্থানান্তর উন্ম

বিদেশে বাংলাদেশিদের অর্থ স্থানান্তর উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে দেশের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অন্য যে কোনো দেশে ডলারে অর্থ স্থানান্তর বা বিনিয়োগ করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সীমা নির্ধারণ করে দিতে পারে।

জানা গেছে, এ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি কৌশলপত্রে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে প্রক্রিয়াটির ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া না করে এটি ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।

বৈধ পথে অর্থ স্থানান্তরের সুযোগ না থাকায় অবৈধ পথে প্রতিবছর শত শত কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের পাচারের সঙ্গে রাজনীতিবিদদের নামও জড়িয়ে যাচ্ছে। ক্ষমতার শেষ মুহূর্তে দেশের বাইরে অর্থ স্থানান্তর প্রক্রিয়াটি বৈধ করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, 'ক্যাপিটাল অ্যাকাউন্ট' উদারীকরণের প্রস্তাবটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ)। অর্থমন্ত্রী বরং ক্ষমতার শেষ মুহূর্তে এ ব্যাপারে তাড়াহুড়া করে সিদ্ধান্ত নিতে বারণ করেছেন। এ ছাড়া 'ক্যাপিটাল অ্যাকাউন্ট' উদারীকরণের সঙ্গে যেহেতু বৈদেশিক মুদ্রার মজুদের সম্পর্ক রয়েছে, তাই অর্থ মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অর্থনীতিবিদ এবং সংশ্লিষ্ট সুবিধাভোগীদের মতামত নেওয়ার কথা বলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি অনুযায়ী বর্তমানে সীমিত আকারে দেশের বাইরে ডলারে অর্থ স্থানান্তর বা বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। আবেদনকারীর গুরুত্ব অনুধাবন করে কেস টু কেস ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ ধরনের প্রক্রিয়ায় অনুমোদন দিচ্ছে। সম্প্রতি নেপালে একটি ব্যাংকের শেয়ার কেনার জন্য ডলারে অর্থ স্থানান্তরের সুযোগ দেওয়া হয়েছে বেসরকারি আইএফআইসি ব্যাংককে। খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের সঙ্গে জড়িত একটি কোম্পানিও এ ধরনের সুযোগ পেয়েছে। ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে বিনিয়োগের সুযোগ চাইছেন তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীরাও। তারপরও নিরাপদ রিজার্ভের কথা চিন্তা করেই এ ব্যাপারে এত দিন অগ্রসর হয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এবার অর্থ স্থানান্তরের প্রক্রিয়ার ব্যাপারে সেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেই অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। জানা গেছে, এ প্রক্রিয়ার পেছনে মূলত আইএমএফের চাপ কাজ করছে। বর্ধিত বাজেট সহায়তা (ইসিএফ) হিসেবে সংস্থাটি আর্থিক খাতে যেসব শর্তজুড়ে দিয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে ক্যাপিটাল অ্যাকাউন্ট উদারীকরণ। আইএমএফের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রডরিগো কোবেরোর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বর্তমানে ঢাকা সফর করছে। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ওই প্রতিনিধি দলটি বৈঠক করেছে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. হাসান জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এটি এমন নয় যে আগামীকালই অর্থ স্থানান্তর প্রক্রিয়া উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। আইএমএফ যে প্রস্তাবটি দিয়েছে সেটি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাপারে একটি কৌশলপত্র তৈরি করছে যেটি ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত হবে।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.