আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফাঁস হওয়া রায়ের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার

বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের খসড়া ফাঁসের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তা জানাচ্ছেন না। আজ রোববার  ট্রাইব্যুনালে তদন্ত করতে এসে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

গত শুক্রবার এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দুই কর্মচারী নয়ন আলী ও ফারুক হোসেনকে আটক করা হয়। এরপর তাঁদের আট দিনের রিমান্ডে  নেয় ডিবি।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) কৃষ্ণপদ রায় সাংবাদিকদের জানান, ফাঁস হওয়া রায়ের বিষয়ে গ্রহণযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এ ঘটনায় আটক নয়নকে আজই প্রথম ট্রাইবুনালে নিয়ে আসা হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তদন্তের খাতিরে কিছু বলা যাচ্ছে না।

কৃষ্ণপদ রায় আরও জানান, ফাঁস হওয়া রায়ের বিষয়ে তদন্তের অংশ হিসেবে ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তদন্তের অগ্রগতি বিভিন্ন সময় জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

গত মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল-১ সাকা চৌধুরীর মামলার রায় ঘোষণার পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ তোলেন, ওই রায়ের অনুলিপি আগের রাতে একটি ওয়েবসাইটে পেয়েছেন তাঁরা। এ ঘটনায় ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার নাসির উদ্দিন মাহমুদ বুধবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ট্রাইব্যুনালের কম্পিউটার থেকে রায়ের খসড়া ফাঁস হয়ে থাকতে পারে বলে জানান তিনি।

ডিবি জানায়, তদন্তের সময় ট্রাইব্যুনালে মাস্টার রোলে অস্থায়ী পরিচ্ছন্নতাকর্মীর চাকরি পাওয়া নয়ন স্বীকার করেন, তিনি ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের কক্ষের কম্পিউটার থেকে রায়ের খসড়া পেনড্রাইভে নিয়ে তা সাকার আইনজীবীর সহকারী মেহেদী হাসানকে সরবরাহ করেছেন। এই মেহেদীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় করে দিয়েছেন ফারুক।

রায়ের এ খসড়া দেশের বাইরে পাঠান মেহেদী। বিদেশ থেকে তা ইন্টারনেটে আপলোড করা হয়।

এ ঘটনায় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় ট্রাইব্যুনালের ওই দুই কর্মী ছাড়াও আসামি করা হয়েছে সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ফখরুল ইসলামের সহকারী মেহেদী হাসানকে। তবে তিনি পলাতক।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।